ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।ড্রাগন ফলটি আমরা কম বেশি সবাই চিনে থাকি।এই ফলটি অনেক মানুষই খেয়ে থাকে এবং অনেক পুষ্টিকর একটি ফল।ড্রাগন ফলে অনেক উপাদান রয়েছে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে কি কি উপকার রয়েছে আমরা অনেকেই জানিনা।প্রত্যেকটা ফলেরই উপকারিতা ও অপকারিতা থাকে সেগুলো আমাদের জানা অত্যন্ত খুব দরকার।এতে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। আসুন আমরা ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভূমিকা
বর্তমানে বহুল প্রচলিত ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল । ড্রাগন ফল যদিও নামটা শুনে ড্রাগনের কথা মনে পড়ে। কিন্তু ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল হজমের সহায়তা করে । রক্তে শর্করায় মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল। বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাহিদা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। এখন প্রায় সকল প্রকার মানুষ এটা ড্রাগন ফল খেয়ে থাকছে। ফলটি অনেক সুস্বাদু যেমন তার নাম তেমন তার স্বাদ এবং তেমন তার অভিনব।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের বিভিন্ন উপকারিত রয়েছে । ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ একটি ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল। এই ফলের ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। তবে এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ডাইরেক্টরি ফাইবার রয়েছে। একটা ড্রাগন ফলের ক্যালরির মাত্রা ১৩৬ প্রোটিনের মাত্রা ৩ গ্রাম ফ্যাটের মাত্রা শুন্য ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম আয়রনের মাত্রা ৮ শতাংশ মাত্রা ১৮ শতাংশ ভিটামিন সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ ভিটামিন ই এর মাত্রা ৪ শতাংশ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি ফেলে ফটো লিক এসিড এবং বিটা সাইন ইন এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে।এই প্রাকৃতিক পদার্থ গুলো মানবের কোষগুলোকে ফ্রি মেডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। যে এক প্রকার অনু যা ক্যান্সার এবং অকাল বার্ধক্যের মতো রোগ এর কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ফল। এইটা এখন ফল ফাইবারের সমৃদ্ধ এটি রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। ফলের নিয়মিত সেবন রক্তের শর্করা ভারসাম্য বজায় সহায়তা করে।আনসারের ঝুঁকি কমায় এই ফল । এতে ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান রয়েছে। এটি কোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতেও সহায়তা করে। এটা বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস অ্যালজাইমার এবং পারকিনসন এর মতো রোগে ঝুঁকি কমাতে অনেক সহায়তা।করে ।
গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারীর ফল। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন বি সোলেড এবং আয়রন ডায়েটিং গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি আদর্শ ফল। ভিটামিন বি এবং ফোল্ড নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে এবং গর্ব অবস্থায় শক্তির যোগাযোগ সাহায্য করে। তাছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম ব্রনের হারের বিকাশের জন্য খুবই উপকারী।এতে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা মহিলাদের পোস্টমেনুপোজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনেক সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
ড্রাগন ফলের চাষ এখন আমের দেশেই হচ্ছে । ড্রাগন ফল দুই ধরনের হয় ভেতরের অংশ লাল এবং সাদা। দেখতেই চমৎকার হওয়ার পাশাপাশি দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল । এর চমৎকার দশটি উপকারিতা হলো।
- ফলে রয়েছে বেশ কিছু প্রোটিন ভিটামিন যা আমাদের দেহকে এবং সুস্থ রাখতে অপরিহার্য।
- এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং ফ্যাট ফ্রি।যার ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েটলিস্টে রাখতে পারেন এই ড্রাগন ফল ।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে এই ড্রাগন ফল থেকে । নিয়মিত খেলে তাই বারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ।
- বা ব্রণের উপর ঘুস এক ঘন্টা রেখে তারপর সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে এতে করে ব্রণ দূর হবে।
- এক থেকে চার কাপ কাটার ড্রাগন ফল চটকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে তারপর সুন্দর করে ফেলুন হবে। উজ্জ্বল এবং কোমল হবে ।
- ত্বক কে হাইড্রাইট করতে আধা চা চামচ ড্রাগন ফলের রস নিন। এর সঙ্গে সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুই মিশিয়ে তোকে ১৫ মিনিট সুন্দর ভাবে লাগিয়ে রাখুন । এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগন
ড্রাগন ফল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল।এর ফলের ধরনের এবং পরিপক্কতার উপর পুষ্টিমান পরিবর্তিত হতে পারে। ১০০ গ্রাম ৩.৫ আউন্স ড্রাগন ফলে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নিচে দেওয়া হল।
সাদা মাংস যুক্ত ড্রাগন ফলঃ প্রতিটি ১০০ গ্রাম সাদা ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রায় ৬০ গ্রাম ক্যালোরি , ৯ থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট , ৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি , এক থেকে দুই গ্রাম ডায়েরি ফাইবার ,১ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন এক গ্রামের কম চর্বি।
লাল মাংস যুক্ত এরকম ফলঃ লাল মাংস যুক্ত ড্রাগন ফল রয়ছে প্রতিটি ১০০গ্রাম লাল রং এবং রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম ক্যালোরি ,থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট , এক থেকে দুই গ্রাম ডাইরেক্টরি ফাইবার, ৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি এক থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন ১ গ্রামের কম চর্বি।
ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া উচিত
লাল মাংস যুক্ত ড্রাগন ফল রয়ছে প্রতিটি ১০০গ্রাম লাল রং এবং রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম ক্যালোরি ,থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট , এক থেকে দুই গ্রাম ডাইরেক্টরি ফাইবার, ৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি এক থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন ১ গ্রামের কম চর্বি।
ড্রাগন ফল কাদের খাওয়া উচিত নয়
ডায়াবেটিস ড্রাগন ফল রক্তের সরবরাহ ক্ষমতার সাহায্য করে ড্রাগন ফল গ্রহণ করলে , রক্তের সর্কারা মাত্রা নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
সার্জারিঃ ড্রাগন ফল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। নির্ধারিত অস্ত্রোপচারের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে যেমন ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
ড্রাগন ফল কিভাবে সংরক্ষণ ও কাটতে হয়
ড্রাগন ফল কাটার উপায় হচ্ছে তার খোসাটি থেকে মাংসটি সরিয়ে ফেলা।একটি সিল করা পাত্রে বা প্লাস্টিক ব্যাগে রাখতে হবে। তাজা রাখতে ব্যাগ বা প্লাস্টিক থেকে যতটা সম্ভব বাতাস সরিয়ে ফেলতে হবে তাহলে ড্রাগন ফলটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে ড্রাগন ফল কতটুকু খাওয়া যাবে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি ফল খাওয়া যাবে না। এটি রক্তের শর্করার স্পাইক কমাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যদি এগুলো অন্যান্য ফলের সাথে একত্রিত করা হয় তবে প্রায় ৫০ গ্রাম হাওয়া যেতে পারে। অধিক খেলে তার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ড্রাগন ফল খেলে কি হিমোগ্লোবিন বাড়েঃ হ্যাঁ ড্রাগন ফল খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে। ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে । তাই আমোনিয়া রোগীদের জন্য এই ড্রাগন ফল অনেক ভালো। বাইরে খোঁজা দেখতে রূপকথার ড্রাগনের পিঠের মত তাই এটি নাম ড্রাগন ফল রাখা হয়েছে।
ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত বাড়েঃ ড্রাগন ফলের আয়রনের রক্তের কোষের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা আর উন্নত করতে সাহায্য করে । এবং দেহে আরো রক্ত উৎপাদিত করতে সক্ষম হয়। ফলে যার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের এই ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।
কোন ড্রাগন ফল ভালো
লাল ড্রাগন ফলের সাদা অংশের তুলনায় মিষ্টি স্বাদের কারণ এতে বেশি থাকে চিনি। ১০০ গ্রাম লাল ড্রাগন ফলে চিনির পরিমাণ ১১.৫ গ্রাম সাদা ড্রাগন ফলের পরিমাণ মাত্র ৭.৬৫ গ্রাম এভাবে ডাক্তারের পরামর্শ দেন যারা ওজন কমাতে চান ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য সাধারণ ফল খাওয়া উত্তম। যারা ক্রোমোজোম নিয়ে ভুগছেন তারা ডায়াবেটিসের কোন সমস্যা নেই তারা অবশ্যই লাল ড্রাগন টাই খাবেন কারণ এইটিতে আপনার শরীরের অনেক উপকৃত হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
উপর থেকে ড্রাগন ফল সম্পর্কে সব কিছুই জানতে পারলাম।আমাদের নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। ফলে উচ্চ মাত্রায় আয়রন আরো এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগত ভিটামিন রুটিন ইত্যাদি রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। তাই আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় এই ড্রাগন ফলটি রাখতে পারি । ফলে এটা আমার ফল খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। আমরা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url