কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কাঁচা হলুদের অনেক উপকারিতা ও গুনাগুন আছে। কিন্তু আমরা অনেকে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও গুনা গুন সম্পর্কে জানিনা। কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুব কাযকারি। আমাদের ত্বক অনেক উজ্জ্বল করে থাকে,সাথে ত্বকে বিভিন্ন দাগ রেস, ব্রন দুর করে থাকে।আসুন আজ কাঁচা হ্লুদের কিছু গুনাগুন সম্পর্কে জানবো।
কাঁচা হলুদ আমাদের শুদু ত্বকে না, আরও নানা কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে। আমাদের তরকারি কাজে ও কাঁচা হলুদ ব্যাবহার হয়ে থাকে।কাঁচা হলুদ থেকে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায। আজকে আমরা কাঁচা হলুদ নিয়ে আলোচনা করবো এবং বিস্তারিত জানবো।
ভূমিকা
হলুদ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি । হলুদ আমরা সবাই চিনি । কয়েক রকম হলুদ আমরা ব্যাবহার করতে পারি যেমন : কাঁচা হলুদ , শুকনা হলুদ , শুকনা হলুদের গুঁড়া ।
শুকনা হলুদের গুঁড়া আমরা বিশেষত খাবার তরকারি তে ব্যবহার করে থাকি । যার ফলে তরকারিতে স্বাদ ও রঙ হয়ে থাকে । আবার কাঁচা হলুদ আমরা ব্যাবহার করতে পারি। কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী । যা আমাদের ত্বক কে আরো উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপারেশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে যার মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো: যেমন তোকে দেখলে কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের যত্ন কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। কাঁচা হলুদের কার কেউ নেই নামক যৌগটি এনটিএ ইনফ্লামেটরি এন্ড টি এক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়া বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নানান সমস্যার সমাধানের কাজ করে।
চুলের যত্নে কাঁচা হলুদ কাঁচা হল চলে যত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল যত্ন নিতে কাঁচা হল কাঁচা হলুদ চুল মজবুত করে কাঁচা হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনির উপাদান রাসুলকে মজবুত করে তোলে যার ফলে চুলের ক্ষতি হয় ভেঙ্গে হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আরো মাথার ত্বকের অবস্থা বৃদ্ধি করে সমৃদ্ধ করে চুলের বৃদ্ধি করে খুশকি ও চুল পড়া রোধ করে
কাঁচা হলুদ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা হলুদের গ্যাস নিরোধক উপাদান রয়েছে । তাই নিয়মিত কাঁচা হল খেলে গ্যাস অম্বলের সময় সমস্যা থেকে বিস্তার পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যাদের জন্য অনেক উপকার। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে অ্যালজাই march dimensia সমস্ত সে বেশ কিছু সমস্যা কয়েক হাত দূরে চলে যায় কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস।
কাঁচা হলুদ কি কিভাবে ব্যবহার করা যায়
কাঁচা হল বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া যায়: আমরা কাঁচা হলুদ বেটে তরকারিতে দিয়ে খেতে পারি। কিন্তু কাঁচা হলুদ খাওয়ার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় বা বেশি ব্যবহৃত হয় এইগুলা হলুদ। কাঁচা হলুদ আরো অন্যান্য খাওয়া যেতে পারে যেমন গরম দুধের সাথে কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি দ্রবণ। কাঁচা হলুদের অনেক গুনাগুন রয়েছে যা এভাবে খেলে আমাদের শরীরে উপকৃত হয়। কাঁচা হলুদ আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে ত্বক পরিচর্যা, চুল পরিচর্যা, ঔষধি হিসেবে আরো নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এই কাঁচা হলুদ ।
খেলে কি কি রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
কাঁচা হলুদ খেলে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো: হার্টের রোগ থেকে ,মুক্তি পাওয়া যায়, ক্যান্সারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী । আরো একটি বিষয় কাঁচা হলুদ ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেক কাজে আসে যা একটু ওজন বার বা একটু মোটা ব্যক্তিদের জন্য অনেক উপকারী এটি দ্রব্য হিসেবে কাজ করবে ।
কাঁচা হলুদের গুনাগুন
এক টেবিল চামচ প্রায় ৬.৮ গ্রাম কাঁচা হলুদের পুষ্টিমার নিচে দেওয়া হল:
- ক্যালোরি ২৪
- কার্বোহাইড্রেট ৪.৪ গ্রাম
- ফাইবার ৪.৪ গ্রাম
- প্রোটিন ০.৫ গ্রাম
- চর্বি ০.৭ গ্রাম
- ভিটামিন সি ১.৭ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ১৭০মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম
- আয়রন ১.৮ মিলিগ্রাম
দুধের সাথে কাঁচা হলুদের পেস্ট মিশিয়ে খেলে কি হয়
দুধের সাথে কাঁচা হলুদ খাওয়া অনেক উপকারী । দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে যা যা হয়:
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- হজমের সমস্যা দূর হয়
- হাড় ভালো থাকে
- শরীর টক্সিন মুক্ত হয়
- মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে
প্রতিদিন কতটুকু কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত
আপনি প্রতিদিন দু চামচ কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। খাওয়ার পর অবশ্যই এক গ্লাস জল খাবেন কিছু খাওয়ার পর জল খাওয়াটা অত্যাবশ্যক গুরুত্বপূর্ণ । দুই চামচ কাঁচা হলুদের পেস্টে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন থাকে । তবে কাঁচা হলুদের মান অনুযায়ী ইউনিনের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।এবং কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনেক।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা কিছু খেলে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকে। কাঁচা হলুদ এর সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন।এতে অনেক উপকার হবে।কাঁচা হলুদ রোজ সকালে খালি পেটে একটুকরো খেলে লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করবে।তাই আমরা রোজ সকালে কাঁচা হলুদ খাওয়ার চেষ্টা করব।
কাঁচা হলুদ খেলে গায়ের রং ফর্সা হয় ?
কাঁচা হলুদ আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী ও কার্যকরী।শুধু দেহের জন্য নয় আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেট্রি উপাদান।যা আমাদের গায়ের রং উজ্জল করতে সাহায্য করবে,ফর্সা ও লাবণ্যময় করে তুলবে।
কাঁচা হলুদ ব্যবহারবিধি ঃ ঘুমানোর আগে প্রতিদিন নিয়মিত দুধের সাথে সহজতম কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে।এবং মিশ্রণটি খেলে,আস্তে আস্তে ত্বকের রং ফর্সা ও উজ্জ্বলতা হয়ে উঠবে। এবং কাঁচা হলুদ বেটে সকালে অথবা দুপুরের আগে, ত্বকে লাগায়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হয়ে উঠবে।।
কাঁচা হলুদে ডায়াবেটিস কমায় ঃঅনেকবার গবেষণা করে দেখা গেছে যে, নিয়মিত সকালে প্রত্যেকদিন কাঁচা হলুদ খেলে দেহের জন্য অনেক উপকারী, এবং কাঁচা হলুদের দেহের ভিতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেন,যার ফলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তের শতকরা মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাইনা।
লেখক এর মন্তব্য
আমার ছোটবেলায় মা , নারী , দাদীকে রান্নায় কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে দেখেছি । রোজ আমার মা এক গ্লাস গরম দুধের সাথে হাফ চা চামচ কাঁচা হলিডে পেস্ট মিশিয়ে আমাকে একপ্রকার জোর করে খাওয়াতো। খাওয়ানো কারণ হচ্ছে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ খুব একটা সাত জনুক বা মুখরোচক খাবার নয় এইজন্য মোটামুটি জোর করে খাওয়াতো এই দুধের সাথে কাঁচা হলুদ । এবং আমরা জানি যে কাঁচা হলদের উপকারিতা অনেক বেশি।
এর কারণটা আমরা উপর থেকেই আশা করি জানতে পেরেছি। ভারত বাংলাদেশ চীন মায়ানমার এই সমস্ত দেশগুলোতে কাঁচা হল সব থেকে বেশি পরিমাণ দেখতে পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদের ১৩০টি প্রজাতি রয়েছে । এই কাঁচা হলুদ গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমার এই বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছেন। কাঁচা হলুদ বা হলুদ ছাড়া আমাদের তরকারিতে কোন প্রকার আসবে না। এই এগুলো কারণের জন্য কাঁচা হলুদ বা হলুদ আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্রব্য তাই আমাদেরকে এই দ্রব্যটির সব সময় কদর করতে হবে ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url