আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে। তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকে আদা মসলা হিসাবে খেয়ে থাকেন আবার অনেকে চায়ের সাথে মিশেও খেয়ে থাকেন। আমরা অনেকেই আদা খেয়ে থাকলেও এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নাই। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হন। তাহলে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, আদার গুনাগুন, আদা খেলে কি হয়? আদা খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়? পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা ইত্যাদি এসব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

আদা মসলা হিসেবে সবার কাছে অতি পরিচিত। অনেকে আদা মশা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, আবার অনেকে আদা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকে। তাছাড়াও আাদার সকল রোগ নিরাময়ের জন্য বেশ উপকারী। আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, সোডিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ বি৬, ই ও সি জিংক এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট আন্টি ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ইত্যাদি বিদ্যমান। যার ফলে সব ধরনের মানুষই আদা খেতে পারে। কিন্তু সব বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা মধু ও পানি সুস্থ দেহ ও স্বদেশ মনের জন্য বেশ কার্যকরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা

আদার ব্যবহার শুধু চা এবং খাবারের অন্যান্য সুস্বাদু বাড়ায় থাকে না। এ স্বাস্থ্য উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। তবে আরও বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় সকালে আদা খালি পেটে খেলে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় আদা খেয়ে থাকি, তবে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ সকালে খালি পেটে আদা পানি খেলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। অতএব যদি বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকে তাহলে সারাদিন স্বাভাবিকভাবে কাজ করার মত সময় ও ক্যালরি পোড়ায়। যার কারনে অতি সহজেই চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আদার পানি প্রকৃতিকভাবে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে বেশ সহায়তা করে।


ত্বকের জন্য উপকারীঃ আদা পানি আমাদের শরীরে জমে থাকা ময়লাগুলো ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিকেল বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটি সাহায্য করে থাকে। যা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হয়। তাছাড়াও ত্বকের ফুসকুড়ি এবং ব্রণ বার্ধকের লক্ষণ কমাতে এটি বেশ সহায়তা করে আদা পানি।অতএব নিয়মিত আদা পানি খেলে রক্তকে স্বাভাবিকভাবে বিশুদ্ধ করতে হয় এটি সাহায্য করে থাকে।কারণ এর প্রভাব সরাসরি ত্বকে দেখা যায়।

পেটের জন্য উপকারীঃ খালি পেটে আদা পানি খেলে হজম শক্তি বাড়ার বৃদ্ধি পায়। যার কারনে বদ হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের ফোলা ভাব, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং এসব সমস্যাজনিত দূর করতে এটি খুবই কার্যকর। তাছাড়াও এটি খারাপ কলেস্টরের কমাতে বেশ সাহায্য করে থাকে। যার কারনে এটি হৃদরোগ স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতেও বেশ সহায়ক এব হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।

যেভাবে তৈরি করবেনঃ এখন তো আদা নিয়ে তা ভালোভাবে ধুয়ে ছিলে নিন। ৩/৪ পানি দিয়ে গরম পানিতে ফুটায়ে নিন।পানি গরম হয়ে গেলে আদা ছেঁচে পানিতে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। এরপর পানিটা ভালোভাবে ছেঁকে পান করুন।

আদার পুষ্টিগুণ

প্রতি 100 গ্রাম আদায় পাওয়া যায়।
  • ক্যালোরি - ৭৯
  • কার্বোহাইড্রেট -১৭.৮৬
  • ভোজ্য আঁশ-৩. ৬ গ্রাম
  • প্রোটিন -৩.৫৭ গ্রাম
  • পটাশিয়াম -৩৩ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম -১৪ মিলিগ্রাম
  • লৌহ-১.১৫ গ্রাম
  • ভিটামিন সি -৭.৭ মিলিগ্রাম
তাছাড়াও আরো রয়েছে ভিটামিন বি, সিক্স, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা, ফসফরাস, রাইব্লোবিন ইয়াসিন এবং ফলেট ইত্যাদি।

আদা খাওয়ার নিয়ম

দৈনন্দীনে আদা আমাদের বিশেষ খাবার তালিকায় থাকে। আদা খাওয়ার বিশেষ কোনো নিয়ম থাকে না বললেই চলে। কারণ সাধারণত আমরা আদা মসলা হিসেবে রান্নার সময় বেশি খেয়ে থাকি। তবে কাঁচা আদা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যেমন আপনি চায়ের সাথে এক টুকরো আদা মেশিয়ে খেতে পারেন অথবা কাঁচাই এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। অনেকে আদার সাথে মধু একত্রিত করে খেয়ে থাকে।তবে কাঁচা আদা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ 

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও উপকারিতা 

আদা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার আদা দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করলে তা অনেকগুলো সুবিধা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় রোগ ও প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিশালী করে তুলে। এবং সেই সাথে ওজন ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। 

ওষুধ হিসেবে আদার ব্যবহারঃ প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধের বিকল্প হিসেবে আদা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং আদা ওষুধ ব্যবহার হিসাবে এটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাছাড়া আদা হজম করতে সহায়তা করে এবং বমি বমি ভাব দূর করে, এবং সাধারণ সর্দি কাশি বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ সাহায্য করে। আদা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

বমি বমি ভাব দূর করেঃ আপনার যদি বমি বমি ভাব হয় মুখের রুচি হয় না, তবে আদা আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার। এবং এটি পেটের পেশী প্রশমিত করতে সহায়তা করে। এবং পরিপাকতন্তের প্রদাহ কমায় থাকে। তাছাড়াও চায়ের সাথে আদা এক টুকরো মিশিয়ে, তা পান করলে, বমি বমি ভাব দূর হয়ে থাকে।অতএব ভ্রমণ করার সময় যদি চা খাওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার মিলবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আদা ওজন কমাতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও যাদের অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের অনুপাত উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করে থাকে। এছাড়াও কোমর ব্যথা কমাতে ও সয়াহক।


হজম ক্ষমতার উন্নতি করেঃ আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার পাচনতন্ত্র পেটের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। তবে এ সমস্যাগুলো থেকে বাঁচতে আমাদের বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হলো আদা। যা আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল ও নামক একটি উপাদান। যার ফলে হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে সাহায্য করে। তবে যারা পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এসব রোগে ভুগেন তাদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী।

কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়ঃ  আদায় রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এলডি এল, যা কলেস্টরেল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। গবেষকরা দেখেছেন, যে আদা সেবন উল্লেখযোগ্যভাবে ট্রাইগ্লিসাইড এবং এলডিএল এর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

রাতে আদা খেলে কি হয়?

আদার ওষুধি অনেক গুণাগুণ রয়েছে যা উল্লেখ করা হয়েছে। এর বহুমুখী স্বাস্থ্য উপকারিতা ও ছোট থেকে বড় সকলের কাছে এটি খুব গ্রহণযোগ্য। আদা রাতে খেলে ও আদার রস খেলে ভালো থাকবে হার্ট ও কিডনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে আদা খাওয়ার উপকারিতা। তাছাড়া আদা খাওয়ার উপকারিতা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ। 

কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যঃ দীর্ঘ স্থায়ী প্রদাহ, এটি এথেরোস্করোসিসের বিকাশের সাথে সাথে আমাদের হৃদপিন্ডের অভ্যন্তরে ব্লকেজ তৈরি করে থাকে। যার কারনে আমাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হারিয়ে তুলে।আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা রক্তর প্রবাহ থাকে স্বাভাবিক। এবং এটি রক্তনালী প্রশস্ত করে কার্ডিওভাসকুলার এর রোগের ঝুঁকি কমাই থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আদার গুণের জেরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং জিঞ্জেরল থাকাই অস্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধা থেকে প্রতিরোধ করে থাকে।

ডায়বেটিস ও কিডনিঃ আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এসব গুণ থাকায়, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের বিরুদ্ধে এটি লড়াই করতে সাহায্য করে। এবং ডায়বেটিস রোগীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রদাহের কারণগুলো তারা চিহ্নিত করে প্রশমিত করার ক্ষমতা রয়েছে আদার রসে। গবেষণায় দেখা গেছে, জিব্ঞ্জেরল থাকার কারণে এটি ইনসুলিন ব্যবহার না করেই পেশী কোষ গ্লুকোজ গ্রহণ বৃদ্ধিতে ভালো কাজ করে। যার ফলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখত বেশ সাহায্য করে।

অন্ত্রের স্বাস্থ্যঃ আদায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটটির বৈশিষ্ট্য যা পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব ও বমি করা , ডায়রিয়ার মত সমস্যা জনিত এসব সমাধান খুব সহজেই করে থাকে। তাই আদা হজমের জন্য বেশ উপকারী। আদা খাওয়ার ফলে ভালো হজম শক্তি উন্নত করতে এবং পুষ্টি শোষণের জন্য সহায়তা করে।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়?

আদাতে পাওয়া যায় অনেক উপকার। তাই গবেষণারা জানান যে প্রতিদিন আদা খাওয়ার। আদা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়? তা আমরা অনেকেই জানিনা।আদা খাওয়ার উপকারিতা জানলেও প্রতিদিন  আদা খেলে কি হয় তা অনেকেই জানেনা।  আদা এমনই একটা উপকৃত যা আপনি শুনলে অবাক হবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • নিয়মিত আদা খেলে গ্যাস এসিডিটি পেট ফাঁপার মতো এসব সমস্যা কমে যায়
  • বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, এসব সমস্যা জনিত এর প্রধান ওষুধ হল আদা।
  • আদায় রয়েছে একাধিক পরিমাণে উপকারী যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
  • নিয়মিত আদা খেলে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • আদা খেলে, মাথা ব্যথা, এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • হজম শক্তি ঠিক রাখার জন্য আদার কোন তুলনা নেই।

আদা খাওয়ার অপকারিতা

আদা খাওয়ার  উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। এতক্ষণে আমরা আদার উপকারিতা কি কি?এসব সম্পর্কে জানলাম। এখন জানবো আদার অপকারিতা কি কি? তবে আবারও কিছু উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন।চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • গর্ভাবস্থায় কোনভাবেই আদা খাওয়া উচিত না। কারণ এতে প্রিম্যাচিউর বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • আদা চা অতিরিক্ত বেশি খাওয়া উচিত না। এতে অনিদ্রা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • আদা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে বা ক্ষতিকর। তাছাড়াও যারা ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের ওষুধ সেবন করে থাকেন তাদের আদা না খাওয়াই উচিত।
  • আদা বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আদা বেশি খেলে হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • তবে অতিরিক্ত আদা খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপর থেকে আমরা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ম ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করি আমি আপনাদেরকে সঠিক ভাবে ধারণা দিতে পেরেছি।

সর্বশেষ বলা যায় যে আদার যেমন উপকারিতা ও রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে তাই নিয়ম অনুযায়ী আদা খেলে অনেক উপকারী পাওয়া যায়। আবার আদার অপকারী পরিমাণও সামান্য।

আশা করি আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানায় দিবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url