পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।পেয়ারা একটি সুস্বাদু ফল, যে আমরা সবাই খেতে খুব পছন্দ করি। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতে ও অনেক পুষ্টিকর। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
পেয়ারে একটু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগবালাই দূর করতে সাহায্য করে। পেয়ারা আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি, কিন্তু পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।আসুন আজকে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
ভূমিকা
পেয়ারা একটু স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার। পেয়ার এতে প্রচুর পরমের ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ রয়েছে।আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগানিজ, ও পটাশিয়াম ।এবং পেয়ারাতে ক্যালোরি কম থাকে,এবং ফাইবার বেশি থাকে। পেয়ারা সব মৌসুমে পাওয়া যায়, যা খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এবং নিয়মিত পেয়ারা খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা খাওয়ার ফলে অনেক শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।এবং আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী । পেয়ারা খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে তার সম্পর্কে জেনে নিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এটি একটি উপকারী ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এর উৎস। এবং কমলা ফলের চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন সি রয়েছে। যার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এবং আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা খান তাহলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস, থেকে সংক্রমণ হতে দূরে রাখতে কাজ করে থাকে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়ে থাকে, প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা ছেলে অনেক উপকারী যোগাবে।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারীঃপেয়ারা খেতে অনেকটা মিষ্টি হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেকটা উপকারী। এটি একটি ফাইবারের ভালো উৎস।এবং তার সাথে গ্রাইসেমিক সূচক কম থাকে। যার কারনে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকারক না।এবং গ্লাইসেমিক সূচক চিনির মাত্রাটা হঠাৎ করে বৃদ্ধি রোধ করে।যার ফলে পেয়ারা থাকা ফাইবারের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটা সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার ভালো ও সুস্থ রাখতে পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে। এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। এবং এই দুই উপাদান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খুব সহজে সাহায্য করে। গবেষণা করে জানা যায় যে, কোন কিছু খাবার খাওয়ার আগে, পাকা পেয়ারা খেলে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এবং এটি উচ্চ৷ কোলেস্টেরল কমাতেও কাজ করে। এবং পেয়ারা খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ৮ শতাংশ। এবং এটি হার্ট ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো রাখে। তার সাথে পেয়ারার পাতাও নির্যাস ও হৃদরোগের স্টক থেকে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কাজ করেঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে পেয়ারা। এবং পেয়ারা ফল আমাদের বিপাক ক্ষমতা উন্নত করতে খুব ভালো সাহায্য করে। সেই সাথে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন গ্রহণের ভারসাম্য অনেকটা বজায় রাখে। তাই চিনি যুক্ত কোন খাবার বা পানিও খাবারের বদলে, পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করলে খুব ভালো উপকারী পাবেন। এতে করে খুব দ্রুত ওজন কমবে।পেয়ারাতে অনেকটা ক্যালোরি কম থাকে, যা দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃপেয়ারা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে, খুব ভালো কাজ করে থাকে। এবং এদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুব ভালো কাজ করে এই ফল। এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ কারী পেয়ারা খুবই ভালো উপকারী।
দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেঃকাঁচা পেয়ারা রয়েছে ভিটামিন এর উৎস,। এবং এতে রয়েছে ভিটামিন এ কর্নিয়াকে, ও যা সুস্থ রাখার পাশে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ থেকে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।তাই আমাদের প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় পেয়ারা রাখা খুবই প্রয়োজ।যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
এবং বিশেষজ্ঞদের মতে জানা গেছে যে, একটি পেয়ারা ৪ টা কমলা লেবু সমান পোস্টটি ও গুণে ভরা। বিশেষ করে পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি। শুধু কমলালেবু না ৪ টি আপেল ও কমলা লেবু সমান একটি পেয়ারার ভেতর পুষ্টী গুণ রয়েছে। এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পানি ভিটামিন এ ভিটামিন বি ও ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা ভিটামিন সি এর খুব ভালো উৎস।এতে ২১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি যা দেহের জন্য মুখগহ্বর দাত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এবং সাধারণত ভিটামিন এ প্রথমে পাওয়া যায় না, এটি ক্যারোটিন রূপে থাকে। পরবর্তী সময়তে ভিটামিন এ হতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরে ক্যারোটিন স্বাভাবিক বৃদ্ধি করে নিশ্চিত করে থাকে। এবং তার সাথে চোখের রেটিনা ও কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে খুব ভালো কাজ করে।
এবং প্রতি 100 গ্রাম পেয়ারায়, রয়েছে ০.২১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ওয়ান ও ০.৯ মিলিগ্রাম ব৷ টু পাওয়া যায়।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে, সে নিয়ম অনুযায়ী পেয়ারা খেলে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ২ টি ভালো থাকবে। সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে পেয়ারা খেতে পারেন। এবং দুপুরে খাবার খাওয়ার পরেও পেয়ারা খেতে পারেন। এবং মনে রাখবেন পেয়ারা সকালে খালি পেটে না খাওয়াই উচিত। এবং খালি পেটে সকালে পেয়ারা খেলে এসিডটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং খুব বেশি পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পেয়ারা কি?
বর্তমান সময়ে পেয়ারা বহুল প্রচলিত একটি ফল। এবং সবাই পেয়ারা হিসেবে এটা পরিচিত। সারা বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় এটি অবস্থিত।এবং মেক্সিকোতে সবার প্রথমে পাওয়া যায় পেয়ারা,যা আস্তে আস্তে এশিয়া মহাদেশে এবং বিভিন্ন দেশে, পেয়ারার প্রচলিত উদঘাটন হয়।এবং ভারতবর্ষে অনেক বেশি পেয়ারা উৎপাদিত হয়ে থাকে। এরপর আরো বিভিন্ন দেশে যেমন থাইল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়ার উৎপন্ন হয়।
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- ওজন কমানোর জন্য পেয়ারা খুবই কার্যকর,
- পেয়ারাতে ফাইবার থাকা কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরময়ের জন্য খুব ভালো কাজ করে, অনেক চিকিৎসা উপর রয়েছে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেয়ারা খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- এবং যারা গ্যাস ও অ্যাসিডিটি সমস্যায় ভুগেন। তাদের জন্য পেয়ারা অনেক উপকারী। এবং গবেষণায় জানা গেছে যে, ঘরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃৎপিণ্ডকে রেডিক্যাল ভাবে সৃষ্টি করা থেকে রক্ষা করে।
- পেয়ারাতে ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
- এবং যাদের পাইলস রয়েছে তাদের জন্য পেয়ারা অনেক উপকারী। এবল কোষ্ঠকাঠিন্যের পাইলসের প্রধান কারণ,তাই খালি পেটে পেয়ারা খেলে অত্যন্ত অনেক উপকারী।
- পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
- পেয়ারা খাওয়ার সময় হচ্ছে বিকাল বেলা বা দুপুরে খাবারের কিছুক্ষণ পর। যার ফলে পেয়ারা খেলে পেটে যেকোনো সমস্যা থেকে উপশম হয়।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
পেয়ারা যেন অপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে, আমরা অনেকেই পেয়ারা খেয়ে থাকি কিন্তু পেয়ারা অপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানিনা আসুন জেনে নেওয়া যাক।
এবং পেয়ারা নয। পেয়ারার পাতা খাওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি কর দিক রয়েছে, পেয়ারার পাতায় আমাদের দেহের রক্তস্বল্পতা, মাথা ব্যথা ও কিডনির সমস্যা সৃষ্টি তৈরি করতে পারে। এবং পেয়ারা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে, পেটের যেকোনো রোগ বা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং এটি পাঁচটি সিস্টেমে দেহের খারাপ প্রভাব ফেলে যা হজম শক্তি দুর্বল হতে অনেকটা শুরু করে।
এবং যাদের আমাশা ও পেটের সমস্যা থাকে, তারা পেয়ারা খাওয়া থেকে অনেক দূরে থাকুন।পেয়ারার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফাইবার। যা ডায়টের জন্য অন্তর্ভুক্ত।পেয়ারা সবার পছন্দ ফল হলেও এটি অতিরিক্ত বেশি খেয়ে খেয়ে ফেললে বিপরীত কিছু হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
লেখক এর মন্তব্য
উপর থেকে যা জানলাম পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পেয়ারাতে ভরপুর পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে। আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আমরা দৈনিক ১/২ দুইটা পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করব। তাতে করে আমাদের শরীরের অতীত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন দৈনিক ভাবে পেয়ারা খেতে। এবং সুস্থ থাকার জন্য পেয়ারা খুব উপকারী।আপনাদের কাছে এই পেয়ারা খাওয়ার টিপস যদি ভালো লাগে অবশ্য কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url