২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি মনে মনে ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন ? কিন্তু ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে আপনার অজানা রয়েছে।তাহলে আজকের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।আপনি যদি একজন নতুন উদ্যোক্তা হতে চান তবে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য যাতে ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্ক জেনে নিতে পারবেন।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ব্যবসা করার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস টিকস সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জেনে নিন।
ভূমিকা।২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসা করে সফলতা পেতে হলে ব্যবসা করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।কেননা আপনি যদি ব্যবসা করা টিপস সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে সারা জীবন ব্যবসা করেও আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।পৃথিবীর প্রতিটি ধনী ব্যক্তি ব্যবসা করে ধনী হয়েছেন।পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নাই যে চাকরি করে একজন সফল মানুষ হতে পেরেছেন।
সফল মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন একজন সঠিক উদ্যোক্তা।আপনি যদি সঠিক উদ্যোক্তা হতে পারেন আর আপনার যদি ব্যবসা করার কিছু আউট নলেজ থাকে তাহলে আপনি ব্যবসা থেকে খুব সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।তাই আজকের এই আলোচনা থেকে আপনাদের কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসা যা এমন ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।আপনার যদি ব্যবসা করার জন্য পুঁজি কম থাকে তাহলে হতে পারে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারী।তাই চলুন আর দেরি না করে ঝটপট ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান সময়ে চাকরির প্রতিযোগিতার কারণে কিন্তু অনেকেই চাকরির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে যার কারণে অনেকে ব্যবসা করার বিষয়ে আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাইছে স্বল্প পুঁজি ২০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আমরা আলোচনা করব। অল্প পুজিতে অনেক রকমের ব্যবসা করা সম্ভব বিশ হাজার টাকার ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।
মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাঃ এখন কিন্তু মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা অনেক ভালো মানের যেখানে সার্ভিসিং করার মাধ্যমে আপনি কিন্তু স্বল্প পুঁজির মাধ্যমেই ভালো মানের ব্যবসা করতে পারবেন এবং এখান থেকে অর্থ উপার্জন করা সহজ। এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল এটি বর্তমানে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এ পরিণত হয়েছে যেহেতু এর ব্যবহার বেড়েছে তাই এর সার্ভিসিং এর চাহিদাও বেড়েছে।
ফলের ব্যবসাঃ আপনি যদি ফলের ব্যবসা করেন তাহলে কিন্তু ভালো মানের লাভ করতে পারবেন। কারণ ফলের ব্যবসাতে প্রচন্ড লাভ হয় এবং প্রতিদিনই ফল বিক্রয় হয়। ফলে পুষ্টিগুণের ব্যাপারে আমরা কমবেশি সবাই জানি এছাড়া সাধেও এটি দারুন প্রতিদিন বিভিন্ন ফল প্রচুর বিক্রি হয়ে থাকে।
চাহিদা বিবেচনায় এটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। আপনি চাইলে আপেল, কমলা, কলা, বেদেনা, নাশপাতি বিভিন্ন প্রজাতির আঙ্গুর, খেজুর, মাল্টা সহ বিভিন্ন ফল নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। ফল সাধারণত কার্টুন বক্স হিসেবে বিক্রি হয় প্রতি কার্টুন বক্সে ১৬ থেকে ২০ কেজির মতো ফল থাকে আপনি প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে সাত রকমের ফল নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
লবনের ব্যবসাঃ আপনি যদি লবণের ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং সহজ ব্যবসা হতে পারে খাবারের রান্নার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই জন্য আপনি কিন্তু ২০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন আপনি মানসম্মত লবণ উৎপাদনকারী কোম্পানির নিকট থেকে খোলা লবণ সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেই লবণ বিভিন্ন দোকানের সাপ্লাই দেয়ার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারে এছাড়া প্যাকেট যেন ভালো মানসম্পন্ন লবণীয় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনি এই কোম্পানিগুলো থেকে লবণ কম দামে কিনে সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন এছাড়া এর বড় সুবিধা হলে এটি অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসার থেকে তুলনামূলক সহজ।
আলু-পেয়াজের ব্যবসাঃ আপনি যদি আলু পেঁয়াজের ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু এই ব্যবসাটা আপনার জন্য অনেক ভালো হতে পারে। শুকনো সবজির মধ্যে আলু পেঁয়াজ বিক্রয় করার মাধ্যমে আপনি লাভ করতে পারেন। আপনি পেঁয়াজ ওঠার পরে সেই পেঁয়াজটাকে সংরক্ষণ করে রাখবেন এবং পরবর্তীতে যখন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হবে। সেই সময় আপনি সেই পেঁয়াজগুলো বিক্রয় করলে কিন্তু ভালো মানের লাভ হবে। এছাড়াও আলুও এইভাবে আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন এবং বিক্রয় করতে পারেন।
কাঁচা সবজির ব্যবসাঃ আপনি যদি কাঁচামালের ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু এটাও আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। স্বল্প পুঁজি ২০ হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু এই ব্যবসা নিয়ে আপনি নামতে পারেন। কয়েক ধরনের কাঁচামালের সবজি আপনি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং এটা থেকে লাভের সম্ভাবনা বেশি হয়।
এই জন্য আপনি ছোটখাটো দোকান নিয়ে কাঁচা সবজির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়া আপনি ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে এই ব্যবসাটাও করতে পারেন। এই ব্যবসা কাঁচা সবজি যেহেতু দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় না। তাই সেগুলো টাটকা সংগ্রহ করে বিক্রি করতে হয় তাই আপনি যদি পুঁজি থেকে কাঁচা সবজির ব্যবসা করার জন্য অল্প টাকায় ছোট্ট একটি দোকান অথবা কোন ভাল জায়গা নিয়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনার ব্যবসায় লাভ হতে পারে অনেক বেশি।
চা এর দোকান ব্যবসাঃ আপনি কিন্তু চায়ের দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা করে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। কারণ এই ব্যবসাটি রানিং ব্যবসা প্রায় সবসময়ই এই দোকানে কাস্টমার থাকে। অল্প পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। জনসমাগম বেশি এমন প্লেসে চায়ের দোকানের ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত জায়গা । আপনি চাইলে ২০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা করতে পারবেন।
চায়ের পাশাপাশি কলা,ব্রেড এগুলো রাখতে পারবেন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এর মাধ্যমে বাড়তি আয় পাবেন ইনশাআল্লাহ। তবে অনেকেই চায়ের দোকানে বিড়ি সিগারেট এবং পান বিক্রয় করে যা একদমই অনুচিত। এগুলো লাভের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি।
ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল ব্যবসাঃ অনেক মানুষই একটি অন্যতম শখ হলো ভ্রমণ করা বিভিন্ন সময় মানুষ তার পরিবার-পরিজন নিয়ে দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণে যায় কিন্তু তারা যদি সেই জায়গা সম্পর্কে না জেনে থাকে সেই সময় কিন্তু তারা দূরের গাইডের প্রয়োজন পরে এবং আপনি যদি ট্যুর এন্ড ট্রাভেলের ব্যবসা করেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য অনেক ভালো হতে পারে এটা একটি ভালো ব্যবসা হতে পারে স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন।
আপনি ২০ হাজার টাকা থেকে এই ব্যবসাটা স্বল্প পরিসরে ট্যুর এন্ড ট্রাভেল ব্যবসা করতে পারেন আপনি যদি একটি ভাল কম্পিউটার ল্যাপটপ থাকে এবং ওয়েবসাইট পরিচালনা বিষয়ে কাজ করেন তাহলে একটি ওয়েবসাইট খুলে এই ব্যবসার কাজ করতে পারেন।
কাস্টমাইজড ফার্নিচার ব্যবসাঃ ফার্নিচারের ব্যবসা হতে পারে বড় ধরনের ব্যবসা তবে আপনি যদি ২০ হাজার টাকার মধ্যে ছোটখাটো ফার্নিচার গুলো তৈরি করার ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু পুরনো ফার্নিচার কিনেও আপনি সেগুলোকে কাস্টমাইজ করে ফার্নিচার ব্যবসা করতে পারেন এতে আপনি কম খরচে ভালো লাভ করতে পারবেন।
পুরাতন ফার্নিচার কম দামে কিনে তারপর সেগুলোকে কাস্টমাইজ করে নতুন এর মত সার্ভিস করে লাভ সহ বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি কাস্টমাইজ ফার্নিচারের ব্যবসা করতে পারেন অনলাইনে বিক্রি করার পাশাপাশি ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং bikroy.com এর মত সাইটে ওইগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রয় করতে পারেন এবং এটি লাভজনক ব্যবসা।
কাঠের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে কাঠের ব্যবসা করতে পারেন কাঠের ব্যবসাতে বেশি পুঁজি লাগলো কিন্তু স্বল্প পুঁজি দিয়ে ছোটখাটো একটি ব্যবসা শুরু করে। সেখান থেকে লাভ করার মাধ্যমে আপনি ব্যবসার পরিসরে বাড়াতে পারেনি। এই ব্যবসা শুরু করতেও ২০ হাজার টাকা থেকে আপনি কাঠ কেনার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। লাভের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা আরো বৃদ্ধি করতে পারবেন তাই জন্য আপনি যদি কম খরচের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে কিন্তু লাভজনক হতে পারে কাঠের ব্যবসা।
মাছের ব্যবসাঃ আমরা মাঝে মাঝে বাঙালি তাই ছোট বড় সবাই মাছ খেতে পছন্দ করি মাছ যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমন বেশকিছু মাছ আছে যেগুলো স্বাদ ও গুনে অতুলনীয় তাই জন্য আপনি যদি বিশ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু মাছের ব্যবসাটা হতে পারে অনেক ভালো আপনার জন্য কম খরচে এই ব্যবসাটা করতে পারবেন আপনি যদি বাজারের মাছ গাদি ভাড়া নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে করান সে ক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ এবং রিটার্ন এইরকম কম হবে।
এখন বর্তমানে কিন্তু অনলাইনে মাছের প্রচুর ব্যবসা চলছে বাজারের অবস্থান ভেদে মাছের গদি ভাড়া এবং advance কম বেশি হবে এই পদ্ধতিতে গেলে আপনি ২০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে পারবেন না আপনি বিনিয়োগ বেশি লাগবে তাই মাছের ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ হাজার টাকা শুরু করে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা। কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনি মাছ পাঠাতে পারবেন অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে তাহলে আপনার লাভও হবে।
পোশাকের ব্যবসাঃ আপনি যদি পোশাকের ব্যবসা করতে চান বা পোশাক পরা পছন্দ করেন তাহলে কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে পোশাকের ব্যবসা করতে পারেন। স্বল্প মূলধন ও পুজিতে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ২০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটা অনেক ভালো হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন অফলাইনের মাধ্যমে আপনি একটি ছোট দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন।
কম দামে পোশাক কিনে আপনি বেশি দামে অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রয় করে সেখান থেকে লাভ করতে পারবেন। যে কোন অনলাইন পোশাক বিক্রি করতে হলে আপনি থ্রি পিস, কুর্তি, শাড়ি, টি শার্ট, জিন্স, রেডিমেন্ট প্যান্ট এবং ঈদের সিজনাল পাঞ্জাবি ইত্যাদি পোশাকের উপর অনেক চাহিদা থাকে এই সকল পোশাক নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।
খাবারের ব্যবসাঃ আপনি যদি স্বল্প মূলধনের মাধ্যেমে ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু খাব খাবারের ব্যবসা হতে পারে। আপনার জন্য ভালো ব্যবসা এই ব্যবসা করতে কম খরচে ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন খাবার পণ্য আপনি দেখিয়ে সেই খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যার জন্য আপনার কম্পোজিতে ভালো রান্না করে বাড়ি থেকে সেই খাবারটি হোম ডেলিভারি ও করতে পারবেন।
অল্প কিছু আইটেম দিয়ে শুরু করলে খাবারের স্বাদ ওমান দুইটাই ভালো থাকবে এবং আপনি রিপিট কাস্টমার পাবেন। যেটা এই ব্যবসা জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখনকার সময় খাবার ডেলিভারি নিয়েও ভাবতে হবে না। কারণ এই সার্ভিসটা দিয়ে থাকে এরকম বেশ কিছু পেশাদার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
হাঁস মুরগি পালনঃ আপনি যদি হাঁসমুরগি সমর্থ্য অনুযায়ী কিনে পালন করতে চান বা খামার করতে চান তাহলে স্বল্প মূলধন দিয়ে শুরু করতে পারেন কম হাঁস মুরগি নিয়ে এই খামার তৈরি করতে পারেন এরপরে সেটা বৃদ্ধি করতে পারেন। বিশ হাজার টাকার মধ্যে ও আপনি এ খামার তৈরি করে অল্প পরিসরে হাঁস-মুরগি লালন পালন করে বিক্রয় করে লাভ করতে পারবেন।
ফুলের ব্যবসাঃ আপনি বিভিন্ন রকমের ফুল বিক্রয় করার ব্যবসাটা বেছে নিতে পারেন কারণ বিভিন্ন সিজনে কিন্তু ফুলের ব্যবসা অনেক জমজমাট হয়ে ওঠে। এই জন্য আপনি চাইলে এই সিজনাল ব্যবসা করতে পারেন। ছোট্ট দোকান নিয়ে সেই ব্যবসা ও নিয়মিত করতে পারবেন। তার জন্য ফুলের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য লাভজনক ফুলের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
পেইন্টিং ব্যবসাঃ আপনার যদি হাতের কাজ ভালো হয় এবং আপনি যদি সুন্দর পেইন্টিং করতে পারেন। যেমন কাপ, পিরিজ, মাটির পট, সুপারি পাতার খোল, আয়না, কাঠের জিনিস মনের মত রং করে সো পিস তৈরি করেন এবং অনলাইনে বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা করছেন। তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ তৈরি করে খুব সহজে অল্প খরচে বিজনেসটা শুরু করতে পারেন।
ব্লগিং ব্যবসাঃ দেশে-বিদেশে কনটেন্ট রাইটারদের প্রতি চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওয়েবসাইট এর জন্য বাংলায় এবং ইংরেজিতে কন্টেন্ট লিখে ফুল টাইম প্রফেশন হিসেবে এটিতে প্রচুর ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। যে কোন লিখিত ভাষার দক্ষ হয়ে থাকলে কন্টেন রাইটিং জব এ পার্ট টাইম হিসেবে অনেক আয় করা সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ আপনি যদি স্বল্পপরিসরে টাকা নিয়ে এই মার্কেটিং পোস্টটি করেন। তাহলে কিন্তু আপনার জন্য প্যাসিভ ইনকামের একটি সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ আপনি দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে শিখে যেতে পারবেন। এর পরে আপনি অনলাইনে অফলাইন দুই দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন এবং সেটা থেকে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
স্ট্রিট ফুডঃ ছুটি দিনগুলোতে বা বিতালের পর থেকে রাস্তায় স্পীডহুড ব্যাংকগুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। ফুচকা, চটপটি, স্যুপ, নুডুলস, কাবাব, ঝাল মুড়ি, মোমো, বার্গার সকল কিছু খাবারের জন্য কিন্তু মানুষ ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ভালো মানের খাবার হলে কিন্তু এই ব্যবসা থেকে আপনি অনেক লাভ করতে পারবেন তাই মাত্র বিশ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটা খুব সহজেই করতে পারেন।
ড্রপ শিপিংঃ ড্রপ শিপিং একটি বিজনেস পদ্ধতি যাতে কোন মূলধন লাগে না বা খুব সামান্য কিছু খরচ হয়। এমন কি আপনার কোন দোকান ভাড়া লাগবে না আপনার নিজস্ব কোন পণ্য না থাকলেও হবে। অন্যের পণ্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে বা যেকোন ই-কমার্সআই থেকে কাস্টমারদের অর্ডার অনুযায়ী বিক্রি করবেন। যে কোন অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে তবে অনলাইনে যে কোন কাজের জন্য আপনার ল্যাপটপে ও ইন্টারনেট সংযোগ্য থাকতে হবে।
দেশীয় পণ্যঃ গ্রামীণ পদ্ধতিতে তৈরি করা দেশীয় পণ্যগুলো নিয়ে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন দেশীয় পণ্য যেমন কম দামে ক্রয় করে আপনি সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যার মধ্যে নকশি কাঁথা, তাঁতের শাড়ি, বাঁশের বা পাতার তৈরি ঝুড়ি পাটি, পাপোশ ইত্যাদি। কেউ বানায় বা উৎপাদনকারী কারখানা সাথে আপনি যদি যোগাযোগ করে সেগুলো অনলাইনে সেল করতে পারেন।
ই-বুকিং ব্যবসাঃ বর্তমানে বাংলাদেশের রকমারি.কম সবচেয়ে বড় অনলাইন বই বিক্রিয়া প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে আইডিয়া নিয়ে অনেক রকমের ব্যবসা পরিকল্পনা করা যায়। অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড বই বিক্রয় করে থাকে। গল্পের বই থেকে শুরু করে পড়াশোনা বিষয়ক বই পাবেন নতুন বই যাদের না হলে হয় তারা অল্প দামে বই পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। এভাবে অল্প টাকায় কিছু বিষয় ভিত্তিক বই কিনে ফেসবুকের মাধ্যমে ই কমার্স সাইটে দিয়ে বই বিক্রি করতে পারবেন।
আচারের ব্যবসাঃ যারা ঘরে বসে স্মার্ট বিজনেস করতে চান তারা কিন্তু আচারের ব্যবসা করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। এমনিতে অনেকে আচার তৈরি করতে পারেন বা না পারেন পারলেও শিখে নেওয়ার কোন ব্যাপার না যদি পর্যাপ্ত সময় ম্যানেজ করতে পারেন। বিশ হাজার টাকার মাধ্যমে আপনারা ভালভাবে আচারের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং লাভ করতেও পারবেন।
ছাগল পালনঃ স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে আপনি কিন্তু ছাগল পালন করতে পারেন ২০ হাজার টাকার মধ্যে তিন থেকে চারটি ছাগলের বাচ্চা কিনে সেই ছাগল পালন করে আপনি বড় করতে পারেন। সেই ছাগলগুলো বড় করে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভ করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে লক্ষ টাকাও আয় করতে পারেন এই কোর্স করে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার মত লাগবে। পড়ার মাধ্যমে আপনি কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে যাবেন এবং এই মার্কেটিং করে আপনিও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সেলাই মেশিন ব্যবসাঃ মহিলাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবসা হলো সে লয় মেশিনের ব্যবসায় এটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এটিতে আগ্রহ ও দক্ষ হতে হবে সেলাইয়ের পারদর্শী না হলে শুধু যদি আগ্রহ থাকে। তাহলে কোর্স করে বা ইউটিউব দেখে শিখে নেওয়া যায় সেলাই মেশিন ও অন্যান্য সেলাইয়ের সামগ্রী ২০ হাজার টাকার মধ্যে কেলেম ফেলা সম্ভব। বর্তমানে অনেক মহিলারা সংসারের পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ করে আয় করে থাকেন।
শেষ কথা। ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
প্রিয় পাঠক বিশ্বাস নিশ্চয়ই আপনারা আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।আমাদের মধ্যে অনেকেই অল্প পুঁজির মধ্যে ব্যবসা শুরু করার কল্পনা করে থাকি।সঠিক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে না জানার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারি না।
আজকের আলোচনার ২০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আর্টিকেল শেষ করে নিশ্চয়ই আপনিও আপনার পছন্দের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্তই আবারও কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url