বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। বোয়াল মাছ খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। কম বেশি সবাই বোয়াল মাছ খেতে খুব ভালোবাসে। তবে অনেকেরই বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নাই। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে বোয়াল মাছের উপকারিতা, বোয়াল মাছের পুষ্টিগুণ, বোয়াল মাছের বৈশিষ্ট্য, বোয়াল মাছে কে এলার্জি আছে? বোয়াল মাছের উপকারিতা ইত্যাদি এ সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা।বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বোয়াল মাছ ক্যাটফিস প্রজাতির হয়ে থাকে। এই মাছ বড় নদী এবং হ্রদ এসব জায়গাতে বেশি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় এই মাছটি ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া সহ আরো অনেক দেশে পাওয়া যায়। তবে এই মাছে হিংসতার কারণে এই মাছকে মিষ্টি জলের হাঙ্গর বলা হয়ে থাকে।

তাছাড়াও বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক বেশি। বোয়াল মাছ খেতে অনেকটা সুস্বাদু। তবে এটা যদি কোন বড় ধরনের নদীর মাছ হয়ে থাকে তাহলে তো এর স্বাদের কোন তুলনাই হয় না।বোয়াল মাছের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এজন্য বর্তমান সময়ে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে অনেকেই এই বোয়াল মাছ খেয়ে থাকলেও বোয়াল মাছের উপকারিতা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানে না তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বোয়াল মাছ খাওয়া কি ভালো?

আমরা প্রথমে জানেছি বোয়াল মাছের উপকারিতা অনেক । তবে ক্যাটফিশ ও বোয়াল মাছ নামেই বেশ অতি পরিচিত। মিঠা পানির এ মাছটি মূলত দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার পাওয়া যায়। তাছাড়াও আরো অন্যান্য বিভিন্ন দেশে মাছটি পাওয়া যায়। তবে এই মাছটি বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে খুব সহজে। বোয়াল মাছ রয়েছে ওমেগা থ্রি ফাটি অ্যাসিড বিশেষ করে হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য এটি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়। তবে এ মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই মাছ খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় এ মাছটি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো হবে না।

বোয়াল মাছের খাদ্য

বোয়াল মাছকে রাক্ষসী মাছ হিসেবে সবাই বলে থাকে। কারণ এই মাছটি পানির মুখ পোকামাকড় ও ছোট ছোট মাছ খেয়ে থাকে। আর বড় ধরনের বোয়াল গুলো মাঝারি আকারের মাছ ধরে খায়। তাছাড়াও বোয়াল মাছ পচা প্রাণী দেহ এরা খেয়ে থাকে। তাই এদেরকে মাংস পেশি মাছ হিসাবে বলা হয়ে থাকে।

বোয়াল মাছের পুষ্টিগুণ

  বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়ছে অনেক ।এবং প্রায় ১০০ গ্রাম বোয়াল মাছের রয়েছে
  • প্রোটিন - ১৮.০ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম -৪৯০ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস -৪৯০ মিলিগ্রাম
  • ফ্যাট - ১.৯ গ্রাম

বোয়াল মাছের দাম

বর্তমান সময়ে বোয়াল মাছের অনেক প্রচলিত এবং বোয়াল মাছের উপকারিতা অনেক তাই এটি সমুদ্রের মাছ হিসেবে বাজারে খুব পাওয়া যায়। বোয়াল মাছের ওজন অনেক বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ দু থেকে তিন কেজি হলেই এটি বাজারজাত করে থাকে। কারণ বাজারে সবথেকে বড় গোয়ালে চাহিদা পরিমাণটা বেশি। বর্তমান সময়ে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়।

বোয়াল মাছের উপকারিতা

বোয়াল মাছের রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও বোয়াল মাছের উপকারিতা রয়েছে অনেক। যারা সারাক্ষণ লেখাপড়া ও কম্পিউটার নিয়ে কাজ করে থাকেন। তাদের জন্য বোয়াল মাছ বেশ উপকারী। এবং তাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এ মাছ থাকলে অনেক উপকারিতা পাবেন।

তাছাড়াও বোয়াল মাছ খেলে আমাদের শরীরে শক্তি বাড়ে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, তাই আপনি চাইলে এই মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।শুধু তাই নয় এই মাছ খেলে রক্ত ও পিত্তকে বিশুদ্ধ করবে।


বোয়াল মাছের প্রোটিনের পরিমাণটা বেশ ভালো। যার ফলে এটি মাঝেমধ্যে খেলে আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদাটা ঘাটতি পূরণ করতে পারে। তবে এদিকে এটা খেয়াল রাখতে হবে বোয়াল মাছ শরীরে ভালো করবে না খারাপ করবে তা রান্নার উপর নির্ভর করছে। তবে বোয়াল মাছ বেশি তেল মসলা দিয়ে রান্না করলে এই মাছ আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।

বোয়াল মাছের হয়েছে ভিটামিন বি টুয়েলভ। যা মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নতিতে এ বোয়াল মাছ বেশ উপকারী। তাছাড়াও এটি রক্ত স্বল্পতার ঘাটতি মিটাতে পারে। তাছাড়াও এ মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি প্রচুর পরিমাণে। পেশির গঠনের জন্য এ মাছ খাওয়া বেশ উপকারী।

বোয়াল মাছে বৈশিষ্ট্য

  • বোয়াল মাছ শরীরের দিক দিয়ে দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং উভয় চারপাশে চাপা হয় এবং ক্রমশ লেজের দিকটা লম্বা শুরু হয়ে থাকে।
  • পিছনের দিক টা সোজা হয়ে থাকে।
  • বড় আকারের মুখ হয় এবং মুখের মধ্যে কিছু ছোচালো দাঁত থাকে।
  • মাথা নরম হয় ত্বক দিয়ে আাচছাদিত থাকে।
  • নিম্ন চোয়াল তার উপরে চোয়ালের তুলনায় বেশ দীর্ঘ
  • বোয়াল মাছের বক্ষের দিকে পাখনা কাটা থাকে।
  • তাদের পায়ু ও খুব দীর্ঘ হয়
  • লেজের পাখনা দুইভাগে বিভক্ত আকারে থাকে।
  • বোয়াল মাছের শরীরে কোন আঁশ থাকে না।

বোয়াল মাছের কি এলার্জি আছে?

বোয়াল মাছের প্রতি এলার্জি প্রতিক্রিয়া মৃদু হয়ে থাকে এবং এর সীমাবদ্ধ থেকে গুরুত্বের প্রাণঘাতী ও হতে পারে। অনেক মানুষেরই বিভিন্ন খাবার ও মাছ থেকে এলার্জি হতে পারে বোয়াল মাছের উপকারিতা থাকলেও এর এলার্জি আছে কিনা আপনাকে সেটা প্রথমে জানতে হবে । যদি আপনি প্রথমে বোয়াল মাছ খেয়ে আপনার যদি কোন এলার্জি কোন সমস্যা না হয়ে থাকে। তাহলে মাছটি খেতে পারেন তারপরে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই মাছ থেকে বিরত থাকুন।

বোয়াল মাছের অপকারিতা

বোয়াল মাছের যেমনি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি এর অতিরিক্ত মাত্রা খেলে শরীরের দিক দিয়ে ক্ষতিকর হতে পারে।

বোয়াল মাছ বেশি পরিমাণ খেলে পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে ও অম্বলের সমস্যা বাড়তে পারে। তাছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রা বোয়াল মাছ খেলে শরীরে এলার্জির পাশাপাশি হৃদরোগ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুনঃ

তবে মাঝে মধ্যে এই মাছ খাওয়া ভালো তা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং এ মাছে রয়েছে ভিটামিন বি টুয়েলভ।

শেষ কথা।বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক উপর থেকে আমরা বোয়াল মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলাম আশা করি আপনাদেরকে সঠিক ধারণা দিতে পেরেছি।

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট করে জানাই দিবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url