কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
কোমরে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া সম্পর্কে আজকে জানবো। কমবেশি সবারই এই কোমর ব্যথার রোগটি রয়েছে। এতে করে অনেকে চিন্তিত হয়ে যায়। কোমর এমন একটি রোগ যা খুব কষ্টকর, সহজে ভালো হতে চায় না। এবং বিভিন্ন কাজ ক্ষেত্রে এ কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।
যারা একটু বয়স্ক তাদের এই কোমর ব্যথা একটু বেশি হয়। যার ফলে অসহ্যকর ব্যথা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।কোমর ব্যথার জন্য আমরা বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকি এবং। এবং অতিরিক্ত ওষুধ খালে আমাদের অনেক সমস্যা ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তাই আসুন আমরা কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভূমিকা
বিভিন্ন জায়গায় যেম ন বাসা ও অফিসে হঠাৎ হঠাৎ করে কোমরের ব্যথা কাতর হন অনেকেই। এবং বর্তমান সময়ে এই সমস্যাগুলো অনেকেরই দেখা যায়,এবং বেড়েই চলেছে। এবং কোমর ব্যথার কারণ হলো বেশিরভাগ মানুষই সারাদিন বসে থেকে কাজ করে।এবং ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সামনে বসে থেকে কোন কাজ করলে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায়।
এবং হাটাহাটি করার সুযোগ থাকে না অনেকের। এবং তার সাথে নিয়মিত খাবার ও ব্যয়াম দুটোই করা হয় না,শরীর চর্চা অভাব অনিয়ম রয়েছে। কোমর ব্যথা হলে অতি দ্রুত দূর করার জন্য বেছে নিতে পারে না ঘরোয়া ুউপায় গুলো।
নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন
কোমরের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, নিয়মিত এক্সারসাইজ করার কোন বিকল্প নেই। এবং প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়াম করলে, কোমর ও পিঠে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং হালকা ব্যায়াম করলেও অনেক আরাম পাওয়া যায়। এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে ব্যায়াম করতে নিষেধ করা হয়। তাই অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে আপনার ব্যথার ধরন কেমন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা উচিত।
সরিষার তেল ও রসুনের ব্যবহার
একটি পাত্রে সরিষার তেল, রসুন ও কালোজিরা ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবং মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এবং হালকা উষ্ণ গরম তেল কোমরে মেসেজ করুন। এবং এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে কোমরের ব্যথা অনেকটা আরাম হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি গরম অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না, এতে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার
কোমর ব্যথায় যে গুলো ঘরোয়া উপায়ে টোটকা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে, এবং সেটা হচ্ছে একটি হলো হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার।কোমরে ব্যথা হওয়ার সময় হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। হট ওয়ার ব্যাগ ব্যবহার করার আগে প্রথমে একটু সরিষার তেল মেসেজ করে নিতে পারেন। এতে করে কোমড়ো ব্যথা যন্ত্রণা অনেকটা কমে আসবে।
দূরত্ব ও কোমরে ব্যথা কমানোর ৭ টি উপায়
- নারকেল তেলের সাথে কর্পূর মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবং ঠান্ডা করে ওই তেল কোমরে ভালোভাবে অনেকবার মেসেজ করুন। দেখবেন ব্যথা অনেকটা সেরে যাবে।
- কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে, দিনে দু থেকে তিনবার গরম সেক দিন। এটি অনেক উপকারী।
- কোমরে ব্যথা কমানোর আরো একটি উপায় হলো, নীলগিরি তেল ব্যবহার করা, ব্যথার জায়গায় এই তেল ম্যাসাজ করলে অনেকটা স্বস্তি ও আরাম পাওয়া যায়।
- সরিষার তেল অনেক উপকারী,এবং সরিষার তেলের মধ্যে রসুন কুচি করে উষ্ণ গরম করে ব্যবহার করলে, ব্যথা থেকে অনেক স্বস্তি মেলে। এবং অতি দ্রুত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এবং গরম দুধে কাঁচা হলুদ ও হলুদের গুড়া তার সঙ্গে সামান্য কিছু মধু মিশ্রণ করে,পান করলে এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে।ফলে ব্যথা কমতে অনেক সাহায্য করে।
- আদা ও চায়ে অনেক গুণ থাকে, যা আমাদের কোমর ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করে। কোমর ব্যথা কমাতে আদা ও খুব উপকারি।
- পান পাতার উপরে কিছু ঘি লাগিয়ে উষ্ণ গরম করে, পিঠে অথবা কোমরে কিছুক্ষণ সেক দিন।দেখবেন অতি দ্রুত ব্যথা কমে গেছে।
কোমর ব্যথা কমানোর ৫ টি ব্যায়াম
কোমর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কোমর ব্যথাটা দেখা দেয়। এবং কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়াভাবে অনেকগুলো ব্যায়াম রয়েছে যা কোলে অনেকটা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ওষুধের থেকে ভাল কাজ করে।এমএমটি প্রতিদিন রাতে অথবা সকালে বিছানায় শুয়ে শুয়ে করতে পারবেন, আসুন জেনে নিই।
- যেকোনো নরম সমতল জায়গায় চিত হয়ে শুয়ে,এবং দুই হাত শরীরের দুই পাশে রেখে দুই পা ভালোভাবে সোজা করে শুয়ে নিতে হবে। এবং এক পা ভাজ না করে উপর দেখে যতটুকু উঠানো সম্ভব উঠাতে হবে। এবং একটানা ১০ সেকেন্ড পা তুলে রাখতে হবে। এবং অপর পাটাও সেম ভাবে উপরে তুলুন এবং একটানা ১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে।
- এবং সেম ভাবে ওপর পা টাকে হাঁটু ভাঁজ না করে করে উঁচু করে তুলে রাখতে হবে।
- এবং একটু একটু করে হাটু ভাজ করে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগাতে হবে।এই ভাবে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড পর পার করতে হবে। এবং অপরদিকে সেম ভাবে ওই হাটু টাকে বুকে লাগাতে হবে।
- এবং একই সাথে আবার দুই হাটু ভাঁজ করে সেম ভাবে দু হাতে জড়িয়ে বুকে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
- এবং সর্বশেষে দুই পা একসাথে টান করে শুয়ে১০/১৫ সেকেন্ড রাখতে হবে। ধাপ মত ১০ সেকেন্ড অথবা ১৫ সেকেন্ড ভাবে রাখতে হবে। এবং এই ব্যায়ামগুলো অনুসরণ করে সারাদিনে দুই থেকে তিনবার করতে হবে সকাল অথবা রাতে।যার ফলে কোমর ব্যথা অনেকটা কমে।
কোমর ব্যথা ট্যাবলেটের নাম কি?
- Naprox- 500 mg
- Napro- 500 mg
- Diproxen- 500 mg
- Sonap- 500 mg
- Napryn- 500mg
- Nuparafen- 500mg
- .Naspro- 500 mg
পিঠ ও কোমর ব্যথা কেন হয়?
- যেকোনো ভারী কোন জিনিসপত্র তোলা।
- আকস্মিক ভাবে শরীর বেশি নড়াচড় করা।
- দীর্ঘ অনেকটা সময় ধরে বসে থেকে কোন কাজ করা।
- নিজের শরীর চর্চা ও নিয়মিত ব্যায়াম না করা।
- হঠাৎ করে যদি কোন অতিরিক্ত ও পরিশ্রম করা হয় অথবা,ভারী ব্যায়াম করা।
- তুলতুলে নরম বিছানায় ঘুমানো, অথবা উচু বালিশে শুয়ে থাকা।
- ওয়ার্ন করার সময় ব্যায়াম না করা, এবং অতিরিক্ত খেলাধুলা করা এবং খেলার সময় পেশীতে টান লাগা।
কোমরে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় যা অনেকেই জানেনা। অনেকে কোমর ব্যথার কারণে বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ওষুধ না খেয়ে আমরা ঘরোয়া ভাবে কোমর ব্যথা কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
বিশ্রামঃ অনেক আগে সময় গুলোতো দেখা গেছে বেড রেস্ট ছিল, সবথেকে বড় চিকিৎসা। রেস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আবার অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত বেড রেস্ট এর কারণে উপকারের থেকে অপকার বেশি হয়ে থাকে। আপনার ব্যথা কিছুটা উপশম হলে আপনি আগের মত রেগুলার কাজকর্ম শুরু করতে পারেন।
অভ্যাস পরিবর্তনঃ আমরা অনেকে কাজ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ডেক্সটপ ও ল্যাপটপে সময় ধরে বসে থাকি। এবং একটানা বসে থাকার কারণে কোমর ব্যথা হয়। তাই অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে একটানা কোন কাজ ক্ষেত্রে বসে থাকা যাবে না।কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নিয়ে কাজ করতে হবে।
কোমর ব্যথা লক্ষণ কি কি?
কোমর ব্যথা ও লক্ষণ গুলির মধ্যে যা রয়েছে তা দেওয়া হল।
ব্যথাঃতীব্র ব্যথা হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি অনেক তীক্ষ্ণ ও ঝাঁকুনি যুক্ত অথবা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
অস্বস্তিঃ পিট ও কোমর, নিতম্ব ভাবে পায়ে অস্বস্তি হতে পারে।
শক্ততাঃ এবং কোমর বা নিতম্ব আস্তে আস্তে শক্ত হতে পারে।
চলাচল করার অসুবিধাঃ কোমর বা নিতম্বের অনেকটা ব্যথার কারণে হাটা, হাটি, বসানো বা দাঁড়ানো থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
উপর থেকে আমরা কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলাম। আমরা কমবেশি অনেকেই কোমর ব্যথায় ভোগি।কারণ বিভিন্ন কাজ ক্ষেত্রে আমরা ঠিকমতো শরীরচর্চার না নেওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়।তাই অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং নিয়মিত, শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করতে হবে।
এতে করে অনেকটা কোমর ও অন্যান্য রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। এবং অতিরিক্ত কোমর ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। আশা করি আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url