প্রেসার বাড়লে কি করনীয় তা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রেসার বাড়লে কি করণীয় তার সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রথমে আমরা ভাবি তার উচ্চ রক্তচাপ মনে হয় বেড়ে গেল কি না।এ রক্তচাপ থেকে বোঝানো হয় যে তার ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ শরীরের ভিতরে প্রবাহিত রক্তের চাপ। এটি এমন একটি রোগ যার সবারই কম বেশি থাকে। 
প্রেসার বাড়লে কি করনীয় তা সম্পর্কে জেনে নিন
এবং ধমনী গুলোকে রক্তের চাপ বেশি থাকার ফলে সেটাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসাবে বা হাই ব্লাড পেশার বলা হয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগই মানুষ এই উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। আসুন জেনে নেওয়া যায় আর প্রেসার বাড়লে কি করনীয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ হয়ে উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এবং এই রক্তচাপ হাই ব্লাড প্রেসার কে নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে। এবং যেকোনো বয়সের মানুষেরই এই ব্লাড প্রেসার থাকতে পারে। তবে অনিয়ন্ত্রণ জীবন যাপনের কারণে, সঠিক খাদ্য ঘাসে ঘাটতির কারণে এ সমস্যাগুলো হতে পারে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টফেল, হার্ট অ্যাটাক ও স্টক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে, রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ফলে কি করবেন এবং রক্তচাপ বেশি হলে কি খাবেন আর কি খাবেন না এসব সম্পর্কে জেনে নিন। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রেসার বাড়লে কি করবেন ও কি করণীয়।

প্রেসার বাড়লে কি করনীয়

প্রেসার বাড়লে কি করবেন বা কি করনীয় তা সম্পর্কে আমরা অনেকে বুঝে উঠতে পারে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক পেশার বাড়লে কি করবেন ও কি করনীয়।

উচ্চ রক্তচাপ কিঃ  হৃদপিন্ড ধমনীতে যদি রক্ত প্রবাহের চাপ অনেকটা বেশি থাকে তাহলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার বলা হয়ে থাকে।

কিভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপঃ আমাদের শারীরিক কিছু বৈষম্য রয়েছে, যেমন মাথাব্যথা,মাথা ঘোড়া, বুক ধরফর করা এরকম কিছু লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। এবং একজন সুস্থ ও স্বাবলম্বন মানুষের রক্তচাপ দেখা দেয় ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। এবং যেসব মানুষদের রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিলিমিটার মার্কারি, হঠাৎ এর থেকে বেশী হলে বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অতএব বয়সে কারণে এ মাত্রা কম বেশি হতে পারে।

প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে

  • আপনার খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি রাখবেন, যেমন পালং শাক, ফুলকপি, শসা,লাউ, মটরশুটি কলমি, শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, কুমড়া, বেগুন ইত্যাদি এসব রাখতে হবে। এবং আপনাকে শাকসবজি পরিমাণটা একটু বেশি বাড়াতে হবে।
  • এবং পটাশিয়ামযুক্ত খাবারগুলো আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের রাখতে সাহায্য করে। যেমন কলা ডাবের পানি টমেটো ইত্যাদি সহ, এতে পটাশিয়াম রয়েছে।
  • আপনি প্রতিদিন এক কাপ দুধ খেতে পারেন
  • অতএব টেলিকম মাস পরিহার করে, আপনি ছোট মাছ খেতে পারেন এ তে অনেক উপকারী হবে।
  • তাছাড়াও ফলমূল যেমন আমলকি, নাশপাতি, পেঁপে বেদনা, পেয়ারা ইত্যাদি এগুলোর মধ্যে, যেকোনো আপনার পছন্দের মত একটা ফল আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন।
কি খাবেন নাঃ 
  • কাঁচা লবন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই এটা কমাতে হবে। এবং কাচা লবণ কোনভাবেই খাওয়া উচিত না। এমন কি রান্না করা খাবারগুলোতেও লবণে পরিমাণটা কমায় দিতে হবে।
  • চর্বি অথবা ফ্যাট জাতীয় যে কোন খাবার এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন গরু, খাসি মাংস, মাখন ইত্যাদি সহ নানা কিছু। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ঠিক না।
  • ।প্যাকেটজাত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ভাতের পরিমাণটা অল্প একটু কমাতে হবে।
  • যারা ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন তাদের এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

হাই প্রেসার কমানোর খাবার

হাই প্রেসার কমানোর খাবার সম্পর্কে, আমরা অনেকেই জানি না যার ফলে এসব সমস্যা ভুগে থাকি। আমাদের শরীরে সবকিছুর উপর খাবার নির্ভর করে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু খাবার রয়েছে তা সম্পর্কে আসন জেনে নিন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অনেকগুলো ফল রয়েছে, যেমন জাম্বুরা, কমলা, মালটা, ওর লেবু ইত্যাদি ফলগুলো আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন খনিজ এবং উদ্ভিদের যৌগ দ্বারা পরিপূর্ণ, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যার ফলে আমাদের হার্ডকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।

কুমরোর বীজঃ তোমরা বীজগুলো দেখতে যাই হোক না কেন এর পুষ্টিগুণে অনেক ভরপুর ও পরিপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টির একটি উৎস। যেমন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং আর্জিনিন রয়েছে। এছাড়াও আরও রয়েছেন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি অ্যামিনো এসিড থাকে। আমাদের রক্তনালী শিথিল করন রক্তচাপ কমানোর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

চর্বিযুক্ত মাছঃ  এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত মাছগুলোতে রয়েছে অ্যাসিডের উৎস। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এবং এই চর্বিযুক্ত থেকে উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা কমানোর বেশ প্রদাহ এবং অক্সিলপিনস নামে এই রক্ত বাহিরিক যোগের মাত্রা হ্রাস করে থাকে।

গাজরঃ প্রেসারে রয়েছে ক্লিনোজেনিক, পি-কুমারিক। অতএব ক্যাফেক অ্যাসিডের মত ফেনোলিক যৌগ রয়েছে। যার ফলে এই যৌগগুলো আমাদের রক্তনালিকে শীতের করতে এবং প্রদাহ কমিয়ে,তা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য গাজর খাওয়াটা বেশ উপকারী।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

ডঃ আশিস মিত্র বলেন যে, বিশেষ করে বেশিরভাগ মানুষেরই পেশার বাড়ার লক্ষণ থাকেনা। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে ফুটে ওঠে। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রেসার বে যাওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলো।

  • মাথা ব্যথা হওয়া।
  • এবং সকালে উঠেই মাথা ভার হয়ে থাকা।
  • চোখে হালকা পরিমাণে ঝাপসা দেখা
  • মাঝে মাঝে মাথা ঘুরা
  • বিভ্রান্তি হওয়া

এই লক্ষণ গুলোর পরে যদি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে যায় তাহলে বিষয়টা অন্য দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমন নাক থেকে রক্ত বের হতে পারে এমন কি প্রসাবে ও রক্তে দেখা দিতে পারে।অবশ্যই এ পরিস্থিতি থেকে সতর্ক হয়ে যান।এবং সেই সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হাই প্রেসারের ওষুধের নাম কি

হাই প্রেসার এর কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলো।
  • Olmetrack 20 mg tablet
  • Olarbi 20 mg tablet
  • Olmark 20 mg tablet
  • Olmighty 20 mg table

লেখকের মন্তব্য

হাই প্রেসার বেড়ে গেলে কি করনীয় তার সম্পর্কে আমরা জানলাম। হাই প্রেসার এমন একটি রোগ যা আমাদের কম বেশি সবার হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। যদি আপনার হাই প্রেসার বেড়ে থাকে, ঘরোয়া ভাবে আপনি এটা সারতে পারবেন এবং অতিরিক্ত যদি উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা উচিত। এবং অবশ্যয় সতর্ক থাকবেন উচ্চ রক্তচাপ না বাড়ার, এবং আপনার খাবার তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।তাতে করে বেশ উপকারী পাওয়া যায়। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url