টুনা মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

টুনা মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা, সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। টুনা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ, এ মাছের কদর আলাদা। এবং এ মাতৃ খেতে অনেক সুস্বাদু বললেই চলে। না মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। আমরা টুনা মাছ সবাই খেতে ভালোবাসে এবং পছন্দ করি কিন্তু টুনা মাছের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। 
টুনা মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
যেটা আমাদের জানা অবশ্যই দরকার। কোন কিছু খাওয়ার আগে তার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক টুনা মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা

টুনা মাছ সামুদ্রিক মাছ দেখে তো অনেক সুস্বাদু, এবং মজাদার। এবং আজকাল বাজারে এ সামুদ্রিক মাছটি পাওয়া যায় ও দেখা মিলে। টুনা মাছ দামের দিখাও বেশ সস্তা। সামুদ্রিক মাছ হিসেবে এখন সব জায়গাতেই টুনা মাছে বিক্রি করতে দেখা যায়। যা অনেকেই এটি ক্রয় করে থাকেন। রং টোনা মাছ দিয়ে বিভিন্ন পদের মজার মজার রান্না ও খাবার তৈরি করা যায়। এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এর টুনা আছে বারবিকিউ বা ফিশ কারি তৈরি করা হয়।এই সামুদ্রিক মাছটা এখন সবার কাছে প্রচলিত হয়ে গেছে।অনেকেই টুনা মাছ খেতে বেশ পছন্দ ও ভালোবাসেন।এখান থেকে টুনা মাছের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

টুনা মাছ কেন খাবেন?

টুনা মাছ খেতে শুধু সুস্বাদু নয় এর পাশাপাশি শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এবং টুনা মাছের রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড টুনা মাছের ভরপুর রয়েছে।

টুনা মাছ কি?

টুনা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। টুনা মাছ এত লম্বা হয়ে থাকে ৩০ সে মি ৪.৫ মিটার পর্যন্ত। টুনা মাছের বেশিরভাগ প্রজাতি গুলো ৩/৫ বছর বেঁচে থাকে।টং টুনা মাছ স্বাদ এর জন্য বিভিন্নভাবে এটি কি রান্না করা ও ব্যবহার করা হয়। এ মাসের যেমনি স্বাদ ও তেমনি সস্তা দামে পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্যকর।

টুনা মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা

টুনা মাছের রয়েছে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। টুনা মাছ আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে। টুনা মাছের বেশ কয়েকটা উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া হলো।

ত্বক ভালো রাখেঃ মাছে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এবং অমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে আদ্র মশ্চারাইজে করে,এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। তাই যদি আপনি চকচকে স্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে আপনার খাবার তালিকায় তো টুনা মাছ অবশ্যই রাখুন।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ টুনা মাছের রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ, জিস্ক্, ভিটামিন এ এবং সেলেনিয়াম, যার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।

হাড় ভালো রাখেঃ টুনা মাছে রয়েছে ভিটামিন বি, যা হারকে শক্ত রাখতে এবং হাড়ভাঙ্গা ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। এবং আপনি ডায়েট চ্যাটের টোনা রাখতে পারেন এবং এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ অতিরিক্ত ওজন একটি বর্তমান সময়ে বড় সমস্যা। আমরা মজার মজার খাবার খেয়ে থাকি এবং তার সাথে স্লিম ফিগার চাই। এবং টুনা মাছ খাওয়ার ফলে আমাদের এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। সোনাই রয়েছে লো ফ্যাট, লো ক্যালোরি এবং প্রোটিন, যার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হৃদপিণ্ড সুরক্ষা করেঃ টুনা মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি, যা রক্তের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং কোলেরেস্টল কমায় ।যার ফলে হার্ট যথাযথভাবে কাজ করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ টুনা মাছে রয়েছে পটাশিয়াম যার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং ওমেগা থ্রি, ও পটাশিয়াম যৌথভাবে কার্ডি ওভারস্কুলার সিস্টেমকে সচল রাখেপ্রমাণ রক্তচাপ কমায় থাকে,যার ফলে হার্টে এটাকের ঝুঁকি কমায়।

ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ টুনায় থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার কোষের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত টুনা খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনি ও স্তন ক্যান্সারের থেকে ঝুঁকি কমায়।

শক্তি উৎপাদনঃ টুনা মাছ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের কার্যক্ষমতা বেশি বাড়িয়ে তুলে। যার ফলে আমরা অনেক বেশি শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান রাখতে ভালো ভূমিকা রাখে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ না মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফেটি অ্যাসিড, যা বয়সজনিত চোখের যে কোন রোগ না ম্যাকুলার ডিজেনারেশন করে থাকে। এবং এ ধরনের রোগ ডায়াবেটিসের কারণে হয়ে থাকে।টুনা মাল ডায়াবেটিস রেটিনা ক্ষয় থেকে চোখকে রক্ষা করে থাকে।

টুনা মাছের উপকারিতা

  • টুনা মাছে রয়েছে যে পরিমাণ ক্যালরি, তা ক্ষতিকর চর্বিযুক্ত। মাছের ক্যালরি নির্ভর করে থাকে চর্বির মাত্রার ওপরে। এবং টুনা মাছ ডিম পাড়ার সময় হলে এই মাছটি দেহে তেলের পরিমাণটা বেশি বেড়ে যায়। তখন তার সাথে ক্যালরি মাত্রা ও বাড়ে। তাই আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য খুবই কার্যকর।
  • টুনা মাছে রয়েছে পর্যন্ত আমিষ,এবং মাংস থেকে আমিষ পেতে হলে, এর সাথে চর্বিযুক্ত অথবা সম্পৃক্ত চর্বি গ্রহণ করতে হয়। অর্থাৎ এ মাছের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। এবং বিশেষ করে আপনি শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য এই আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন এ মাছটি বেশ ভালই ভূমিকা রাখতে পারে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষের জন্য ১৭৫০ মিলিগ্রাম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি, অ্যাসিড প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

টুনা মাছের অপকারিতা

টুনা মাছে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে। অতিরিক্ত টুনা মাছ খেলে আমাদের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক টুনা মাছের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

উইলসন ডিজিজঃ অতিরিক্ত টুনা মাছ খাওয়ার ফলে বিপদের ঝুঁকি বাড়ে এবং মার্কারের বিষক্রিয়ার কারণে। গবেষণা থেকে জানান যে, তাজা, প্রক্রিয়া জাত মাছ খেলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য, ঝুঁকি কমাতে পারে।

কিডনি ডিজিজঃ এবং অস্বাস্থ্যকর কিডনিগুলো প্রোটিন বর্জ্য থেকে অপ্রসারণ করার ক্ষমতা হারায় ফেলে। যার ফলে রক্তে বিল্ড আপ করতে  আরম্ভ করে।এবং ক্রনিক কিডনি ডিজিজ,এবং রোগীদের জন্য এসব কিডনি রোগ, পুষ্টি অথবা শরীরে আঁকার অনুযায়ী আমাদের খাদ্য তালিকা দেখে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

টুনা মাছের পুষ্টি তথ্য

  • পরিবেশন আকারে ১০০ গ্রাম,
  • এবং পরিবেশনার ধরন ৩ পিস
  • এতে ক্যালরি রয়েছে ১১৮ কিলোক্যালোরি
  • ফ্যাক্টঃ ২ গ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে,
  • মাইক্রগ্রামঃ ৩১
  • প্রোটিনঃ ২৫ গ্রাম
  • পানিঃ ৭২ গ্রাম

লেখক এর মন্তব্য

উপর থেকে যা জানলাম টুনা মাছের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। টুনা মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। এ মাছ খাবার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ত্বকের ক্ষেত্রে এ মাছটি খুব উপকারী। এবং আপনার খাবারের তালিকায় নিয়মিত এ মাছটি রাখতে পারেন যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী ও প্রয়োজনীয়। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url