সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে এ আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। সূর্যমুখী ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুব দুষ্কর। এটি সবারই পছন্দের একটি ফুল। তবে অনেকেই সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নাই। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা, সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা, সূর্যমুখী ফুলের বৈশিষ্ট্য, সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা ইত্যাদি এসব সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

সূর্যমুখী এক ধরনের এককোষী ফুল গাছ বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের বাণিজ্যক চাষ করে থাকে।তাছাড়াও এটি দৃষ্টিনন্দন হিসাবে সবার কাছে খুব পরিচিত। তবে সূর্যমুখী ফুল তেল বীজ হিসাবে ও দারুন সমাদৃত। এবং এই সূর্যমুখীর তেল বীজে অনেক ধরনের উপকারী ও গুণ রয়েছে। তাছাড়াও আমাদের শরীরে এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে,এবং শরীরের দীর্ঘদিন ধরে কর্মক্ষম রাখতে হবে সূর্যমুখী ভূমিকা পালন করে। তবে অনেকে এ সম্পর্কে জানলেও সূর্যমুখী  ফুলের  উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী গুনাগুন সম্পর্কে। 

সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা

সূর্যমুখী বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপাদান। যেমন খনিজ পদার্থ ভিটামিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি। সূর্যমুখী বীজ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ সাড়িয়ে তোলে এবং নানাভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া সূর্যমুখী  ফুলের উপকারিতা অনেক রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকারী। 

এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানঃ সূর্যমুখী বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। তাছাড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করে। তবে নিয়মিত এটি খেলে অস্টি ও আর্থ্রাইটিস, অ্যাজমা,বাতরোগ এসব নিরাময় করতে বেশ ভূমিকা পালন করে।

হাড় শক্তিশালী করেঃ হাড় ভালো ও সুস্থ থাকার জন্য ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম এ দুটোই বেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং সূর্যমুখী বীজ খনিজ পদার্থ খুব ভালো উৎস। যার ফলে এটি হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ  সূর্যমুখী বীজে রয়েছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরল ও লিগন্যানস যা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধক কারি।যার ফলে এসব উপাদান গুলো শরীরের কোষ তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে।

চুল পড়া রোধ করেঃ  সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন বি ৬। যা আমাদের মাথার জন্য বেশ উপকারী। এটি মাথায় স্কাল্পে অক্সিজেন সাপ্লাই করে থাকে এবং চুল পড়া থেকে রোধ করে। এবং জল নতুন চুল জন্মাতে একটি সাহায্য করে। তাছাড়াও এতে রয়েছে কপা যা চুলের স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখতে সহায়তা করে।


ত্বক কমল রাখেঃ সূর্যমুখী বিচিতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা খুব ভালো একটি উৎস। ফলে এটি ত্বককে এলাস্টিক ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে মসৃণ, কোমল ও নরম রাখতে সাহায্য করে।

দাগ দূর করেঃ সূর্যমুখী বিচি হয়েছে ফ্যাটি এসিড, কোলাজেন ও এলাস্টিক যা ত্বকের দাগ দূর করে থাকে। তাছাড়াও এতে আরো রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ। যা জীবাণুর সংক্রমের হাত থেকে রক্ষা করে।

কোলেস্টেরল কমায়ঃ এই বীজে ফাইটোস্টেরল থাকায় যা রক্তের কোলেস্টের মাত্রা কমায় থাকে।

স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখেঃ এই বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম নার্ভ সেলের। যা ক্যালসিয়াম মাত্রা কমিয়ে স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

মানসিক স্বাস্থ্যঃ সূর্যমুখী বিচিতে রয়েছে টিপটোফেন নামক উপাদান। এবং এটি একপ্রকার এমিনো এসিড। যার ফলে এটি শরীরের সেরেটোনিন উপাদানের সহায়তা করে। এবং সেরেটোনিন হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা আমাদের শরীরের ভিতর থেকে ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।

সূর্যমুখী ফুলের তেলের উপকারিতা

আমাদের দেশের সবথেকে পরিচিত একটি তেল হচ্ছে সূর্যমুখী। এবং এটি এককোষী ফুল গাছ। সারা বিশ্বের এই ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।

শুধু তাই নয় এই ফুল নিজের পরিচয়, সবার কাছে তুলে ধরে এবং তার সৌন্দর্য তুলে ধরতে, ও মুগ্ধ করতে বেশ সক্ষম। এবং সূর্যমুখী তেল ঘি এর পরিবর্তন এটি ব্যবহৃত হয়। যা এটি বনস্পতি তেল নামে অতি পরিচিত। সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক রয়েছে। তার পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুলের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানেন না। এ আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।

সূর্যমুখী তেলের কোন তুলনাই হয় না, এই তেল অনন্যা যা রান্নার তেল হতে ভালো এবং হৃদরোগের জন্য বেশ কার্যকরী। এতে কোলেস্টরলের মাত্রা খুবই কম। তাছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি ও ই ইত্যাদি তাছাড়াও আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে এই তেলের।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা

ত্বকে মশ্চারাইজার করেঃ  সূর্যমুখী তেল এটি শুষ্কতা তার বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে এবং ত্বকের আদ্রতা বাড়ায়। গবেষণায় জানা যায় যে, এই তেল ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও এ তেলে রয়েছে লিনোলিক এসিডসহ আরো অন্যান্য উপাদান যা ত্বকের আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে আরো ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকে গভীর থেকে ত্বক মশ্চারাইজার করে এবং আদ্র রাখে।

ব্রণ প্রতিরোধ করেঃ সূর্যমুখী তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নন কমডোজেনিক, যা প্রাকৃতিক উপাদান। এবং এটি ত্বকের যত্নে বেশ দারুন কাজ করে থাকে। যারা হয়তো ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকেন তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভিটামিন এই শক্তিশালী প্রকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এসব উপাদান রয়েছে এ তেলে। এবং এটি ফ্রি রেডিকেল থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সহায়তা করে। এবং ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।যার কারনে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে দূরে রাখে।

বয়সের ছাপ দূর করেঃ  এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যার কারনে ত্বকের বলিরেখা সহ আরো নানা সমস্যা দূর করে থাকে। এবং তার পাশাপাশি বয়সের ছাপ করা থেকে সুরক্ষা দেয়। এবং এতে আরো রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বকের যত্নে বেশি কার্যকর। সূর্যমুখী তেলের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে যা আমাদের ত্বককে নরম কোমল ও তারুণ্য করে দেয়।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষাঃ সূর্যমুখী তেলের প্রাকৃতিক সান প্রটেক্টিভ উপাদান থাকায়। এবং এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, যার ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে ত্বককে মসৃন ও কোমল করতে এর কোন তুলনা হয় না। সূর্যমুখী তেল রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড, যার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে থাকে।

ত্বকের সার্বিক যত্নঃ সূর্যমুখী তেলে ভিটামিন, মিনারেল ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায়। যা ত্বকে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের বেশ এটি উপকারী। তাছাড়াও আরো রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ডি ও ই এবং মিনারেল, তাছাড়াও আরো রয়েছে যেমন, কপার, জিংক ও আয়রন এসব উপাদান সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করে থাকে। এবং সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। তাছাড়াও এ তেল ত্বকে আদ্র রাখে এবং নরম ও কোমল তুলতে সাহায্য করে।

সূর্যমুখী বীজে ১০০ গ্রাম উপাদান পাওয়া যায়

  • ক্যালোরি -৫৮৪
  • প্রোটিন -২১ গ্রাম
  • ফাইবার - ৯ গ্রাম
  • ভিটামিন ই -৩৫.১৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ১ -১.৪৮ মিলিগ্রাম কেন ঠিক আছে
  • ভিটামিন বি ৫ -৬.৭৫ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ৬ -১.৩৪ মিলিগ্রাম
  • কপার - ১.৪ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম -৩২৫ মিলিগ্রাম
  • চর্বি -৫১ গ্রাম
  • ম্যাঙ্গানিজ -১.৯৫ মিলিগ্রাম
  • সেলেনিয়াম - ৫৩ মাইক্রগ্রাম
  • জিংক - ৫ মিলিগ্রাম
  • আয়রন - ৫.২৫ মিলিগ্রাম
  • ফোলেট -২২৭ মাইক্রগ্রাম

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা 

এই হলুদ রঙ্গের এ ফুলটি দেখতেও যেমন সুন্দর, তেমন এর উপকারিতা ও অনেক বেশি। এবং এর ফুলের বীজ,এটি সব ধরনের বাদাম এবং বীজ অপরিহার্য যা ফ্যাটি এসিড সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশ উৎস। সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় এটি রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা করে। এবং আমার আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা গুলে কি কি 



হার্টের জন্য উপকারীঃ  সূর্যমুখী শুধু উপকারী নয়, এটি দেখতে রূপময় ও গুনে তার অনন্যা। এবং সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে অন্যান্য তেলের বীজে ক্ষতিকারক উপাদান, বিশেষ করে কোলেস্টেরল থাকলেও এই সূর্যমুখী তেলে তা নেই। বরং এর উপকারী উপাদান ও পুষ্টিগণ প্রচুর পরিমাণে ভরপুর। 

এবং আমাদের শরীরে কোলেস্ট্রল মাত্রা কমিয়ে থাকে এই সূর্যমুখী ফুল। অতএব যাদের শরীরে কলেস্টেরল মাত্রা বেশি রয়েছে তাদের জন্য এই তেল উপকারী। এবং লো ডেনসিটি লাইপ্রপাোর্টিন অথবা এলডি এল এটি ধমনীতে জমা হয়ে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াই। 

সূর্যমুখী বীজে রয়েছে লিনোলেইক অ্যাসিড, যার কারণে কোলেস্টরেল বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং এলডি এল এর মাত্রা কমায়। তাছাড়াও এতে আরো রয়েছে অলিক এসিড ট্রাইগ্লিসারাইড কম করে হার্ট অ্যাটাক হওয়া থেকে ঝুঁকি কমায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ সূর্যমুখী তেলে রয়েছে ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬, এবং আরো রয়েছে অলিক এসিড। এবং সূর্যমুখী তেলে রয়েছে শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট। তাছাড়াও আরো রয়েছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও জল। এছাড়াও সূর্যমুখী তেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন কে ও মিনারেল ইত্যাদি। যা মুখে যত্নে দাঁতের জন্য বেশ উপকারী এই তেল। 

এবং তাছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগী, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, কিডনি রোগের জন্য এই সূর্যমুখী তেল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি চমৎকার এনার্জির জন্য বেশ উৎস এই তেল। অতএব যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের শরীরে পরিমাণ ইনসুলিন নিঃসরণ করে না। এর জন্য রক্তের শর্করা মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রবাহিত হয়ে থাকে। এবং সূর্যমুখী বীজে ক্লাইমেটিক ইনডেক্স খুবই কম পরিমাণ রয়েছে। এবং এতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা আমাদের ব্লাড সুগার কম করে থাকে।

সূর্যমুখী ফুলের বৈশিষ্ট্য

সূর্যমুখী এক ধরনের এককোষী ফুল গাছ হিসাবে পরিচিত। এটি লম্বায় ৩ মিটার ৯.৮ ফুট হয়ে থাকে,ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার ১২ ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাছাড়াও এর ফুল দেখতে অনেকটা সূর্যের মতো এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে অতএব এর এরূপ নামকরণ।

সূর্যমুখী ফুলের পুষ্টিগুণ

সূর্যমুখী বীজের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি থাকায়, সূর্যমুখী বীজের তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটাতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়া আমার আমাদের দেহে কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে এবং দীর্ঘদিন কর্মক্ষম বেশ সূর্যমুখী তেলের ভূমিকা পালন করে।সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  তাছাড়া  সূর্যমুখী ফুলের পুষ্টিগুণে রয়েছে অনেক বেশি। 

তাছাড়া সূর্যমুখী বিচিতে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

তাছাড়াও সূর্যমুখী বীজে আমাদের দেহের হাড় সুস্থ রাখতে ও মজবুত করতে সহায়তা করে। এবং আমাদের দেহের ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও কপার এসব চাহিদা পূরণ করতে এই তেল বেশ ভূমিকা পালন করে।

সূর্যমুখী বীজের অপকারিতা

সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে তেমনি সূর্যমুখী বীজের অপকারিতা রয়েছে। তবে সবাই আমরা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে থাকলেও অপকারিতা সম্পর্কে জানিনা।

আসুন জেনে নেওয়া যাক সূর্যমুখী বীজের অপকারিতা
  • সূর্যমুখী বীজের বেশি পরিমাণে সেবন করলে বমি, পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • সূর্যমুখী বীজে যেসব ব্যক্তিদের অ্যালার্জি যুক্ত রয়েছে, যেমন ফুসকুড়ি, বমি, শ্বাসকষ্ট, মুখের চারপাশ ফোলা ফোলা ভাব ও চুলকানি ইত্যাদি এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • অতএব সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ক্যালরি সমৃদ্ধ। তাই অতিরিক্ত বেশি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • সূর্যমুখী বীজে ক্যাডমিয়ামের চিহ্ন থাকে। যার কারণে অতিরিক্ত এই বীজ খেলে আমাদের কিডনির জন্য বেশ ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • এবং দূষিত অঙকুরিত বীজ খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সমালোচনা হয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপর থেকে আমরা সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করি আপনাদেরকে সঠিক ভাবে ধারণা দিতে পেরেছি।

সূর্যমুখী বীজ আমাদের শরীরের জন্য এটি বেশ উপকারী, শুধু তাই নয় আমাদের ত্বকের জন্য ও চুল পড়া রোধ থেকে বেশ কার্যকর। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে এই তেল। এই তেল ব্যবহার করার ফলে আপনারা অনেক উপকৃত মিলবে।

আশা করি আর্টিকেল থেকে সূর্যমুখী ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানায় দিবেন, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url