হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে এ আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। বাচ্চাদের একটি পছন্দের খাবার হচ্ছে হরলিক্স। তবে ছোট থেকে বড় সবাই হরলিক্স খেতে খুব পছন্দ করে। তবে অনেকেরই হরলিক্সের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নাই। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা, হরলিক্স খাওয়ার বয়স, মাদার হরলিক্স এর উপকারিতা, বড়দের হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম, হরলিক্স এর অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা।মাদার হরলিক্স এর উপকারিতা
ছোট থেকে বড় সবার কাছে হরলিক্স এর জনপ্রিয় খুব বেশি। সবাই এটি খেতে খুব ভালোবাসে। তবে হরলিক্স অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন মাদার হরলিক্স, ওমেন হরলিক্স, জুনিয়র হরলিক্স, বড়দের হরলিক্স, বয়স্কদের হরলিক্স, সুগার ফ্রি হরলিক্স ইত্যাদি হরলিক্স আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবো।
হরলিক্স বিদেশের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের একটি খুব জনপ্রিয় সাপ্লিমেন্টারি ফুড হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে আসছে।হরলিক্সের প্রধানত কারণ হচ্ছে দুধ বা পানির সাথে ভালোভাবে গুলে খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়। এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হরলিক্স খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টিগণের যেরকম ভরপুর থাকে তেমনি আমাদের শরীরের জন্য হরলিক্স কি ক্ষতিকারক? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে জাগতে পারে। তাই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ওমেন হরলিক্স এর উপকারিতা
একজন প্রাপ্ত বয়সের একজন মহিলার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শুরু হতে থাকে এবং তার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা সৃষ্টি হয়। কারণ ২০ বছর বয়সে যদি ঠিকমত খাওয়া দাওয়া না করা হয় তাহলে ৩০ বছর বয়সের সময় আরো বড় ধরনের কিছু ক্ষতিকারক রূপ ধারণ করে থাকে। যার কারণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, মিরালেন যেসব খাবার গুলোতে রয়েছে সেগুলো বেশি করে খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশ প্রয়োজন।
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পরলে যেসব খাবারের ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করতে পারে সেসব খাওয়া খুবই জরুরী। তাই আপনি চাইলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ওমেন হরলিক্স তৈরি করে খেতে পারেন। ওমেন হরলিক্সে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অপুষ্টি ও ক্যালসিয়াম ঘাটতি এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে ওমেন হরলিক্স।
ওমেন হরলিক্স যা যা উপাদান রয়েছে
- ভিটামিন
- ক্যালসিয়াম
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন বি
- ভিটামিন বি ১
- ভিটামিন বি ২
- ভিটামিন ৬
- ভিটামিন ১২
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন k2
- ভিটামিন সি
- ম্যাগনেসিয়াম
এ সকল উপাদান দিয়ে ওমেন হরলিক্সে তৈরি করা হয়। যার ফলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে এবং তার পাশাপাশি শরীরের ক্ষয় হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তাছাড়াও কোন হাড় ক্ষয় হয়ে গেলে সেগুলোকেও পূরণ করতে বেশ ভূমিকা পালন করে।
তবে প্রাকৃতিকভাবে শাকসবজি ও ফলমূল খাবার খাওয়া এতে করে আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতে সহায়তা করবে। যদি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের যোগান ঠিকমতো দিতে না পাড়ে তখন ওমেন হরলিক্স খেতে পারেন।
হরলিক্স থাকা উপাদান
হরলিক্স এর উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে থাকলেও এর পুষ্টিগুণে ভরপুর। হরলিক্সে প্রচুর পরিমাণে উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক হরলিক্সে থাকা উপাদান গুলো কি কি।
- গম
- ভুট্টা
- ছোলা
- কাজুবাদাম
- আমন্ট বাদাম
- গুড়া দুধ
- ওটস
- খাঁটি তাল মিছরি
হরলিক্সে থাকা এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী ও পুষ্টিকর। তবে আপনি চাইলে এসব উপাদানগুলো দিয়ে বাসায় প্রাকৃতিক ও ন্যাশনাল ভাবে বানিয়ে খেতে পারেন। বর্তমান বাজারজাত সময়ে ভেজাল খাবারের পরিপূর্ণ। তাই ভেজালমুক্ত খাবার বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন এতে করে আমাদের শরীরের জন্য আরও বেশি উপকারী।
মাদার হরলিক্স এর উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় অনেকেই খাবার সুস্বাস্থ্য খাবার নিয়ে সচেতন হয়ে থাকেন। তাই অনেকে ভেবে থাকেন গর্ব অবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়া একজন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক উপকারী। তবে এটি একেবারে ভুল ধারণা যারা এটা ভেবে থাকেন। কারণ প্রাকৃতিক খাবারের মতো সুস্বাস্থ্যকর কোন খাবারই হতে পারে না। তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, গর্ভবতী হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই মাদার হরলিক্স খাওয়া থেকে নিষেধ করা হয়। কেননা প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে আমাদের শরীরে যে সুস্বাস্থ্যকর বজায় রাখবে সেটি অনেক উপকারী।
তবে আপনি যদি প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি অরুচি অনাহা বোধ করেন। তখন আপনি এই মাদার হরলিক্স খেতে পারেন। কারণ কিছুটা হলেও আপনার উপকৃত হবে। মাদার হরলিক্স রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালরি, নিউট্রিশন ইত্যাদি সহ আরো অনেক উপাদান। যা একজন গর্ভবতী ও তার পেটে থাকা সন্তানের জন্য এ হরলিক্স খুবই কার্যকরী।
তবে অনেক সময় দেখা যায় গর্ভবতী মহিলার শরীরের পুষ্টির চাহিদা কতটুকু থাকে তার ওপরে বিবেচনা করে এ হরলিক্স বানানো হয়ে থাকে। কারণ গর্ভবতী মহিলার মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরে তার গর্ভে থাকা বাচ্চার মস্তিষ্কের উন্নতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড় ও বাচ্চার শরীর পর্যন্ত পরিমানে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে। তবে এ মাদার হরলিক্স অতিরিক্ত কোন কিছু উপাদান নাই যে গর্ভবতী ও তার সন্তানের জন্য বেশি উপকৃত হবে।
সবচেয়ে ভালো হয় যে গর্ভবতী মায়ের মাদার হরলিক্স একেবারে না খাওয়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এটি খাওয়ানো যেতে পারে কিছুটা হলেও প্রকৃত পাওয়া যাবে। কিন্তু অবশ্যই মাদার হরলিক্স খাওয়ানোর আগে অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী।
হরলিক্স এর উপকারিতা
হরলিক্স খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ পাওয়া খুবই কম।হরলিক্স খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর। ছোট থেকে বড় সবাই হরলিক্স খেতে খুব পছন্দ করে থাকে। হরিস আমাদের শারীর জন্য বেশ উপকারী। তবে হরলিক্সের সাথে গরম দুধ একসাথে গুলিয়ে খেলে আমাদের শরীরের নানাবিদ সমস্যা দূর হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকারী একটি সাপ্লিমেন্টারি ফুড।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হরলিক্স এর উপকারিতা কি কি।
মেটাবলিজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের শরীরের জন্য ভালো মেটাবলিজম ক্ষমতা থাকার খুবি প্রয়োজন। তবে আমাদের শরীরে কোন ক্ষেত্রে যদি মেটাবলিজম ক্ষমতা কমে যায় তাহলে আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ প্রবেশ করতে পারে।সে ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অথবা মেটাবলিজম ক্ষমতা শরীরে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দুধের সাথে হরলিক্সের গুড়ো একত্রে মিশ্রণ করে এটি খেতে পারেন। এতে অনেক উপকৃত পাবেন।
অপুষ্টি ঘাটতি নিবারণ করেঃ আমরা সারাদিনে যেসব খাদ্য খেয়ে থাকি অথবা গ্রহণ করে থাকি সেসব খাদ্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টি আমাদের শরীরে সর্বদা স্বাস্থ্যকর হয় না। আমরা সহজে বুঝে উঠতে পারিনা কোন খাবার আমাদের দেহের জন্য পুষ্টি কতটা প্রয়োজন। তবে আমরা যদি সকালে ও বিকালে এই পুষ্টিকর হরলিক্স ১/২ চামচ এক গ্লাস পানির সাথে পরিমাণ অনুযায়ী বানিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার অপুষ্টি ঘাটতি নিবারন করবে ।
দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করেঃ আমাদের শরীরে লম্বা হওয়ার বিষয় যতখানি জিনের উপর নির্ভর করে থাকে ঠিক ততখানি আমাদের পুষ্টির ওপর ও খাদ্যের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন তাহলে আমাদের শরীরের দ্রুত লম্বা হওয়ার গঠন তৈরি করে। তেমনি হরলিক্স এ থাকা বিভিন্ন খাদ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে যা ছোট বাচ্চাদের অতি দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।
ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ বর্তমান সময়ে সবাই ওজন কমানো নিয়ে খুব ভাবছেন। তবে যাদের ওজন কম হওয়ার কারণে তাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা যাওয়াতে তারা অনেক চিন্তিত হয়ে থাকেন। সবার সামনে তাকে খারাপ ভাবে রোগা বললে সত্যি বলতে তার মনে অনেক কষ্ট হয়। তাই যাদের ওজন অনেকটাই কম এবং ওজন বাড়ানো নিয়ে চিন্তিত, তারা এই হরলিক্স নিঃসন্দেহে খেতে পারেন এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। দিনে দুইবার করে দুধের সাথে হরলিক্স দুই চামচ মিশ্রণ করে খেয়ে নিন।
শরীরের বিভিন্ন হাড় মজবুত করেঃ সময়ের সাথে সাথে বয়সে পার হয়ে যাই সেই বয়সের পর আমাদের শরীরের বিভিন্ন হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে প্রথম থেকে পুষ্টি কর ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার আমাদের খাওয়া উচিত। হরলিক্স শুধু ছোটদের নয় বয়স্ক ও ছোট বড় সবার জন্যই বেশ উপকারী। হরলিক্স হাড় শক্ত মজবুত রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আপনি পুষ্টিকর বলতে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সারাদিনে খেতে পারেন।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ বর্তমান সময়ে মানুষের ভুলে যাওয়া একটি রোগ হয়ে গেছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় বয়স হয়ে গেলেই এ ভুলে যাওয়া লক্ষণগুলো দেখা যায়। তার জন্য আপনারা যদি প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী দুধের সাথে হরলিক্স গুলে খান তাহলে এই ভুলে যাওয়া রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করেঃ বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজে ও কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে এই কাজের ব্যস্ততার সময়ের জন্য খাওয়ার কথা আমরা খেতে ভুলে যাই। আর দীর্ঘ সময় খাবার না খাওয়ায় আমাদের পেট ফাঁকা থাকলে বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি নিয়মিত এই দুধ অথবা পানির সঙ্গে হরলিক্স মিশ্রণ করে খেয়ে নেন তাহলে কয়েক ঘন্টার জন্য আপনার পেট ভর্তি থাকবে। আপনি বিভিন্ন কাজে কর্ম ক্ষেত্রেও মন দিতে পারবেন।
ত্বক ও শরীর সুন্দর রাখেঃ সুন্দর ত্বক ও শরীর কে না চায় ভালো সুন্দর রাখতে? তার জন্য আমাদের প্রবলেম তো পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তাই হরলিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। হরলিক্স আমাদের শরীরে অপুষ্টি জনিত ঘাটতি মিটিয়ে ত্বক ও শরীর সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা বৃদ্ধি করেঃ দুধ একটি সুষুম খাদ্য হিসাবে সবার কাছে অতি পরিচিত। তাছাড়া দুধ আমাদের শরীরে নানা অপুষ্টিকে নিবারণ করে থাকে ও সবল রাতে সাহায্য করে। তাই দুধও হরলিক্স এর বুড়ো একসাথে মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে ঠিক সহায়তা করে।
মাংসপেশী ও শিরা সবল রাখতে সাহায্য করেঃ একটা সময় দেখা যায় যে মাংসপেশী ও শিরা দুর্বল হয়ে পড়ে। তার কারণে মাংসপেশী শিরা যেখানে সেখানে টান ধরে ব্যথা লাগে। আপনি যদি নিয়মিত পুষ্টিগুণ খাবার গ্রহণ করেন তাহলে আপনার মাংসপেশী ও শিরা সবল ও সুস্থ থাকবে। তাই পুষ্টিগুণে ভরপুর হরলিক্স তাই পুষ্টি ভালো পেতে হলে হরলিক্স নিয়মিত খেতে পারেন এতে করে অনেক উপকৃত পাবেন।
বড়দের হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
শুধু ছোট রাই নয় বড়রা ও হরলিক্স খেতে খুব ভালোবাসে এবং পছন্দ করে থাকে। তবে বড়দের হরলিক্স খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- বড়রা হরলিক্স অবশ্যই উষ্ণ গরম এক গ্লাস পানিতে ১/২ চামচ হরলিক্স গুড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ করে এটি খেতে পারেন।
- সকালে নাস্তা সাথে অথবা বিকালে নাসার সাথে এ হরলিক্স খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি অনেক উপকৃত পাবেন।
হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
হরলিক্স এর উপকারিতা রয়েছে অনেক এবং আমাদের শরীরের জন্য হরলিক্স অনেক উপকারী। তবে হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম রয়েছে অনেকগুলো। তাই এই নিয়মগুলো মেনে হরলিক্স খেলে উপরোক্ত উপকারিতা গুলি আপনি পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।- হরলিক্স মোটেও ঠান্ডা পানিতে খাবেন না। উষ্ণ গরম পানি অথবা দুধ তার সাথে ২ চামচ হরলিক্স মিশ্রণ করে এটি খেতে পারেন।
- হরলিক্স গরম দুধের সাথে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই গরম দুধের সাথে হরলিক্স খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- হরলিক্স যেটার সাথে খান না কেন দুধ অথবা পানি ভালোভাবে মিশ্রণ করে এটি খাবেন।
- সকালে অথবা বিকালে নাস্তা হিসেবে হরলিক্স খেতে পারেন এতে করে অনেক উপকৃত পাবেন।
হরলিক্স এর অপকারিতা
হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে। আমরা বেশিরভাগই হরলিক্স এর উপকারিতা সম্পর্কেই জানে কিন্তু অপকারিতা সম্পর্কে জানি না।প্রত্যেকটা খাবারই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেগুলো আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হরলিক্স এর অপকারিতা কি কি।
বদহজম হতে পারেঃ যাদের হরলিক্স খাওয়ার অভ্যাস নাই অথবা কখনোই তারা হরলিক্স খায়নি তারা প্রতিদিন হরলিক্স খেলে তাদের বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারেঃ অনেক সময় ডাক্তাররা বাচ্চাদেরকে হরলিক্স খাওয়াতে নিষেধ করে থাকেন। কারণ হলো হরলিক্স পুরোপুরি ভাবে অর্গানিক জিনিস দিয়ে তৈরি হয় না। আর বাইরে জিনিস কিনা মানেই ভেজাল। তাই আপনি চাইলে আপনার বাচ্চাকে পুরোপুরি ভাবে বাসায় ভেজাল মুক্ত হরলিক্স তৈরি করে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
স্নায়ু বিপর্য হতে পারেঃ হরলিক্স এ রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। হরলিক্স এর বেশি পরিমাণে ফলিক এসিড থাকায় অতিরিক্ত মাত্রায় হরলিক্স খাওয়ার ফলে, তাদের স্নায়ু বিপর্য ঘটতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি হরলিক্স খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়ঃ যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ ও সমস্যা রয়েছে। তারা এই হরলিক্স খাওয়া থেকে বিরোত থাকুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ দীর্ঘ সময় ধরে খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এবং আপনি যদি খালি পেটে হরলিক্স মিশ্রণ করে খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় খালি পেটে হরলিক্স খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অল্প অথবা হালকা পেট ভরে থাকলে এ হরলিক্স খেতে পারেন। এতে করে কোনো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।
শেষ কথা। হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আমরা উপর থেকে হরলিক্স এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করি আপনাদেরকে সঠিকভাবে ধারণা দিতে পেরেছি।
হরলিক্স ছোট থেকে বড় সবারই অনেক উপকারী। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত হরলিক্স রাখতে পারেন এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনার অনেক কিছু জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানায় দিবেন আপনাদের মতামত এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Nice
thank you