HSC এর-পর বিদেশে পড়া শোনা-বিদেশে পড়াশোনার খরচ
HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা ও বিদেশে পড়াশোনার খরচ নিয়ে আমাদের আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।আপনারা অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করেছেন HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনাও বিদেশে পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে জানার জন্য।যা আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনি জানতে পারবেন।
সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা, কিভাবে খুব সহজে স্কলার্শিপ পাওয়া যায় এবং এইচএসসি এর পর বিদেশে পড়াশোনা করার গাইডলাইন সম্পর্কে।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা ও বিদেশে পড়াশোনার খরচ যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে নেই।
ভূমিকা। HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা।বিদেশে পড়াশোনার খরচ
সম্মানিত পাঠক এইচএসসি পরীক্ষার পর অনেকেই চিন্তাভাবনা করে থাকেন এইচএসসি এরপর বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করবেন। তবে আপনি যদি চিন্তাভাবনা করে থাকেন HSC এরপরে বিদেশে পড়াশোনা করতে চান তাহলে ৬ থেকে ৭ মাস আগে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য সকল যোগ্যতা, অর্জন করতে হবে।
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা ও বিদেশে পড়াশোনার খরচ এবং স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে।তাই আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা করতে চান তবে আজকের আর্টিকেল হতে পারে আপনার জন্য উপকৃত।কেননা আমরা সেই সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই চলুন দ্রুত জেনে নেওয়া যাক HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
বিদেশে স্কলারশিপ পেতে হলে আপনার কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে।এর মধ্যে প্রথমেই আপনাকে আইইএলটিএস বা ট্রফিএল নিতে হবে।অনেক সময় ভাষাগত দক্ষতা সার্টিফিকেট না লাগলেও আপনি যে হয়তো দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়ে বিদেশি স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য নানান জায়গায় আবেদন করেছেন এক্ষেত্রে কাজে তৈরি হয়ে নামায় শ্রেয়।
বিদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ন্যূনতম আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর 7.0 অর্থাৎ প্রতিটি সেকশনে ৬.৫ চাওয়া হয়।তাই আপনি যে বিষয়ে পড়তে চান সেই বিষয়ে চাহিদা অনুযায়ী আইএলটিএস এর প্রস্তুতি দিতে হবে।তাই এবারে আপনাদের সুবিধার্থে বিদেশে ঈদ স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে যে সমস্ত ধারণা রয়েছে তার সমস্ত কিছু আপনাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছে।তবে মনে রাখবেন ভিন্ন ভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতার ক্ষেত্রে যা যা থাকা প্রয়োজন:
- প্রথমত আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট ফলাফল ভালো হতে হবে।
- তাছাড়া আপনি যে আর্থিকভাবে অসচ্ছল তার সত্য প্রমাণ দেখাতে হবে।
- বিদেশে পড়াশোনার জন্য মোবাইল যে জিনিসটি দরকার তাহলে আইইএলটিএস স্কোর ভালো হতে হবে।
- আপনাকে অবশ্যই বৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন পাঠাতে হবে।
উপরে উল্লেখিত আলোচনার মধ্যে থেকে আমি আপনাদের আবারও বলছি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আলাদা স্কলারশিপ ও ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে।উপরের উল্লেখিত তালিকায় আপনারা যে বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তা হলো স্কলারশিপ পাওয়ার প্রাথমিক শর্ত।
কিভাবে খুব সহজে স্কলার্শিপ পাওয়া যায়
কিভাবে খুব সহজে স্কলার্শিপ পাওয়া যায় জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার জন্য উপকৃত।আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সেই সমস্ত বিষয়গুলো শেয়ার করেছি যা আপনাকে খুব সহজেই স্কলারশিপ পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেওয়া হবে।আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কিভাবে বা সহজেই স্কলারশিপ অর্জন করা যায়।
তাই আপনি যদি খুব সহজে বিদেশি স্কলারশিপ পেতে চান? তবে এক্ষেত্রে সবার প্রথমে গুরুত্ব দিতে হবে আপনার একাডেমিক ফলাফলের উপর।কারণ আপনার একাডেমিক ফলাফল যদি ভাল হয় তাহলে উচ্চমানের স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পাওয়া যায়।এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনাকে আইইএলটিএস IELTS ফলাফলের দিকে যথেষ্ট ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা আপনার যত বেশি থাকবে আপনি তত স্কলারশিপ পাওয়ার দিকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।অর্থাৎ মূলত আপনার যদি এ যোগ্যতাগুলো থাকে।তাহলে আপনি খুব সহজে স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন।
বিদেশে পড়াশোনার খরচ
বিদেশে পড়াশোনার খরচ বেশ বায়বহুল হয়।তবে কিছু উপায় আছে যে উপায়গুলো আপনি কাজে লাগিয়ে বিদেশে পড়াশোনা খরচ একটু কম করতে পারেন।তবে এজন্য আপনাকে বিদেশে পড়াশোনা খরচ এবং খরচ কমানোর কিছু উপায় রয়েছে এগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।বিদেশে পড়াশোনা খরচ সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে বেশ কিছু অর্থ খরচ করতে হয়, পাশাপাশি থাকা-খাওয়া পরিবহন চিকিৎসা ইত্যাদির খরচ রয়েছে।তবে সমস্ত খরচ অপেক্ষা করে বিদেশে পড়াশোনা করার ব্যাপক ইচ্ছা থাকে কেননা বিদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার মান অনেক উঁচু।
বিদেশে পড়াশোনা খরচ বেশ কিছু কারণের ওপর নির্ভর করে যেমন।
দেশঃ আপনি কোন দেশে গিয়ে পড়াশোনা করবেন হতে পারে সেটি ইউরোপ উত্তর আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এমন দেশগুলোতে পড়াশোনার খরচ বেশি।এছাড়াও আরো কিছু দেশ রয়েছে যেমন যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা ইত্যাদি এ সমস্ত দেশগুলোতে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি খরচ হয়।তাছাড়া আপনি যদি মালয়েশিয়া, চায়না, ভারত অর্থাৎ এশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অন্যান্য দেশের তুলনায় খরচ কম লাগে।
বিশ্ববিদ্যালয়।প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু কি কাঠামো রয়েছে সাধারণত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় কম খরচে পড়ালেখার খরচ প্রদান করে।তাই আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন সেটির উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রি প্রদান করতে হবে।
কোর্স।বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন কোর্স করার প্রয়োজন হয়।সাধারণত বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয় গুলোর খরচ বেশি হয়ে থাকে।
বছর।বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য প্রথম বছরে সবচেয়ে বেশি খরচ বহন করতে হয়।
উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে নিজে কিছু দেশের পড়াশোনা খরচ সম্পর্কে টেবিল আকারে দেওয়া হলো:
- জাপান ১২ থেকে ১৭ লাখ টাকা
- কানাডা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা
- যুক্তরাজ্য 15 থেকে 20 লাখ টাকা
- জার্মানি ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা
- যুক্তরাষ্ট্র ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা
আপনার বিদেশে পড়াশোনা করার অনেক ইচ্ছা রয়েছে কিন্তু আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয় তবে এজন্য আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে।যেগুলো ব্যবহার করে আপনি বিদেশে কম খরচে পড়াশোনা করতে পারবেন।যেমন।
বৃত্তি বা অনুদানের জন্য আবেদন করা: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্থা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি বা অনুদান প্রদান করে থাকে।এ অনুদান গুলো পেতে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
- কম খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ই বা কোর্স নির্বাচন করতে হবে।
- যে দেশে পড়াশোনা করার জন্য যাচ্ছেন সে দেশের স্থানীয় বন্ধুদের সাথে থাকতে হবে।
- নিজের খাবার নিজেই রান্না বান্না করা
- পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করা।
মনে রাখবেন বিদেশে পড়াশোনা খরচ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে তবে এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ্য হতে পারে অনেকেই বিভিন্ন স্কলারশিপ ও সরকারি অনুদান আবেদন করার মাধ্যমে কম খরচে বিদেশে স্কলারশিপ অর্জন করছেন।কারণ বিদেশে পড়াশোনা করলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারে যা তাদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
Hsc এর পর বিদেশে পড়াশোনা
Hsc এর পর বিদেশে পড়াশোনা করার আগ্রহ অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে।কিন্তু সঠিক তথ্য ও গাইডলাইনের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্নগুলো ছুঁয়ে দেখা হয় না।তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সকল খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করবো।কখনো কিভাবে Hsc এর পর বিদেশে পড়াশোনা উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় যোগ্যতা ও খরচ সবকিছু জানবো।
বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার মান সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা চাকরির সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদির কারণে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই বর্তমানে বিদেশে পড়াশোনার ইচ্ছা শক্তি প্রকাশ করে।বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কানাডা জার্মানি টিম জাপান চায়না। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পাওয়ার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।আপনারা যাতে এই সমস্ত সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে এইচএসসি এরপর আপনার ক্যারিয়ার জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে পারেন এই লক্ষ্যে আজকের আর্টিকেলটি প্রকাশ করা হয়েছে।
HSC পর বিদেশে পড়াশোনা করার গাইডলাইন
অনেক ছেলেমেয়েদেরই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন থাকে সুযোগ থাকলেও সঠিক তথ্য পরামর্শ ও গাইডলাইনের অভাবে অনেকের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায়।তাই এবারে আমরা জানবো HSC পর বিদেশে পড়াশোনা করতে কিভাবে ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিবেন এর সমস্ত কিছু আপনাদের সামনে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।তাই আপনার যদি স্বপ্ন থাকে বিদেশে পড়াশোনা করতে তবে আমাদের আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।বিদেশে পড়াশোনা করার গাইডলাইন গুলো নিজে উল্লেখ করা হলো:
লক্ষ্য নির্ধারণ করা
যেকোনো কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সঠিক নির্ধারণ লক্ষ্য করা প্রয়োজন।লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে নিজেকে যাদের সাফল্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়।বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিক সেমিস্টার থাকে যেমন সামার সেমিস্টার, স্প্রিং সেমিস্টার, অটাম সেমিস্টার ইত্যাদি।আপনি এইচএসসি এরপর কোন সেমিস্টারে ভর্তি হবেন কত সময় প্রয়োজনটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এবং আপনি একটি সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যে আপনি কোন দেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক।দেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক নয় কেন।
এরপর লক্ষ্য অনুযায়ী আপনাকে একটি পরিকল্পনা স্থাপন করতে হবে।কোন কাজ করা পূর্বে পরিকল্পনা করে লিখিত হওয়া ভালো এই পরিকল্পনায় কি কি বিষয় রাখবেন তা নিচের অংশে বলছি।
HSC এইচএসসি পরীক্ষার অন্তত ছয় থেকে সাত মাস আগে পরিকল্পনা করা উচিত যে কোন বিষয় নিয়ে আপনি পড়তে প্রস্তুত।বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য একে সঠিক সিদ্ধান্ত একজন শিক্ষার্থী ও পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই ভাবনা চিন্তা করে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
নিজের একাডেমি ফলাফল ভালো হওয়া
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য শুধু স্বপ্নের ঘরে থাকলে চলবে না পাশাপাশি একাডেমির সার্টিফিকেট ফলাফল অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে যাতে ব্রিজের চেয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার ও স্কলারশিপ পাওয়ার মত সার্টিফিকেট ফলাফল হয়।তাই বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য একাডেমিক ফলাফল মোটেও খারাপ হওয়া চলবে না।
আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি নেওয়া
আপনারা জানেন বিশ্বের সকল দেশগুলোতে ইংরেজি ভাষার ডিমান্ড বেশি রয়েছে।তাই আপনি যখনই নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে পড়াশোনা করতে যাবেন এটি একটি অবশ্যই আপনাকে আই এলটিএসের প্রস্তুতি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।ইংরেজি হলো ইন্টারন্যাশনাল ভাষ।
ইংরেজি সারা বিশ্বের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ভাষা তারমানে আপনি যে দেশে যান না কেন ইংরেজি ভাষায় কথা বলার প্রয়োজন পড়বেই তাই ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার জন্য international English language testing system IELTS অর্জন করতে হবে।ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করার জন্য আইইএলটিএস এর ন্যূনতম ৬.০ রেজাল্ট প্রয়োজন হবে। তবে মনে রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাজ্য জার্মানি কানাডা অস্ট্রেলিয়া এ সকল বিশ্ববিদ্যালয় আরো বেশি স্কোর লাগবে।
আইইএলটিএস আপনি ঢাকা খুলনার রাজশাহী চট্টগ্রামের মতো বড় বিভাগীয় শহরগুলোতে আইএলটিএস কোচিং করে ইংরেজি ভাষা শিখতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজ করা বা অনুসন্ধান করা
বিদেশে পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকলে অন্তত ছয় থেকে আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে নিতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজ করার জন্য অনলাইনে এ বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।আপনি আপনার পরিবারের সাথে আর্থিক ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন।এছাড়া কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কোন অফার চলছে সেসব বিষয়ে আপনাকে গবেষণা শুরু করতে হবে আপনার পছন্দের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে সেখানে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পড়ালেখার খরচ কেমন তা খোঁজখবর নিতে হবে।
আপনি চাইলে study portal ওয়েবসাইট থেকে আপনি ব্যাচেলার প্রোগ্রামের জন্য কোর্স খুজতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনি আগে থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ধরনের কোর্স ভাই কেমন তার একটি সুস্পষ্ট ধারণা এই ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারেন।এছাড়াও যে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন সবসময় খেয়াল রাখবেন যে শহরে থাকতে চান সেখানকার খরচ কেমন কাজের সুযোগ আছে কিনা।কারণ একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন শহরের জীবনযাত্রার বাই ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
তৃতীয় ভাষা শেখা
তৃতীয় ভাষা শেখা বলতে বোঝায় আপনি যে দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছেন সে দেশের ভাষা শিখতে হবে।জার্মান চীন জাপানের মধ্যে দেশগুলোতে স্থায়ী রাজ তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে ইংরেজি ভাষার প্রচলন এসব দেশে কম সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওই দেশের ভাষা শিক্ষা হবে।
মনে করুন আপনি যদি চিনে যেতে চান তাহলে চিনা ভাষা জার্মানি যেতে চাইলে জার্মান ভাষা আর জাপানে যেতে চাইলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে আপনার জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ থাকে এর ফলে পড়াশোনা পাশাপাশি পার্টটাইম জব করে নিজের খরচ নিজে বহন করতে পারবেন।
ওই দেশের স্থানীয় ভাষা না জানা থাকলে কাজের সুযোগ পেতে কঠিন হয় তার স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অগ্রগত অধিকার বেশি পাওয়া যায়।স্থানীয় ভাষা জানা থাকলে সে দেশের নাগরিকদের সাথে সহজে যোগাড় করতে পারবেন এবং তাদের সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে পারবেন।
উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা
আপনি যখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন আরেকটা ধারণা আপনাকে দিয়ে রাখা ভালো সেটি হল পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা আপনাকে আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এটা জরুরী মুহূর্তে খুব সহজে হাতের কাছে পাবেন এবং অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য একজন শিক্ষার্থীর যেসব সাধারণ কাগজপত্র লাগে সেগুলো হলো:
পাসপোর্ট ও ভিসা
- একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
- জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা এন আই ডি কার্ড
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- রেকোমেন্ডেশন লেটার
- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস এসওএপি (SOP)
- ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
এ সমস্ত কাগজপত্রগুলো সব সময় আপনাকে হাতের নাগালে রাখতে হবে যাতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজন মতো আপনি তাৎক্ষণিক জমা দিতে পারে
শেষ কথা। HSC এরপর বিদেশে পড়াশোনা-বিদেশে পড়াশোনার খরচ
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা ও বিদেশে পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় HSC এর পর বিদেশে পড়াশোনা। ও বিদেশে পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমাদের আজকের আলোচনার সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করুন এতে যারা বিদেশে পড়াশুনা করার জন্য আগ্রহী রয়েছে তারা আজকের এই আলোচনা সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হবে।এছাড়াও আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি সঙ্গে থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url