শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা অনেকেই এই সবজির ভিতরে শসা খুব পছন্দ করে থাকি। আবার অনেকে শসার সালাদ হিসাবে খেয়ে থাকে। এবং ছোট থেকে বড় সবাই শসা খেতে খুব পছন্দ করে থাকে। শসা শুধু সবজি হিসাবে নয়, আমরা খালি মুখে অনেকে শসা খেয়ে থাকি।
শসা শুধু আমাদের দেহের জন্য উপকারী না, আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু আমরা অনেকেই শসা খেয়ে থাকলেও শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না।আাসুন জেনে নেওয়া যাক শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
ভূমিকা
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানিসহ ভিটামিন সি ও কে। যা আমাদের শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। শসা শুধু আমাদের শরীরের জন্য না আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী, এবং সোশ্যাল যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করতে সহায়তা করে।এবং নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলাতেও সহায়তা করে। শসা খেলে টক্সিনের মাত্রা কমে। তাই শসা খাওয়ার ফলে অনেক উপকার মিলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শসা খেলে কি কি অপকার ও কি কি অপকার পাওয়া যাবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত।
শসা খাওয়ার নিয়ম
শসা খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো।
খালি পেটে শসা খাওয়া যাবেনা। ভারী খাওয়ার পরে শসা খেতে হবে। আপনি সকালে বা বিকালে শসা খেতে পারেন। এবং শসা দিয়ে যে কোন খাবার বা স্মুদি ও খাওয়া যেতে পারে।তবে অনেকের চিন্তা ধারণা এমন যে শসাতে মশলাযুক্ত খাবার বা ভাজাভুজির সঙ্গে শসা খেলে ক্ষতিকার শরীরে হয় না।
এবং সোশ্যাল নিয়ম না মেনে খেলে, আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আপনি যদি অন্য খাবার কম খেয়ে সারাদিন যদি শসা খেয়ে থাকেন, বাপু দা লাগলে শসা খেলে, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা সহ, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সহ দেখা দেয়।
তাই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ও নিয়ম অনুযায়ী শসা খাওয়ার চেষ্টা করব।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে সরষে খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে তা সম্পর্কে জানুন।
- তোর সাথে থাকায় ফাইবার ও ফলুইড সমৃদ্ধ, যার কারনে আমাদের শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়।এবং এতে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর ফাইবার, থাকার কারণে আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।
- খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক স্বাস্থ্য ও সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, এবং এতে শরীর সুস্থ থাকে।
- খালি পেটে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।
- সুশাল শরীরের জন্য খুব ভালো একটি সবজি। যা ওজন কমাতে ও রক্তের কোলেস্টরে কমাতে অনেকটা বেশ উপকারী।
- শসাতে রয়েছে ফাইবার সমৃদ্ধ যা কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজম গ্যাস এসিডিটি ইত্যাদি হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।
- এবং প্রতিদিন খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- তোর সাথে থাকা ভিটামিন এ। যা আমাদের চোখের অন্যান্য সমস্যা থেকে বেশ উপকারী।
- শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শসা খেলে শরীরের পানি ঘাটতি হয় না।
- শসাতে ক্যালরি খুব কম পরিমাণ রয়েছে। তবে পানির পরিমাণটা বেশি থাকে। যার কারণে অনেকেই ত্বকের পরিচর্যা জন্য শসা কে কাজে লাগিয়ে থাকে।
- এবং কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্রাণক্রিয়াশের এসব সমস্যা হতে শসা অনেক সাহায্য করে থাকে ।
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি.। এবং শসার কিছু উপকারিতা রয়েছে তার সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো।
- শসা তে রয়েছে ফাইবার ও ফ্লুইড সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণটা বাড়ায়।এবং এর তে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে, আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
- শসা তে রয়েছে স্টেরল, নামে একটি উপাদান। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এবং অবশ্যই আপনাদের জানা দরকার শুধু শসা নয় শসার খোসায় স্টোরল থাকে।
- এবং ওবিসিটি নিয়ন্ত্রণে শসা বেশ উপকারী।
- আমাদের শরীরে যেমন কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার প্রাণক্রিয়াসের, এসব সমস্যায় শসা বেশ কার্যকর।
- শসা তে থাকায় এরেপসিন নামক এনজাইম, যার কারণে হজম কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে সমাধান করে থাকে।
- শসা অথবা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
- এবং শসার রস খেলে আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস, এসবের ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।
- শসা তে রয়েছে মিনারেল সমৃদ্ধ, যা নখ ভালো রাখে এবং দাঁতও মারি সমস্যায় থেকে সাহায্য করে।
- এবং আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শসার রস খেলে, আর্থাইটিস, একজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা থেকে অনেক উপকার মিলবে।
- এবং গাজরের রসের সাথে শসার রস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ইউরিক এসিড থেকে ব্যথার সমস্যা হলে, তা অনেক কাজে দেবে।
- রাতে শসা খেলে কি হয়
ত্বকে শসার উপকারিতা
শসা শুধু আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে না। আমাদের ত্বককেও সুন্দর রাখে। ত্বকের যত্ন হিসাবে আপনি সোশ্যাল রস ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। যার ফলে আপনার ত্বক হাইড্রেটড এবং দাগ মুক্ত থাকবে। এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। জেনে নিন ত্বকের শসা ব্যবহার করার উপকারিতা।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্যঃ রোদে পরা দাগ দূর করে থাকে।এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে শসা। শসার তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সিলিকা সমৃদ্ধ যা আমাদের ত্বকে পুনরুজীবিত করতে সহায়তা করে। এবং শসা রসের সাথে সামান্য কিছু মধু মিশিয়ে নিন। এবং এই মিশ্রণটি ১৫/২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর এটাকে ধুয়ে ফেলুন। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং শসার প্রশান্তিদায়ক উপাদান, যে আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
দাগমুক্ত ত্বকের জন্যঃ শসাতে থাকা প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বকে কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এক চিমটি পরিমাণ হলুদ ও দইয়ের সাথে শসার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবং এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের দাগ যুক্ত স্থানে লাগান। এবং ১৫/২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই পেস্টটি নিয়মিত ব্যবহার করলে, ত্বকের দাগ দূর হবে।
ড্রাক সার্কেল দূর করার জন্যঃ ফোলা, ক্লান্ত অথবা কালচে দাগ পড়া, এবং চোখের যত্নে শসা রস অতুলনীয়। এবং আপনি চোখের উপরে শসা কিছু টুকরো রাখুন, এবং ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিশ্রাম নিন। এবং এতে করে সোশাল শীতল প্রভাব এবং চোখের ফোলা ভাব ও ডার্ক সার্কেল অনেকটা কমে যাবে।
হাইড্রেটেড ত্বকের জন্যঃ শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। ফলে এটি চমৎকারভাবে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারে।এবং গোলাপজলের সাথে সোশায় রস মিশিয়ে নিন। এবং এই মিশ্রণটি ত্বকে স্প্রে করুন। এবং ত্বকে হাইড্রেটেড এবং উজ্জ্বল রাখার জন্য সারাদিন, বেশ কয়েকবার এই মিশ্রণটি ছিটিয়ে নিন মুখে।
শসা খাওয়ার অপকারিতা
শসা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে। আমরা অনেকেই উপকারিতা সম্পর্কে জানলেও অপকারিতা সম্পর্কে জানিনা, আসুন জেনে নেওয়া যাক শসা খাওয়ার অপকারিতা সমূহগুলো।
শসা একটি লো ক্যালরি বা এতে খুব কম ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার। শসার মধ্যে পানি পানির পরিমাণটা অনেক বেশি। এবং ১০০ গ্রাম শসা তে পানি পরিমাণ রয়েছে ৯৪.৯গ্রাম। এবং ক্যালরি রয়েছে ২২ কিলো। তাছাড়াও শসা একটি ভালো মানের এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার।
তাছাড়াও শসা তে কিছু পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ থাকে। যার কারনে শসা ভালো হলোও মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়। অতএব অনেক মানুষই মনে করে শসা খেয়ে ওজন কমানো যায়। ওজন কমানোর জন্য শসাকে আমরা ওষুধ হিসেবে কাজে লাগায়।আবার আমরা অনেকেই ডায়েট চ্যাটে শসা রাখি। তবে শশা খেয়ে শুধু ওজন কমাতে আমরা বলি না।, আবার অনেক মানুষের ওজন কমানোর জন্য সূচকে ওষুধ হিসেবে ধরে সারাদিন শসা খেয়ে থাকে। যখনই ক্ষুধা লাগে শসা খেতে শুরু করে দেয়।
যেহেতু শসাতে রয়েছে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার গুলো একনাগারে খেতে থাকলে ওজন কমে যাবে। তবে সেই সাথে দেখা দিবে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির উপাদানের ঘাটতি। আপনি যদি অন্য খাবার কম খেয়ে সারাদিনে শসা খেতে থাকলে বা ক্ষুধা লাগলে শসা খেলে, শরীরে বদহজম গ্যাসের সমস্যা সহ পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি এসব দেখা দেয়।
লেখকের মন্তব্য
আমরা উপর থেকে যা জানলাম শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। শসা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী, শুধু শরীরের জন্য না ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর। তবে শশা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষতিও রয়েছে। তাই অবশ্যই আপনারা শসা পরিমাণ অনুযায়ী খাবেন এতে করে আপনাদের শরীরে অনেক উপকার মিলবে। শসা আমাদের শরীরে ওজন কমাতে বেশ সাহায্য করে থাকে, তাই আপনি চাইলে আপনার ডায়েট চেটে প্রতিদিন ২/৩ তিনটা শসা খেতে পারেন।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url