শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় তা সম্পর্কে জেনে নিন
শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় তা তার সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব, বিভিন্ন কলকারখানা ও অবকাঠনে নির্মাণসহ বায়ু দূষণ ব্যাপক বাড়িয়ে চলেছে। যার ফলে আমাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে।এবং তাছাড়াও না না কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
এবং শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় তা আমরা অনেকেই জানি না। এবং যারা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটা বেশ উপকারী। আসুন জেনে নেই শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়।
ভূমিকা
এখন শুধু অপরিকল্পিতভাবে না, নারায়ন কলকারখানা অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ব্যাপক বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। এবং সম্প্রতি বেশি রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে। আমাদের নিঃশ্বাসের কারণে শরীরে বিভিন্ন ধূলাবালির রাসায়নিক উপাদান শৈলী প্রবেশ করায়, বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। এবং এসবের উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তেই চলেছে শ্বাসকষ্ট।
এবং শুধু বায়ু দূষণ ছাড়াও নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন ফুসফুসের সংক্রমণ, আবহাওয়ার প্রভাব খাদ্য ভ্যাস, এলার্জি প্রকৃতি ইত্যাদি এবং এগুলোর কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা নিঃশ্বাস নিতে না পারা, এবং শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হাওয়াই রেসিপিরেটরি ডিসট্রেস নামক পরিচিত। যার ফলে এসব রোগীদের হুটহাট করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই রোগে শিশু থেকে বড় ও বৃদ্ধ সব বয়সে মানুষই ভুগতে পারেন। এখান থেকে জেনে নিন শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় তা আলোচনা করা হলো।
কখন বুঝবেন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে?
এবং যাদের হাঁপানি রোগ রয়েছে, তারা মাঝরাতে অথবা ভোরের দিকে ঘুম ভাঙ্গার পর, বিছানায় উঠে বসে থাকে। এবং সে সময় তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। এবং এসব রোগীর কাছে যারা থাকেন, তারা শুনতে পান রোগীর বুকের ভিতর শোঁ শোঁ কিছু শব্দ হচ্ছে। এবং এই রোগীরা আক্রান্ত সময় তারা মনে করে, তাদের দম বন্ধ হয়ে আসছে।অর্থাৎ এগুলা ভোরের দিকে বেশি শুরু হয়। এক্ষেত্রে যা যা লক্ষণ দেখা যায়, যেমন- ক্রমাগত হাঁচি, নাক অথবা চোখ দিয়ে পানি পড়া। এবং নাক মুখ দিয়ে চুলকানো ইত্যাদি। এবং বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এসব লক্ষণ গুলো বেশি চোখে পড়ে।
কিন্তু আবার অনেকেরই একাধারে এ সমস্যাগুলো থাকে না। বরং তারা ক্ষেত্র বিশেষ করে এই রোগ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যেমন সিঁড়ি দিয়ে উঠা সময় এবং হাঁটাচলা বেশি করার সময়, এবং এদের হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।এবং এ সময, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলেই , এই সমস্যাগুলো থেকে প্রশমিত হয়ে যেতে সময় লাগে না।
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়
- হঠাৎ করে যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে বালিশ দিয়ে মাথার দিকে উচু করে কাত হয়ে শুয়ে থাকুন।তখন আপনার হাঁটু সামান্য পরিমাণে ভাঁজ করা যেতে পারে।
- এবং চেয়ারে বসে থেকে টেবিলের ওপর বালিশ রেখে, তার উপরে মাথা নিচু করে শুলে ভালো বোধ করবেন।
- বার আপনি যদি একটা চেয়ার কে সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করে ঝুঁকে থাকলে, এই সমস্যা থেকে কিছুটা হল মুক্তি পাওয়া যায়।
- এবং আপনি দেয়ালে ১ ফুট দূরত্ব রেখে, এবং তারপর দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালে, শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যায়।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
বেশিরভাগ আমাদের দেশের মানুষের ধারণা, ইনহেলার হচ্ছে হাঁপানি রোগের শেষ চিকিৎসা। এবং আমাদের অনেকেরই এই ধারণা, ইনহেলার একবার ব্যবহার করার ফলে, তারপরে কোন ওষুধ কাজ করবেনা। ডাক্তারি ভাষায় বলা হয়, ইনহেলার হচ্ছে এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা। এবং আপনি যদি এই ওষুধ সঠিকভাবে নিতে পারেন, তাহলে আপনার শ্বাসকষ্ট কমতে ১৫ থেকে ১ ঘন্টা, এবং সঠিক পদ্ধতিতে ইনহেলার ব্যবহার করার পর যদি রোগের শ্বাসকষ্ট ভালো না হলে, সেক্ষেত্রে তবে আপনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী।
যেসব রোগ থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়
সাধারণভাবে, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আবার অনেকের সাইনোসাইটিজ হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। এবং সাইনোসাইটিসের এর ক্ষেত্রে ঠিক ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী না। যার ফলে আমাদের নাকের ভেতরের গাএ প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে ফুলে যায়। যার কারনে প্রয়োজনীয় বাতাস তা নাক দিয়ে ফুসফুসে ঢুকতে পারেনা।
- ফুসফুসে পানি জমে গেলে এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এবং হৃদপিন্ডের বাম পাশের কার্যকারিতা কমার ফলে ভয়া ভহ ও হতে পারে শ্বাসকষ্ট।
- এবং যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি রয়েছে, ব্রঙ্কাইটিসের কারণে এই ফুসফুসের ব্রঙ্কিউলের অনেক সময় কিছু কিছু অংশ বন্ধ হয়ে গেলেও হতে পারে।
- এবং আবার কোন ক্ষেত্রে ফুসফুসের ভিতরে ছোট ছোট রক্তনালীর ভিতরে অভ্যন্তরে রক্ত জমাট হতে পারে।
- এবং যারা ডায়াবেটিস জনিত জটিলতায় ভুগছেন, যেমন কিটোএসিডোসিস হলে, এবং রক্ত এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে আপনি এই শ্বাসকষ্ট সমস্যা ভুগতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শ্বাসকষ্টের ধরন
এবং শ্বাসকষ্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে। এবং প্রথমটি হল অ্যাকিউট যা তীব্র ধরনের, এবং যা অল্প সময়ের মধ্যেই এটি তীব্র শ্বাসকষ্টে পরিণত হয়ে থাকে। যার ফলে এটি খুব দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এবং অপরটি ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্ট, এবং এটার তীব্রতা প্রথমে কম থাকে, পরে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
শীতকালে কি বাড়ে শ্বাসকষ্ট?
বিশেষজ্ঞ থেকে জানা যায় যে, তাহলে শ্বাসকষ্ট বাড়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে। কারণ প্রাকৃতিক নানা উৎপত্তি এর সাথে সংশ্লিষ্ট। এবং যাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই শীতকালে একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন।
- শীতকালে বাতাসে আদ্রতা পরিমাণটা অনেকটা কম হয়। যার ফলে বাড়ে ধলার পরিমাণ। এবং সেগুলা ফুসফুসে ঢুকে আমাদের সাথে সমস্যা বাড়ায় থাকে।
- বাতাসে ফুলের রেনু এই সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে ওড়ে থাকে। এবং ফুসফুসে এগুলো ঢুকলে সেগুলো এলার্জি সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে।
- শীতকালে বায়ু দূষণের কারণটা বেশি পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ।
শীতে শ্বাসকষ্ট কমাতে উপায় গুলো দেখুন
- আপনি যখন বাইরে বের হবেন অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করুন।
- এবং ঘরের ভেতর সবসময় পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখতে হবে।
- এবং ধূমপানের অভ্যাস থাকলে এটা পরিহার করতে হবে। রমজানের শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে, তাদের শীতে ধূমপান করার ফলে ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে।
- এবং আপনি আদা খেতে পারেন, যার ফলে আপনার শ্বাসনালির প্রদাহ কমে অক্সিজেনের প্রবেশ স্বাভাবিকভাবে রাখে। এবং আদা চা বা আদার রস ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- এবং সরিষার তেল হালকা উষ্ণ গরম করে, আপনার বুকে পিঠে ও গলায় ভালোভাবে মেসেজ করুন, এতে দেখবেন শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমে যাবে।
লেখক এর মন্তব্য
উপর থেকে আমরা শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় তার সম্পর্কে জানলাম। আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সমস্যা গুলো দেখা দেয। এবং হঠাৎ করেই সমস্যা গুলো দেখা দিলে কি করব আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না, তাই শ্বাসকষ্ট হলে আপনি কি করবেন বা কি করণীয় তার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবং এ রোগটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।তাই অবশ্যই নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে, আশা করি আপনাদের এই বিষয়টা সমাধান পেয়ে গেছেন।ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কোন সমস্যা থাকলে জানাই দিবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url