কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কত দিন থাকে-তা সম্পর্কে জেনে নিন

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কদিন থাকে তার সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বর্তমান সময়ে প্রতিটা মেয়ে তার নিজের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কেরাটিন রিবন্ডিং করিয়ে থাকেন। এবং আমরা অনেকেই নিজে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কেরাটিন রিবন্ডিং করিয়ে থাকলেও এর সঠিকভাবে এর যত্ন নিতে জানি না। 
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কত দিন থাকে-তা সম্পর্কে জেনে নিন
যার ফলে আমাদের চুল অনেক ড্যামেজ এবং ফ্রিজি হয়ে যায়। তার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কেরাটিন রিবন্ডিং করলে, এর পাশে পাশি চুলে ক্যাটিন ট্রিটমেন্ট করা উচিত। আর এই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করলে কতদিন থাকবে তা আমরা ও জানিনা। চলুন এখান থেকে জেনে নেওয়া যাক কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করলে কতদিন থাকে।

ভূমিকা

অনেকে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করে আসার পর, মনে করেন যে, কয়দিন আগেই তোকে ট্রিটমেন্ট করলাম? এবং চুল ফ্রিজি হয়ে যাচ্ছে? তাহলে কি কেরাটিন ট্রিটমেন্টে করা কি উচিত হয়নি এরকম চিন্তা-ভাবনা হয়ে থাকে। এবং কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার পর যদি এ সমস্যা আপনারও হয়ে থাকে তাহলে, আপনি হয়তো সঠিকভাবে এর যত্ন নেননি।

আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে ক্যান্টিন করা চুলে আলাদাভাবে তেমন কোন যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আসলে ভুলটা আমাদের এখান থেকেই হয়। আপনি যে ট্রিটমেন্ট নেন না কেন ট্রিটমেন্ট নেওয়ার পর দীর্ঘ সময়ের জন্য চুল ভালো রাখার জন্য নিয়ম মেনে চুল যত্ন নিতে হবে। না হলে সামান্য কিছু ভুলে কারণে আপনার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কতো দিন থাকে। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট চুলের যত্ন নিতে কোন রুলস গুলো মেনে চলবেন ।

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কী?

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কি? আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট হচ্ছে আমাদের চুল, ত্বক ও নখ থাকা কেরাটিন নামে যে এক ধরনের প্রোটিন। যা আমাদের শরীরে এটি ন্যাচারালি এই প্রোটিন প্রোডিউস হয়ে থাকে। তবে পল্যুশন, কেমিক্যাল, প্রোডাক্ট এর ব্যবহারে মাধ্যমে এটি ঘন ঘন হিট স্টাইলিং করার থেকে চুল কেরাটিনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যায়। 

যার ফলে চুল ঝরে পড়ে,চুল রুক্ষ ভান হয়ে যায়, আগা ফেটে যাওয়ার মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার কারনে এসব চুলের বিভিন্ন ক্ষতিপূরণ করার জন্য কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। এ ট্রিটমেন্ট করার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ভুল হয় স্টেট সেই সাথে ফ্রিজিনেস দূর হয়ে থাকে, চুল হয়ে ওঠে সফট ও শাইনিং ও উজ্জ্বল ময়।

আরও পড়ুনঃ 

ঘরোয়া উপায়ে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট

আপনি কি জানেন, আপনি ঘরে বসে থেকে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করতে পারবেন পার্লারের মতো, আপনার আর পার্লারের কোন প্রয়োজন নেই । তবে আপনি ঘরে বসে থেকে এই ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করতে পারবেন এই ট্রিটমেন্ট। তার জন্য প্রয়োজন হবে না বাড়তি কোনো খরচ। এবং বাড়িতে থাকা খুব সাধারণ কয়েকটি জিনিস দিয়ে অতি সহজেই তৈরি করতে পারবেন আপনার চুলের কেরাটিন ট্রিটমেন্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে তৈরি করবেন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট।
  • প্রথমে তিসির বীজ ২/৩ চামচ নিতে হবে।
  •  চালের গুড়া ২ চামচ নিতে হবে।
  • কর্নফ্লাওয়ার ১/২ হাফ চামচ নিতে হবে।
  •  ১ কাপ কাঁচা দুধ নিতে হবে
ঘরোয়া উপায়ে আপনার চুলের জন্য কেরাটিন ট্রিটমেন্ট এর জন্য এসব উপকরণেই যথেষ্ট।

এবার একটি পাত্রে এইসব উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। ২০/৩০ ভালোভাবে জাল দিয়ে নিতে হবে। তিশির বীজে রয়েছে প্রোটিন ও অ্যামোনিয়া অ্যাসিডের মতো উপকারী উপাদান। এবং গরুর দুধ ন্যাচারালি সিল্ক করে এবং সাইনিং ভাব করে, ফ্রিজি ভাব দূর করে, চুল হাইড্রেট করে থাকে। আর এই উপাদান গুলো আমাদের চুলের স্বাস্থ্য যোগাতে কাজ করে থাকে। এবং এর সাথে ঘি যোগ হলে চুলের স্ক্যাপে ও ভালো থাকবে।


মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পর ক্রিমের মতো দেখতে হবে। এবার সেই মিশ্রণটি ছাকনি অথবা কাপড়ের সাহায্যে ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। এবং সেই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা এবং স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে ৩০/৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এবং চুল শুকায় গেলে এর পরিবর্তন টা দেখতে পাবেন। এভাবে কোন খরচ ছাড়াই বাসায় বসে থেকে আপনি আধা ঘন্টায় করতে পারবেন ঘরোয়া উপায়ে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট।

চুলের যত্নে গোলাপ জল ব্যবহার করার ফলে হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি চুল পড়াও বন্ধ হবে। তবে মনে রাখতে হবে এসব উপকরণ ব্যবহার করতে হবে সঠিক নিয়মে। নয়তো এগুলো ঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কত দিন থাকে

আমরা অনেকেই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকলে এটি কতো দিন থাকে তা অনেকে জানিনা।এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

হেয়ার স্পা ১৫ দিন পরপর করতে হবে। এবং তার পাশাপাশি কেরাটিন ট্রিটমেন্ট মাসে একবার করতে হবে।তবে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করলে তার জন্য স্পেশাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এবং ক্যারা টিনের পর চুলে তেল লাগালে কেরাটিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আপনি ১৫ দিন পরপর একটা করে স্পা করেন তাহলে চুল ঠিক থাকবে।

কেরাটিন শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার করুন

কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করার পর চুলের যত্নে ব্যবহার করতে হবে কেরাটিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার। এবং এই শ্যাম্পু গুলো চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলের ফ্রিজিনেস দূর করে, চুলের ময়েশ্চারাইজড রাখে। এবং কেরাটিন কন্ডিশনার গুলো চুলের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়ায়,এয়ার ব্রেকেট কমায় এবং চুলকে রাখে স্মুথ ও শাইনিং।

যে বিষয়গুলো নজর রাখতে হবে?

  • চুলের গোড়া ভিজা রাখা যাবেনা।
  • চুল ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত ৫/৬ মাস চুলে কোন প্রকার মেহেদী বা প্যাক ব্যবহার করা যাবে না।
  • এবং চুলের হেয়ার কালার করতে চাইলে অত্যন্ত ১/২ থেকে দুই মাস পর করতে হবে।
  • চুল আঁচড়াইতে বড় দাঁতের বা কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আমরা উপর থেকে কেরাটিন রিবন্ডিং কতোো দিন থাকে এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। কেরাটিন রিমন্ডিং সঠিকভাবে যত্ন নিলে এবং প্রতিমাসে একবার করে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করলে, চুলের কোন ক্ষতি হবে না এবং চুল সুন্দর ও ভালো থাকবে। আর আপনি চাইলে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট ঘরে বসে থেকেই অল্প খরচেই করতে পারবেন। যা প্রাকৃতিক উপায় আপনার চুল মজবুত ও শাইনিং ভাব এনে দেয়। আমার মতে আপনি, আপনার চুলের কেরাটিন রিবন্ডিং পড়া থাকলে ওপরে যে টিপস গুলো রয়েছে সেগুলো মেনে চললে দেখবেন দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।
আশা করি আমার এই টিপস গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে এবং কি বিষয়ে জানতে চান, আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন, অতি দ্রুত আপনাদের কমেন্টের রিপ্লাই দিব। অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url