চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো বিস্তারিত জানুন
চুল পড়া এই রোগটি আমাদের কম বেশি সবারই থাকে। সবার এই সমস্যাটা দেখা দেয়। চুল বেশি বেশি উঠে যাই অনেক চুল পড়ে যায়।চুলে ঘনত্ব কমে যায়,এবং চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। আমরা আসলে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তার ভিতরে পড়ে যায় যে চুল পড়া রোধ কিভাবে করব। কি কি করলে চুল ওঠা বন্ধ হবে। আসুন তা আজকে আমরা জানব।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে চুল পড়া বন্ধের উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করব। কি কি কারণে আমাদের মাথার চুলগুলো নরম হয়ে যায় এবং উঠে যায় সে সম্পর্কে আজকে জানবো।চুল যত্ন না করলে চুল অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।আমরা আসলে অনেকেই চলে যত্ন ঠিকমতো নিতে পারি না বা করতে পারিনা, আসুন তাদের জন্য কিছু টিপস আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
আমাদের চুল পড়া শুরু করলেই যে জিনিসটি আমরা বেশি করে থাকি,সেটা হল দুশ্চিন্তা।এবং জানেন কি আমাদের দুশ্চিন্তার কারণেই চুল আরও বেশি পড়ে যায়।তাই প্রথমে চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে, আমাদের দুশ্চিন্তা করা যাবে না,এবং মাথায় কোন ধরনের টেনশন রাখা যাবে না।এবং আমরা জানি যে চুল মানুষের সৌন্দর্য বড় মাপকাঠি। চুল সৌন্দর্য টাকে বাড়িয়ে দেয়, এবং দেখতেও সুন্দর লাগে।
এবং চুল নিয়ে আমরা বেশি ভাবি এবং আবেগটা বেশি হয়ে থাকে।এবং কোনো কারণে চুল পড়লে বা টাক হলে মানুষ বেশিরভাগ মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েন। কিছুটা হলো ও আমাদের চুলের যত্ন নিতে হবে, এবং বিশেষ করে ঘুমানোর আগে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে চুল পড়া রোধ করা যায় অনেকখানি। এবং সেটা আজীবনের জন্যই।
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
চুল পড়া বন্ধ করার কিছু ভিটামিন রয়েছে, এবং চুলের পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে, এবং ভিটামিন এ ভিটামিন বি বিশেষ করে বায়োটিন সি, ডি ও ই আরো রয়েছে খনিজ, আয়রন,জিক্সএগুলো নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিহার্য।
ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই এন্টি অক্সিডেন্ট এর গুনাগুনের বেশ জনপ্রিয়। এবং তা এতে ফ্রি ব্যাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।এবং ফলে এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।এবং এটি কোষের দিক থেকে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এবং এজন্য অনেক বিউটি স্পট গুলোতে ভিটামিন এ বেশি ব্যবহার করে থাকে। এবং এটার চুলের জন্য অনেক পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এ প্রোডাক্ট টা সবাই ব্যবহার করে থাকেন।
ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ চুলের জন্য অনেক ভালো উপকারী। আমাদের দেহে সঠিকভাবে কাজ করতে ভিটামিন এ প্রয়োজন।এবং তার সাথে চুল ভালো রাখাটাও খুব প্রয়োজন। ভিটামিন এ সাহায্যের ত্বকের গ্রন্থি গুলো সিবাম তেল উৎপাদন করে থাকে, যা মাথার ত্বককে আর্দ্র ও নরম রাখে, এবং তার সাথে সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
আমরা অনেকেই জানি না যে ভিটামিন এ ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।এতে চলে চিটচিটে ভাবটাও কমে যায়।
ভিটামিনের এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলঃ
মিষ্টি আলু, টমেটো,গাজর, পেঁপে,লালমরিচ,পালং শাক ইত্যাদি ভিটামিন এ।
ভিটামিন বিঃ আমাদের চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে থাকে বায়োটিন, এবং চুল বৃদ্ধি করে থাকে। এটি চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, এবং চুল পড়া রোধ থেকে কমায়। এবং পাতাবহুল, শস্য, সবজি, বাদাম ইত্যাদি দ্বারা ইত্যাদিতে এর ফলে বায়োটিন বা ভিটামিন বি পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিকভাবে বায়োটিন চুলের ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে,এবং তার সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং চুলের ক্ষয় রোধ পূরণ করতে সাহায্য করে। এবং এটি চুল পরা বন্ধের সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় এ বায়োটিন।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
কম বেশি চুল আমাদের সবারই পড়ে থাকে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধ কিভাবে করবো তো আমরা অনেকেই জানিনা। তাই কিছু চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো বিস্তারিত দেয়া হলো।
চুল পরিষ্কার রাখুনঃ আমাদের মাথার চুল পড়া রোধের প্রথম কারণে হচ্ছে চুল পরিষ্কার রাখা।এবং চুলটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে,কারণ সারাদিন বাইরে ধুলো মেলায় ভিতরে থাকার পরে চুলের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়,এবং সেখানে আমরা প্রথমেই অবশ্যই বাইরে থেকে ফিরে এসে চুলটাকে পরিষ্কার রাখা আমাদের উচিত।
এবং সকালে বা দিনের বেলা সম্ভব না হলেও রাতের বেলা অবশ্যই গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এবং উন্নত মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এবং অবশ্যই ঘুমানোর আগে চুলটি ভালো করে শুকিয়ে ঘুমাবেন।
চুল বেঁধে ঘুমানঃ জানা যায় যে গড়ে প্রত্যেকদিন মানুষের ১০০ টা পর্যন্ত চুল পড়ে যেতে পারে। এবং বেশিরভাগ চুল পড়ে রাতের বেলায়,এবং সেটি হচ্ছে বালিশের সঙ্গে চুলের ঘোষা লাগে।তাই অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে চুলটি বেঁধে ঘুমান,বিশেষ করে যাদের চুল বড়। তাহলে অনেকটা চুল পড়া কমবে।
এবং আবার অনেকে আছেন যারা রাতে চুল বেঁধে ঘুমাতে পারেন না এবং অস্বস্তি বোধ করে থাকেন,এবং আবার অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা আছে যা চুল বেঁধে ঘুমালে মাথা ব্যথা করে।এবং যাদের চুল বাধতে সমস্যা,তারা ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে।এবং চুলের জটা থাকলে চুল পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
চুল শুকনো রাখুনঃ এবং যারা বেশি ঘামে তাদের চুল পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং এমন ভাবে ঘুমাতে হবে যেন ফ্যানের বাতাস মাথায় লাগে।যেন চুলটি ভালোভাবে শুকনো থাকে,এবং মাথার ত্বক ঘামলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং গোসল করার সময় এক মগ পানিতে, তিন চার চামচ গোলাপজল মিশিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চুলের গোড়া কম ঘামবে।
চুল পড়া বন্ধ করা তেলের নাম
কমবেশি আমাদের চুল সবারই পড়ে থাকে।এবং চুলের যত্ন ঠিকমতো না নিলে চুল পড়া সম্ভব না বেশি থাকে। তাই চুলের জন্য কোন তেলটি ভালো হবে এটা আমাদের জানা অবশ্যই দরকার।কারণ তেল চুলের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে,চুল বৃদ্ধি পায় এবং উজ্জ্বলতা হয়। তাই অবশ্যই আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে কোন তেলটি দিলে আমাদের চুলের জন্য খুব উপকারী। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কোন তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী।
বেলা হেয়ার অয়েলঃ বেলা অয়েলে উপাদান রয়েছে অনেক,এবং পাঁচ প্রকার তেল ও ৪১ এর অধিক হারবাল সমৃদ্ধ দ্বারা লতা নির্যাসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এ বেলা হেয়ার অয়েল। এবং এই তেলটি মাথায় দিয়ে তার সঙ্গে অল্প একটু পানি মিস করে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
এই তেল সকলের জন্য উপযোগী। এটা আর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই।
বেলা হেয়ার অয়েল তেলের উপকারিতা
- চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে
- এবং মাথাব্যথা ও জ্বালাপোড়া দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করে
- এবং ঘুমের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে,ফলে ঘুম খুব ভালো হয়।
- এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
- চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে
- চুল বৃদ্ধি ঘটায় এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়
- চুলকে অনেক ঘন,কালোও মিশ্রণ করে
- চুল লম্বা করতে সাহায্য করে
রোজমেরি হেয়ার অয়েলঃ রোজমেরি এই হেয়ার অয়েলটি রক্তনালীতে প্রসারিত করে,এবং তার সাথে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে,ফলে চুল গজাতে সাহায্য করে। এবং এটি চুলের স্কাল্পে অক্সিজেন সরবরাহ করে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। এতে চুল ঘন করে বৃদ্ধি উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এবং এটি নারকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় ফোটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে এবং স্কালপে লাগাতে হবে।
আরো কিছু তেল রয়েছে জানার নিচে দেওয়া হলঃ
যেমনঃ পেঁয়াজের তেল, নারকেল তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, জাফরান অয়েল, ইত্যাদি চুলের জন্যই তেল গুলো অনেক উপকার্য।
লেখকের মন্তব্য
চুল আমাদের দেহের একটি অংশ। চল আমাদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। চুল ছাড়া আমরা অপরিপূর্ণ। তাই অবশ্যই আমাদেরকে চুলের যত্ন নিতে হবে। চুল যত্ন না নিলে চুল পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে কারন চুলের গোরা নরম হয়ে গেলে,চুল বেশি পড়ে। তাই অবশ্য আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, এবং যত্ন ঠিক সময়মতো নিতে হবে।
আমাদের কিছু তেল চুলে ব্যবহার করতে হবে যাতে চুল না পরে,অবশ্যই সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন তেলটি ব্যবহার করলে আমাদের চুলের সমস্যা দূর হতে পারে। তাই আমরা যে তেলটি কিনবো সেটাই জেনেশুনে বুঝে তেলটি কিনে ব্যবহার করব, তাহলে আমাদের চুল পড়া অনেকটা।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ভালো লাগলে অবশ্য কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url