ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেন

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই, নিজের মুখ নিয়ে খুব সচেতন। মুখে সুন্দর্য, ধরে রাখার জন্য অনেক কিছু করা হয়।এবং সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই , আপনার কাছে বয়সটাই থমকে যাবেে।আমাদের মুখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক কিছু প্যাক বা ফেসিয়াল ব্যবহার করে থাকে। 
ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেন
আমরা অনেকেই না বুঝে এ ফেসিয়াল গুলো করে ফেলি মুখ সৌন্দর্য রাখার জন্য, কিন্তু অনেকেই জানেনা যে কোন ফেসিয়াল করলে উপকারীর চেয়ে ক্ষতি আশঙ্কাই বেশি থাকে। ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

সৌন্দর্য ও লাবণ্যময় ধরে রাখতে কে না চায় বলেন, একজন নারী তার তার সৌন্দর্য কে বেশি প্রাধন্য দিয়ে থাকে। এবং আমাদের মুখে সৌন্দর্য ধরে রাখতে, নিয়মিত ভাবে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজন প্রাকৃতিক ফেসিয়াল, এটি ত্বকের জন্য উপযুক্ত ফেসিয়া এবং ত্বকের জন্য প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করার ফলে,উপকারের থেকে ক্ষতি আশঙ্কা বেশি থাকে। আসুন জেনে নেই ফেসিয়ালের ভালো ও খারাপ দিকগুলো।

হাইড্রা ফেসিয়ালের উপকারিতা

ত্বকের ব্রণের প্রবণতা কমাতে এই ফেসিয়ালের কোন জুড়ি নাই। পিয়া জামান বলে থাকেন যে, ব্রণ ছাড়াও ত্বকের ব্ল্যাকহেডস, ও হোয়াইটহেডস কমাতে ভালো সাহায্য করে এ হাইড্রা ফেসিয়াল। যা আমাদের ত্বককে মূলত ভাবে হাইড্রেট করে। অর্থাৎ ত্বকের সূক্ষ্ম ও রুক্ষ দূর করে, তোকে প্রাণ ফিরিয়ে আনে।

কতক্ষণ সময় লাগেঃ অন্যান্য ফেসিয়াল গুলো ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যে হয়ে গেলেও এ হাইড্রাফেসিয়াল করতে গেলে ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় লাগে।

সতর্কতাঃ হাইড্রাফেসিয়ালের করার ফলে তেমন ভাবে কোন ক্ষতিকারক দিক নাই। আপনি যেকোন ত্বকে এই ফেসিয়ালটি করতে পারবেন। এবং অবশ্যই আপনার যে ত্বকে যেমন ফেসিয়াল প্রয়োজন আপনি ত্বক অনুযায়ী ফেসিয়াল করালে কাঙ্ক্ষিত উপকার পাওয়া সম্ভব।

ফেসিয়ালের উপকারিতা

প্রতিদিনের দূষণের কারণে আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এবং তা ছাড়া, রোদের তাপ, মানসিক চাপ, ও বয়স বাড়ার কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে আপনার ত্বকের সমস্যা দূর করতে, টপ সুন্দর ও লাবণ্যময়, রাখতে আপনার নিয়মিত ফেসিয়াল করা খুব প্রয়োজন।

রূপবিশেষজ্ঞ রেড বিউটি স্যালন, আফরোজা পারভীন জানান যে, ত্বক ভালো রাখার জন্য নিয়মিত, ফেসিয়াল করা প্রয়োজন। যা আমাদের ত্বকে মরা কোষ দূর করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে হবে।বাসায় যেভাবে আমরা ক্লিনজার ফেসওয়াস দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করি, তা সেভাবে ত্বকে গভীর দিকে পরিষ্কার হয় না।

এবং ত্বকের ডিপ ক্লিন গভীরভাবে পরিষ্কার না হলে, তাতে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। তার পাশাপাশি, ত্বকে নতুন ভাবে কোষ জন্মাতে পারেনা। লোমক ভালোভাবে পরিষ্কার না হলে, হতে পারে ব্রণ। তাই ত্বকে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে নিয়মিত ফেসিয়াল করা আমাদের প্রয়োজন।এবং ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে দুটি রয়েছে । এবং প্রতিমাসে ১/২ বার আবার ১৫ দিন পরপর ফেসিয়াল করা যায়। যার ফলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি ভালো থাকবে।


নিয়মিত ফেসিয়ালে উপকার পাওয়া যায়
  • নিয়মিত ফেসিয়াল করার ফলে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের বলিরেখা দূর করে থাকে।
  • মরা কোষ দূর করে, এবং ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হয়।
  • ফেসিয়াল করার ফলে কোলাজেন উৎপন্ন হয়ে থাকে।ত্বকে টানটান ভাব থেকে, ত্বক তারুণ্য ফিরে পায়।এবং একই সাথে ত্বকের কমনীয়তা ফিরে আসে।
  • এবং আমাদের ত্বক তারণ্য ভাব ধরে রাখার জন্য ফেসিয়াল করার পাশাপাশি ঘন ঘন মস্টেজের ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। এবং তার পাশাপাশি খেতে হবে ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাবার। তাকে সুস্থতা বজায় রাখতে, পর্যাপ্ত ও পরিমাণে পানির কোন বিকল্প নাই।

কতদিন পর পর ফেসিয়াল করতে হয়

রূপবিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, যাদের পার্লারের নিয়মিত ফেসিয়াল করানোর অভ্যাস হয়ে থাকে। বা পার্লারের ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, তবে তাদের অন্তত ২ মাসের ব্যবধান রাখা দরকার।এবং ডার্মাটোলজিস্টর আছে যদি আপনি ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট করান সে ক্ষেত্রে, প্রতি একমাস ব্যবধান রাখলেই চলবে। আপনি যদি এর নিয়ম মেনে ফেসিয়াল করেন তাহলে আপনার স্কিন ঝকঝকে ও ভালো থাকবে।

তবে মনে রাখবেন ফেসিয়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে, তাই খুব সচেতন ভাবে ফেসিয়াল করতে হবে।

মুখ ফেসিয়াল করলে কি হয়

আপনি যদি ১৫ দিন পর পর অথবা মাসে দুইবার ফেসিয়াল করেন, তাহলে ত্বক অনেক পরিষ্কার থাকবে।এবং ফেসিয়াল করার ফলে, ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করে, জমাট বাঁধা ময়লার দূর করে, এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।এবং সেইসাথে ত্বকের পরশ পুরস্কার রাখতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। দূর করে থাকে হোয়াইটহেডস ও ব্ল্যাকহেডস।

ফেসিয়ালের অপকারিতা

এবং নানা ধরনের ফেসিয়াল রয়েছে যা আমাদের ত্বকের জন্য প্রকৃতভাবে বেশ।ঠিক তেমনি একে ঝুঁকিপূর্ণ ফেসিয়াল রয়েছে তার নাম ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল। এ ফেসিয়াল করায় অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুঁচ ব্যাহত হয়ে থাকে। এবং এগুলো দিয়ে মুখ বা দেহের ত্বক থেকে দূষিত রক্ত বেড় করে দেয়া হয়। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে ভালোভাবে সুঁচ গুলোতে দূষিত জীবানু বের করেন না নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে এটা হিতে বিপরীত হতে পারে।

এবং এইচআইভি অথবা হোপাটাইটিসের মতো প্রাণঘাতি রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শুধু ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালই না, যে কোন ফেসিয়াল হতে আমাদেরকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ এ ফেসিয়াল গুলো অনেক মারাত্মক। আপনি মুখ করার জন্য প্রকৃতি ভাবে ফেসিয়াল আপনার উপযুক্ত। তবে প্রকৃতি না বুঝে আপনি যদি ফেসিয়াল করেন, তাহলে উপকার এর চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ফেসিয়ালের করার ফলে,টক অনেকটা সংবেদনশীল হয়ে যায়।যার ফলে ত্বক অল্পতেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।

লেখকের মন্তব্য

সৌন্দর্য ও লাবণ্যময় ত্বক পেতে সবাই পছন্দ করে। ত্বক সেনসিটিভ একটা জিনিস। ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় গড়ে তোলার জন্য আমরা অনেক ফেসিয়াল প্যাক ব্যবহার করে থাকি। যাতে আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,ত্বক সৌন্দর্য হলেও এতে ক্ষতির দিক রয়েছে, যে আমাদের ত্বককে ড্যামেজ করে দেয়। কিছু কিছু ফেসিয়াল প্যাক আছে যা আমাদের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর, তাই সেগুলো প্যাক এড়িয়ে চলে আপনি রূপবিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে ফেসিয়াল করতে পারেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url