মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। মিষ্টি কুমড়া একটি আমেষ জাতীয় সবজি যা অনেকেই খেতে খুব পছন্দ করে। তবে অনেকেরই মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নাই। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম, মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়? মিষ্টি কুমড়া খেলে কি ওজন বাড়ে, মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা এসব সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

মিষ্টি কুমড়া খুব জনপ্রিয় একটি সবজি। পাওয়া যাবে যে এই সবজি পছন্দ করেনা। কমবেশি সবাই এ সবজি খেতে খুব ভালোবাসে। মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে ও যেমনি অনেক সুন্দর তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরপুর। ছোট বড় সকলেই এই সবজি খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আপনি যদি মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করেন না তাহলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তবে মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ আয়রন, জিংক, ফসফরাস, কপার, ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি এতে আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ ধারক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম

মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে  তেমনি মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতাও অনেক। অর্থাৎ  একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিত ১৫/২০ বৃষ্টির মতো বীজ খেতে পারেন।তাছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করো এটি দীর্ঘদিন রাখা যায়। অথবা সালাত তরকারির মধ্যে বীজ যোগ করলে খাবারের পুষ্টিমান বৃদ্ধি পায়। তাছাড়াও আপনি চাইলে নাচসা হিসাবে সকাল ও বিকালে এই বীজ ড্রাই ফুড হিসাবে অথবা অল্প হালকা তেলে ভেজে আপনি খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী মেনে খেলে অনেক উপকৃত হবেন।

মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়?

মিষ্টি কুমড়া অনেক পুষ্টি ও গুনে ভরপুর, এবং মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা বহু। তবে অনেকেরই এই মিষ্টি কুমড়া খেলে গ্যাস হতে পারে। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি তবে আবার কিছু কিছু লোকের মিষ্টি কুমড়া খেলে এলার্জি হতে পারে তাছাড়াও মিষ্টি কুমড়ায় পেট খারাপ হতে পারে অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অনেকেই অন্যান্য খাবার থেকে গ্যাস হয়ে থাকে। তবে কিছু লোকের মিষ্টি কুমড়া খেলে গ্যাস হতে পারে। তাছাড়া এ মিষ্টি কুমড়া উপকারিতার শেষ নাই।

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা

আপনারা হয়তোবা এতক্ষণে ধারণা নিতে পেরেছেন মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা সম্পর্কে।মিষ্টি কুমড়া দেখতে যেমন সুন্দর,খেতেও তেমনি সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। অনেকেই মিষ্টি কুমড়া ভাজি ভর্তা ও তরকারি হিসাবে রান্না করে খেয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও উপাদান। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মিষ্টি কুমড়া একটি বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন নিয়মিত যদি এই মিষ্টি কুমড়া খাওয়া হয় তাহলে রোগ ব্যাধি সংক্রমণ কমে যায়। মিষ্টি কুমড়া রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই যা আমাদের মানব দেহের ক্যান্সার ও আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমায় থাকে। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ায় আরো রয়েছে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তার পাশাপাশি সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে এটি সহায়তা করে।

হাই প্রেসার কমায়ঃ যাদের হাই প্রেসার রয়েছে তারা নিয়মিত এই মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। কারন মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম তা এটি আমাদের শরীরে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।


চোখ ভালো রাখতে মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বা বিটাক্যারোটিন। যে আমাদের চোখের জন্য বেশ উপকারী। তবে আমাদের চোখে রেটিনার বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধ করতে এই মিষ্টি কুমড়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এটা শুধু চোখের অসুখী নয় মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন এ এর অভাবজনিত অন্যান্য আরো রোগেও মিষ্টি কুমড়ায় বেশ উপকারী। তাই সুস্থ চোখ ও সচল রাখতে, প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় এই মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন।

খাদ্য হজমে সাহায্য করেঃ মিষ্টি কুমড়া রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ ও ফাইবার। যা খুব সহজেই হজম হয়ে থাকে। এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর বেশ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহ করতে এই মিষ্টি কুমড়ার কোন তুলনা হয় না।

ত্বক উজ্জ্বল করেঃ মিষ্টি কুমড়া শুধু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী না এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে মিষ্টি কুমড়া বেশ সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ ও সি যা আমাদের চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।প্রতিদিন নিয়মিত যদি এ সবজি খাওয়া হয় তাহলে চুল উজ্জ্বল ও চকচকে ত্বকের জন্য খুব উপকারী । তাছাড়া এটি বয়সে চাপ দূর করতে কুমড়োর অতুলনীয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে। এবং তার পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে এটি সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস ও উপকারিঃ মিষ্টি কুমড়ার শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে থাকে। এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। তাছাড়াও এটি হজমে বেশ সাহায্য করে এবং প্রোটিন সরবরহ করে থাকে কুমড়োর বিচি। যার ফলে রক্তের চিনির পরিমাণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বয়সের ছাপ কমায়ঃ মিষ্টি কুমড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড। যা ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে। এবং তার পাশাপাশি অস্ট্রিপোরোসিস প্রতিরোধ করতে হয় সহায়তা করে। তাছাড়াও বয়সের চাপ প্রতিরোধ করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে।

মিষ্টি কুমড়ার খেলে কি ওজন বাড়ে 

মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসাবে সবার কাছে অতি পরিচিত। এবং এটি বিশ্বের ফলন হয়ে থাকে মিষ্টি কুমড়া। মিষ্টি কুমড়া সবজি হলো এর উপকারিতা অনেক এবং সুস্বাদ ও গুণে ভরপুর। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু ধারণা রয়েছে যে এটি খেলে রক্তের শর্করা বাড়তে পারে। আবার অনেকেরই ধারণা রয়েছে বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে ? তবে আসলে ধারণাটা সঠিক নয়।


কারণ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে কম ক্যালরি। এবং ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় ক্যালরি পরিমাণ ২৬ গ্রাম এর ভিতরে সম্পৃক্ত যা চর্বি বা কোলেস্টরেল শূন্য। তবে যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত,অর্থাৎ ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

মিষ্টি কুমড়া রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ ভিটামিন ও খনিজ।তাছাড়াও এই সবজিতে রয়েছে সব থেকে বেশি ভিটামিন এ। যা প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় সাড়ে সাত গ্রাম। তাছাড়াও আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন জ্যানথিন ও বিটাক্যারোটিন ইত্যাদি। এবং চোখ ভালো রাখতে ম্যাকুলার ক্ষয়রোধ করতে বেশ উপকারী এটি গবেষণায় প্রমাণিত। তাছাড়াও আরো রয়েছে বি কমপ্লেক্স, কপার, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তবে এসব উপাদান পুরোপুরি পেতে হলে আধা সিদ্ধ রান্না করে খেতে হবে। তাতে অনেক উপকারী পাব।

মিষ্টি কুমড়ায় খেলে এলার্জি হয়?

অনেক মানুষই রয়েছে এলার্জি দেখে ভয়। তবে মিষ্টি কুমড়ায় এলার্জির প্রতিক্রিয়া বিরল। তবে অনেকেরই এটি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকেরই বিভিন্ন খাবার থেকে এলার্জি হয়ে থাকে।মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা থাকলেও এর অ্যালার্জি আছে কিনা তা অনেকেরই সন্দেহ। তবে মিষ্টি কুমড়া, মাংস সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বলা হয়। এবং এই পুষ্টিকর খাবার প্রায় সব মানুষেরই ভালোভাবে সহ্য হয়ে থাকে। যাইহোক তবে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে এবং প্রতিক্রিয়া তীব্রতায় পরিবর্তিত হতে পারে।
মিষ্টি কুমড়া অথবা অন্যান্য খাবার এলার্জির লক্ষণ সমূহ গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

  • ত্বকের ফুসকুড়ি হওয়া
  • পেট ব্যথা হওয়া
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • ডায়রিয়া
  • পুরা শরীর চুলকানি
  • ত্বক ঠোট ফুলে যাওয়া
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হবে
তবে এটি গুরুতর অবস্থায় একটি খাদ্য এলার্জির অ্যানাফিল্যাক্সিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়াও এটি জীবন হুমকির প্রতিক্রিয়া যার জন্য এর অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন।

তবে আপনি যদি সন্দেহ করে থাকেন। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার ফলে যদি আপনার এলার্জির সমস্যা অনুভব করছেন। তাহলে অবশ্যই এর অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায়তা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও অন্যান্য খাবারও যদি আপনার অ্যালার্জি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে মিষ্টি কুমড়া সহ আপনার খাদ্য তালিকা থেকে এসব খাবার থেকে বিরত থাকুন।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়া অন্যান্য সবজি থেকে খুবই অন্যতম। তবে হয়তো বা অনেকে জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে অনেককে রয়েছে যারা এর বিচি খাওয়ার অযোগ্য বলে ফেলে দিয়ে থাকে। তবে কুমড়োর বিচির পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এবং মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একটি উৎস।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। তবে এতে কোন কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। কারণ এটি একটি নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। তবে মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, কপার, ভিটামিন ই, আয়রন ও ফাইবার ইত্যাদি সহ।

তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজ উপকারিতা যথা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে ভিটামিন ই, জিংক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এবং ইউনিটি ভালো থাকলে যেকোনো রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারেনা ও প্রতিরোধ করা যায়।


ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যার রক্তের শর্করা মাত্রা হ্রাস করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের এটি গ্রহণ করলে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।

ভালো ঘুমঃ মিষ্টি কুমড়া বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড। যার ফলে ঘুম হতে বেশ সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজের থাকায় ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এবং খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারেট কমায় থাকে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

হাড় মজবুত করেঃ এই বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। যা ডেনসিটি বৃদ্ধি করে থাকে এবং হারকে মজবুত করতে সাহায্য করে।

মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা

মিষ্টি কুমড়া অনেকেরই খুব পছন্দের একটি সবজি। তাইতো অনেক মানুষ প্রায় প্রতিদিনই এই খাদ্য তালিকায় এ পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন। তবে মিষ্টি কুমড়ার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এর কোন জুড়ি নাই। মিষ্টি কুমড়ায় উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। কিন্তু তাই বলে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খেলে ক্ষতি হতে পারে?

চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

রক্তচাপ অনেক কমে যেতে পারেঃ রক্তের শর্করা মাত্রা কমতে মিষ্টি কুমড়ার কোন বিকল্প নেই। তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই সবজিটি ভালো কাজ করে থাকে। অতিরিক্ত বেশি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

হজমের সমস্যাঃ অন্যান্য অনেক সবজির তুলনায় মিষ্টি কুমড়ার হজম করাটা একটু কঠিন। তবে এই মিষ্টি কুমড়ার কিছু উপাদান যা পেটের গন্ডগোলের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়াও অতিরিক্ত কুমড়া খেলে পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


ওজন বৃদ্ধিঃ মিষ্টি কুমড়া ১০০ গ্রাম বা তার কম খেলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু তার চেয়ে বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। কারণ এই সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ অন্য সবজি তুলনায় একটু বেশি।

শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারেঃ যাদের ডাইবেটিস রোগ সমস্যা রয়েছে। তারা কুমড়ো খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা কমে যায়। তবে যে সব রোগীরা ডায়াবেটিসে ভোগেন তাদের কুমড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে অতিরিক্ত কুমড়া খেলে রক্তে শর্করার হার কমে যেতে পারে। যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপর থেকে আমরা মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম আশা করি আপনাদেরকে সঠিক ভাবে ধারণা দিতে পেরেছি। 

আমাদের মানব দেহের জন্য মিষ্টি কুমড়া এই সবজিটি  অনেক উপকারী। আপনি চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই সবজিটি রাখতে পারেন। তাতে অনেক উপকৃত হবেন।

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টে জানিয়ে দিবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
3 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Md Sirajul Islam
    Md Sirajul Islam May 29, 2024 at 12:04 AM

    মিষ্টি কুমড়া আমার অনেক পছন্দের তরকারি।

    • azima blog
      azima blog May 29, 2024 at 12:10 AM

      প্রিয় পাটক আপনার যদি আরও কিছু জানার থাকে ,কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ ।

    • Md Sirajul Islam
      Md Sirajul Islam May 29, 2024 at 12:13 AM

      আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url