৯ টি বাজে শারীরিক সমস্যা দুর করার সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন

৯ টি বাজে শারীরিক সমস্যা কিভাবে দুর করবেন তা নিয়ে আজ আলোচনা করবো। আমাদের শরীরে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা অনেকে বুজি না যে সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাব। কারণ ছোটখাটো সমস্যা গুলো নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকি, যে কিভাবে এই সমস্যা দুর করা যাই। আসলে আমাদের শরীর ঠিক না থাকলে কোন কিছু ভালো লাগে না।

আজ আমরা আপনাদের কাছে কিছু ঘরোয়া কিছু উপায় নিয়ে আসলাম। যা আপনাদের ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এবং নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকেও সমাধান পেতে পারেন।আসুন তাহলে ৯ টি বাজে শারীরিক সমস্যা দুর করুন এবং কিভাবে করবেন তা জেনে নিই।

আমাদের শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে, যেমন সর্দি কাশি, পোড়া, মুখের দুর্গন্ধ, ঘামের গন্ধ,ছোটখাটো পোড়া এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া। পোকামাকড়ের জ্বালাময়ী ইত্যাদি শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয়। এবং ছোটখাটো সাধারণ সমস্যাগুলোর কারণে ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়ে ওঠে না।এবং এই সমস্যা গুলো আমাদের শরীরে লেগেই থাকে।

এবং এর সমস্যার কারণে অস্বস্তিতে থাকেন। এবং এ ধরনের সমস্যা থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পাব তা নিয়ে অনেক চিন্তিত হই।আমরা অনেকেই জানি না যে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এ সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি, মাত্র ৫ মিনিটে সময় ব্যয় করে এ ধরনের সমস্যা শারীরিক সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি বা পাওয়া সম্ভব। আসুন তাহলে আজকে আমরা এই সমস্যা গুলোর সহজ সমাধান জেনে নেই। এবং ৯ টি বাজে শারীরিক সমস্যা দুর করুন।

আমাদের মুখে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধে সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে, পুদিনা/তুলসী/ধনে পাতা চিবানো। এবং এছাড়াও লবঙ্গ দারুচিনি এবং কমলালেবুর খোসা চিবিয়ে খেলেও আমাদের মুখে নিঃশ্বাসের গন্ধর সমস্যা থেকে দূর করা যায়। এবং লেবুর খোসা কাঁচা চিবিয়ে খেলে শুধু নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ নয়,সাথে আমাদের শরীরে নানা কাজ করে থাকে,এ থেকে বিভিন্ন রোধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

আমাদের অনেক সময় নাকের কিছু কোন কারনে গুঁতো লাগল, নাক থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। এবং এ রক্ত পড়া যদি তাৎক্ষণিক বন্ধ করতে চাইলে বাদামি রঙের মোটা কাগজ বা বড় আকারে খাম তৈরিতে বা সুপারশপে বাজারে ব্যাগগুলোতে যে কাগজ ব্যবহার হয়,তা নিয়ে মুখের ভিতরে ওপরে তালুতে দিয়ে জিভে দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে,এতে অনেকটা রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো বিস্তারিত জানুন  

গা যখন ঘেমে যায় অনেকের গায়ে বিশ্রী গন্ধ সৃষ্টি হয়। এবং অনেক বাজে গন্ধ বের হয়।এর মূল কারণ হচ্ছে যে মরা কোষে রোমকূপ বন্ধ হয়ে থাকে। তাই গোসলের আগে অবশ্যই শুকনো গায়ে বডি ব্রাশ চালিয়ে পুরো শরীরে মরা কোষ দূর করে নিতে হবে।যেন আপনার শরীরে কোন রকম মরা রোমকূপ না থাকে।এবং গোসলের সময় ভালোভাবে পানিতে কমলালেবুর খোসা ডুবিয়ে রেখে গোসল করতে হবে।এ থেকে গায়ের দুর্গন্ধ থেকে অনেক মুক্তি পাওয়া যায়।

আমাদের অনেকের, অনেক সময় হারে জয়েন্ট গুলোতে, প্রচন্ড রকমের ব্যথা অনুভব হয। এবং এ ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হোমরোপ্যাথি ওষুধ আরনিকা ব্যবহার করুন।এবং এটি তুলোর বল ও ওষুধে চুবিয়ে জয়েন্টে ঝুলে নিন।তাতে আপনার হাতে পায়ে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এবং আমাদের শারীরিক সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে,এবং হাতে পায়ে জয়েন্টে ব্যাথা সমস্যাগুলো ঘরোয়া ভাবে দূর করা যায়। উষ্ণ গরম পানি দিয়ে আপনি হাতে পায়ে জয়েন্টে লাগিয়ে শেক দিতে পারেন,এতে করে আপনার হাতে পায়ে জয়েন্টে ব্যাথা অনেকটা কমে যাবে।

আরও পড়ুনঃ ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন 

খুশকি একটি অস্বস্তিকর,এবং বিরক্তিকর সমস্যা। এ সমস্যা অনেক সময় লজ্জিত দিয়ে থাকে। কারণ কম বেশি আমাদের সবার মাথাতেই এই খুশকি হয়ে থাকে। এবং খুশকির এই সমস্যা থেকে দূর থাকতে চাইলে মাথা ও চুল সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।এবং সব সময় পরিষ্কার রাখাটা আমাদের উচিত। শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহারের পর এক কাপ ভিনেগার মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিন ভালো করে,এবং তার সাথে পাঁচ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

নতুন জুতো পড়লে কিংবা রান্নার সময় তেলের ছিটা পড়লে চামড়ার ফোসকা পড়তে দেখা যায়। এবং এর জলোনি থেকে রক্ষা পেতে ফসকা পড়ার অংশে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হ্যামোমেল ভারজিনিয়া তুলই লাগিয়ে ৩/৪ বার ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে উঠবে। বা ফোসকা পড়ার সাথে সাথে অবশ্যই ঠান্ডা পানি দিতে হবে।এতে কিছুটা জ্বালা কমবে।

শরীরে পানি-শূন্যতার কারনে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়,এবং এতে সারা বছরই ঠোঁট ফেটে থাকে। এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঙ্গে রাখুন অলিভ অয়েল।কিছুক্ষণ পরপর অলিভ অয়েল দিয়ে ঠোঁটি ভিজিয়ে নিবেন। এবং আপনার শরীর পানি শূন্যতা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

পোকামাকড়ের কামড়ের জুলুনি ও এলার্জি থেকে তাৎক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে নিয়ে কামড়ের অংশে ঘষুন। পেঁয়াজের সফলতার দ্রুত জ্বলনি কমিয়ে দিবে এবং এর সাথে এলার্জি হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

এক গ্লাস পানিতে একটি স্ট পাইপ নিন।এবং দুই হাতের বুড়ো আঙ্গুলের পরে আঙ্গুল দিয়ে দু কানের নিচে চোয়াল এবং গলার যে জয়েন্ট রয়েছে তাতে চাপ দিয়ে ধরেই স্ট্র দিয়ে পানি পান করতে থাকুন। দেখবেন হেঁচকি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ দাঁতের ব্যথা হলে কি করণীয় বিস্তারিত জানুন  

আমাদের শরীরে বিভিন্ন নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। উপরে পরামশ্য থেকে কিছু তা হলেও সমস্যা দুর হবে। আমার মতে এই ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে আমার চিন্তা করবো না। এতে আপনার শরীর আরও অসুথত হতে পারেন । আমার মতে এয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উপরের এই টিপস অনুযায়ী কাজ করলে আসা করা যায়, আপনি নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

নিজের যত্ন নিজেকে নিতে হবে। তাই অবশ্যই আমরা সমস্যা টাকে সমাধান করার চেষ্টা করব। এতে আমাদের মন ও শরীর দুটো ভালো থাকবে। আপনাদের কাছে ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানবেন, ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন ধন্যবাধ।