লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের এ আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। লবঙ্গ সম্পর্কে চিনে না এমন কোন মানুষ পাওয়া খুবই কম। লবঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে অনেকেরই লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নাই বললেই চলে। তাই আজকে আমি আপনাদের কে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। অনুগ্রহ করে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত, লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়? পুরুষের লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লবঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। অনেকে হয়তো লবঙ্গ উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নাই। তবে লবঙ্গ সর্দি কাশি বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে থাকে এবং তার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো বেশি শক্তিশালী গড়ে তুলে। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না এটি রান্নার স্বাদ ও বৃদ্ধিতে লবঙ্গে কোন জুরি নেই। তবে অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়াই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত
ঐদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত? পাইছি করে লবঙ্গ খেলে উপকৃত পাওয়া যাবে? এসব প্রশ্ন অনেকেরই। তবে লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম ও কয়দিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আমাদের জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে এ আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন কই দিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত যা আমাদের শরীর অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক।
তবে আমাদের শরীরে উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন দুইটি করে লবঙ্গ খাওয়া উচিত। তাহলে পুরোপুরিভাবে উপকৃত পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা লবঙ্গ তৈরি যে কোনভাবেই খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
তবে অনেকেরই পাকস্থলীতে আলসারের সমস্যা দেখা দেয়।এবং এ সমস্যা থাকলে প্রতিদিন দুইটি করে লবঙ্গ খেতে পারেন। তাতে অনেক উপকৃত পাওয়া যাবে। কেননা, লবঙ্গ পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদন তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই জানি লবঙ্গ খাওয়ারউপকারিতা সম্পর্কে। তবে অনেকেই লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। কিভাবে খেলে এটি ভালো হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গ কিভাবে খাবেন ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে অথবা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে অনেক উপকৃত পাওয়া যায়। যেমন ঠান্ডা লাগায়, অ্যাজমা সর্দি কফ, গলা ফুলে ওঠা, আর শ্বাসকষ্টে বেশ উপকারিতা পাওয়া যায়। সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসকরা এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে আপনি চাইলে এটি লবঙ্গ চা তৈরি করেও খেতে পারেন তাতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লবঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কারণ এতে রয়েছে ইউজেনাল নামক উপাদান এর কারণে লবঙ্গ থেকে মিষ্টি সুগন্ধ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় এটি মসলার স্বাদ বাড়িয়ে দিতে দ্বিগুণ করে তুলে।তাছাড়াও এ মসলাটি ওষুধি হিসেবেও বেশ উপকারী। আমাদের শরীরের থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা শক্তিশালী গড়ে তুলেই লবঙ্গ। এবং দাঁত, মাড়ি সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটি শীতল আবহাওয়া শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
- লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় থেকে নিরাময় করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আমাদের শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমিষেই তা দাঁতের যন্ত্রণা থেকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
- যাত্রাপথে বমি বমি ভাব দূর করার জন্য এক টুকরো লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। এটি মুখে সুগন্ধি বাড়ায় বমি ভাব বন্ধ করতে বেশ কাজ করে থাকে। এবং বমি ভাব দূর করার জন্য লবঙ্গ নিয়ে মুখে চুষতে পারেন অর্থাৎ অন্তঃসত্তা নারীরাও করতে পারেন।
- সর্দি কাশি অথবা ঠান্ডা এসব প্রতিরোধে লবঙ্গ কে মহা ওষুধ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস বের করে খেলে অথবা মুখে রেখে চুষলে ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, সর্দি কাশি, ক, গলা ফুলের যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি এসব নিরাময় করতে বেশ সুফল পাওয়া যায়।
- সাইনোসাইটিস রোগীদের চিকিৎসা এই লবঙ্গে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এবং সাইনাসের কষ্ট কমাতে লবঙ্গের বিশেষ উপাদান ইগুয়েনাল সাহায্য করে থাকে।
- মাথা ব্যথা অথবা মাথা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পেট ফাঁপা ও পেটের অশ নিরাময় করতে লবঙ্গ অনেকে ব্যবহার করে থাকে। তবে এ উপাদানে রয়েছে এনজাইম যা বৃদ্ধি করে পেট ব্যথা, অজীর্ণ বদজন, খিদে না হওয়া, পেটের গ্যাস, বায়ু এবং কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে।
- প্রচন্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমাতে এক টুকরো লবঙ্গ আপনার জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়াও লবঙ্গের চা পান করলে মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।
- ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গ বেশ উপকারী। এবং লবঙ্গের পেস্ট বনের ওপরে লাগায় রাখলে ব্রনের দাগ দূর হতে সাহায্য করে।
- লবঙ্গ আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক উপাদান গুলো বের করে রক্তকে পরিশোধন করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- পিপাসায় বারবার পানিপানের এড়নের ক্ষেত্রে সকাল ও বিকালে লবঙ্গ খেতে পারেন। এতে করে পিপাসা জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- জ্বরসহ বা পেটের রোগ সহ নানা রোগের আক্রান্ত হলে। এবং খাবারের অনীহা অরুচি দেখা দিলে লবঙ্গের গুড়া সকালে খালি পেটে খেলে এর অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
- লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে।
- লবঙ্গ আমাদের শরীরের ক্যান্সার, কলেরা, শরীর ব্যথা ও যকৃতে সমস্যা হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। অতএব লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা প্রপার্টিজ যে কোনো জীবনুর সাথে লড়াই করতে বেশ ভূমিকা রাখে।
- নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এবং লবঙ্গের রস আমাদের শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে বেশ সাহায্য করে থাকে এবং তার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয় এটি রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের রাখতে বেশ সহায়তা করে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে এটি রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
- মুখে যে কোন সমস্যা অর্থাৎ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে ঘুমাতে হবে।
- লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমমেটরি নামক উপাদান। যার ফলে এটি আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ জয়েন্টপেইন, কমানোর পাশাপাশি হাঁটুতে পেসির ব্যথা পিঠে বাহারের ব্যথা কমাতে এর ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ঠান্ডায় কোন কারনে কোন অংশ ফুলে উঠলে লবঙ্গ নিঃসন্দেহে খেতে পারেন। এতে করে ফোলা ভাব অনেকটা কমে যাবে।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রোজ সকালে খালি পেটে ১/২ লবঙ্গ খান। এতে করে দারুন উপকার পাবেন। কারণ আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করবে তার পাশাপাশি দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করবে। লবঙ্গ বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য অনেকে ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়াও এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। অনেকে হয়তোবা জানেন লবঙ্গ ওষুধ হিসাবে বেশ কাজ করে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
খালি পেটে লবঙ্গ খেলে একাধিক প্রচুর পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক। খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
লিভার ভালো রাখেঃ লবঙ্গ লিভারের নতুন কোষ গজাতে বেশ সাহায্য করে থাকে। এবং তার পাশাপাশি এটি ভালো রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ রোজ খালি পেটে একটুখানি লবঙ্গের গুড়া বা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে ফলে রক্তে সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণ থাকে। এবং তার পাশাপাশি ইনসুলিন বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুখে স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ দাঁত ও মাড়ি ব্যথা সমস্যা হাত থেকে রক্ষা করতে লবঙ্গের কোন তুলনা হয় না। দাঁতে ব্যাথা হলে আপনি যদি লবঙ্গ খান তাহলে অনেকটাই ব্যথা কমে আরাম পাবেন। তাছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে লবঙ্গ।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ লবঙ্গ রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবাল বৈশিষ্ট্য। যার ফলে লবঙ্গ তার উষ্ণতা দিয়ে হজম শক্তি বাড়াতে বেশ সাহায্য করে। তাছাড়াও পেটের বিভিন্ন ব্যথা ও ক্ষতিকারক জীবনুকপ ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে পেট ভালো রাখে।
ব্যথা কমায়ঃ খালি পেটে রোজ আপনি যদি লবঙ্গ খেয়ে থাকেন তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যা মাথা ব্যথা ইত্যাদি এসব কমাতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
গাঁটের ব্যথা কমায়ঃ লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ফ্ল্যাভনয়েড, ইত্যাদি উপাদান। যার ফলে আমাদের হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও এটি হাজার কোষ মেরামত করত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ গাঁটের ব্যথার জায়গায় লবঙ্গ তেল মালিশ করলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়?
যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহার করে আসতে অনেকেই। শুধু তাই নয় এটি রান্নার কাজে মসলা হিসেবে সবাই ব্যবহার করে। এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। ওষুধ হিসেবেও খুব কার্যকরী এবং রান্নার সাতবারতো এর কোন তুলনা হয় না।
লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম তাছাড়া আরো রয়েছে ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়রন কার্বোহাইড্রেটস,সোডিয়াম ও হাইড্রোক্লোরিক ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন কে। যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী।
লবঙ্গ চিবয়ে খেলে কি হয় তা অনেকেই জানেনা। তবে একটি নয় দুটি লবঙ্গ খেলে অনেক উপকারে আসে বিশেষজ্ঞদের মতে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন দুইটি করে লবঙ্গ চিপে খান তাহলে শরীরের অনেক উপকৃত পাওয়া যাবে।
লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের রক্ত কোষ বাড়াতে চমৎকার ভাবে কাজ করে থাকে। যা বাইরের ভাইরাস ব্যাকটিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে থাকে।
লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে লিভার কে সুস্থ রাখতে এবং লবঙ্গের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী যদি লবঙ্গ চিবিয়ে খান তাহলে লিভারের সামগ্রিক পদ্ধতি সঠিকভাবে কাজ করে থাকে।
পুরুষের লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
বেশিরভাগ সময়ে সর্দি, গলা ব্যাথা হলে, লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় লবঙ্গ তেল ও দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়াও লবঙ্গ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ভারতের রান্নাঘরে লবঙ্গের ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে।
লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি কার্সিনোজেনি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান যা আমাদের শরীরে অনেক উপকারী।
তবে লবঙ্গ সব বয়সে মানুষের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে বিশেষ করে মূলত পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটি সোহেলের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে পুরুষদের জন্য লবঙ্গ ভীষণ উপকারী।
শুধু তাই নয় লবঙ্গ শরীরের শুক্রাণু উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। জীবনযাত্রায় অনেক কারণেই অর্থাৎ বয়স, ধূমপান, খারাপ খাদ্য অভ্যাস, মদ্যপান ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ যারা পুরুষদের শরীরে ভীষণ খারাপ ভাবে এটি প্রবাহিত করতে পারে। যার ফলে শুক্রাণু সংখ্যা অনেকটা কমে যায়। তবে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বজায় রাখতে লবঙ্গ ডায়ের হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ
লবঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রজনন অঙ্গকে এটি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। শুধু তাই নয় এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে এবং শুক্রাণুর গতি বৃদ্ধিতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাছাড়া লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নাই। তবে লবঙ্গ দিয়ে বিদ্য পরিমাণ রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ। যেমন পটাশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান।
এটি আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকেলস এ সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে থাকে। তাছাড়াও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তার পাশাপাশি ডায়াবেটিস ক্যান্সার প্রতিরোধে ও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। তাই আজকের এ আর্টিকেল থেকে রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাঙালিরা প্রায় প্রত্যেকটা খাবার এই লবঙ্গ মসলা হিসেবে ব্যবহার করে। তাছাড়া এটি বিভিন্ন মাধ্যমে লবঙ্গ খাওয়া যায়। তবে লবঙ্গে তেমন কোন সাইড এফেক্ট না থাকাই এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আপনি যদি রাতে লবঙ্গ খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। এতে করে বিদ্যমান লবঙ্গ তে অনেকগুলো পুষ্টি ও উপাদান পাওয়া যাবে।রাতে লবঙ্গ কিভাবে খাবেন এ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুনঃ
লবঙ্গ চাঃ রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ লবঙ্গ চা করে খেতে পারেন। এবং লবঙ্গ চা আমাদের সারাদিনের ক্লান্তির দূর করার পাশাপাশি সর্দি কাশি ও বিভিন্ন রোগ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ করতে সাহায্য করবে। চা বানানোর সময় উষ্ণ গরম পানি প্রথমে ফুটে উঠলে তার মধ্যে কয়েকটি লবঙ্গ ছিটিয়ে দেন। তাহলে তৈরি হয়ে গেল লবঙ্গ চা এটি আপনি ছেকে পান করতে পারেন।
গরম পানিতে লবঙ্গঃ প্রতিদিন নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে পানিতে কয় টুকরো লবঙ্গ ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ফুটিয়ে নিন। পানি ফোটে অর্ধেক হয়ে গেলে তা ভালোভাবে ছেকে পান করুন। এতে করে ঠান্ডা লাগা কাশি সমস্যা তার পাশাপাশি শরীর থেকে বাজে কোলেস্টরেল আস্তে আস্তে কমাতে সাহায্য করবে এবং হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ও এটি বেশ উপকারী।
মধু ও লবঙ্গঃ কয়েক টুকরো লবঙ্গ দিয়ে অল্প কিছু পরিমাণ পাউডার তৈরি করুন। তার সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। মধু ও লবঙ্গ মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে সকাল এবং বিকালে দুই বেলা করে এটি খেতে পারেন। মূলত এটি মাথায় ব্যথা ও বমি বমি ভাব ইত্যাদি। লবঙ্গ ও মধু একত্রে খাওয়ার ফলে পুরোপুরি ভাবে অনেকটা কমে যায়।
লবঙ্গ খাওয়ার অপকারিতা
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে। তবে উপকারিতার পাশাপাশি অতিরিক্ত মাত্রায় লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই কোন কারণ ছারায় মুখে লবঙ্গ দিয়ে রাখে যার ফলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এবং যাদের রক্তের শর্করার মাত্রা কম থাকে তারা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া উচিত হবে না। কেননা, এটি হাইপারগ্লাইসেমিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এমনকি যাদের অ্যালার্জি জড়িত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ খাওয়ায় চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং এটি তাদের জন্য ক্ষতিকারক। তাই এমন অবস্থায় লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উচিত।
শেষ কথা। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্মানিত প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যাবতীয় সকল সঠিক তথ্য।
আশা করছি আজকে আর্টিকেল পরে আপনি লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন। আজকে এ আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্য এবং উপকৃত মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এতে সকলে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url