ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করবো। আমরা সবসময় ওজন নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করে থাকি। ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা কিছু করে থাকি ,যার ফলে খাওয়া দাওয়া কমিয়ে ফেলি এতে আমাদের শরীর আরও দুর্বল হয়ে যায়। কারণ ওজন বাড়ার ফলে আমাদের চিন্তা ও বেড়ে যায়। কিছু সহজ উপায়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আমরা ওজন কমানোর জন্য বাহিরে কোন কিছু ব্যাবহার না করে ,এবং ডায়েট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওজন না কমিয়ে, আমরা প্রাকৃতিক ভাবে কোনো ক্ষতি ছাড়া ওজন কমাতে পারি । এবং প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমালে শরীরে স্বাস্থ্য ও মন দুটো ভালো থাকবে। আসুন আমরা তাহলে জেনে নিই ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
ভূমিকা
প্রত্যেক ব্যক্তি ফিট হতে চায় কেউ চায় নাহ্ সে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাক। এত সুন্দর শরীর সবার কামনা। মানবদেহে ওজন বাড়ার সাথে সাথে স্ট্রেস ও বাড়তে থাকে । তখন তখন কিভাবে ওজন কমানো যায় এর সন্ধান শুরু হয় । অতিরিক্ত ওজন হওয়ার ফলে মানুষ ভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে । অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে অনেক ধরনের কাজ করতে সমস্যা হয়।তাই ওজন কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানবো।
যেমন কোন কাজ তাড়াহুড়ো করে করতে পারে না বেশি হাঁটতে পারে না। একবার বসলে আর সহজে উঠতে পারে না। কোন কাজ করতে গেলে অনেক তাড়াতাড়ি হিমশিম খেয়ে যায়। এজন্য কারো ওজন অতিরিক্ত বারা ঠিক নয়। তাই অতি শীঘ্রই যাদের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে গেছে ইতিমধ্যে তাদেরকে সেটা কন্ট্রোলে রাখতে হবে ।না হলে তারা আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূর করার মাধ্যমে ওজন কমানো
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এর মাধ্যমে মানুষ কি করে তারা নিজেরাও ভেবে পায় না। কিভাবে স্টেট কমানো যায় তারার এটা ভাবে আর এরই ফলে তারা অনেক সময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে। মধ্যে কিছু হল শেষ বা মানুষের চাপ কমানোর জন্য মানুষ অকারনে ই অনেক সময় ঘুমিয়ে কাটায় এই ঘুমিয়ে কাটানোর অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে তার শরীর ফুলে যায়।
আবার অনেকেই স্ট্রেস দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে যার মধ্যে চর্বিযুক্ত শর্করাযুক্ত খাবার এর প্রতি তারা বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে যার কারণে তারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় বা তাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস দূর করার মাধ্যমে মানুষের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমতে পারে।
দূর করার কিছু উপায় হল তাকে এমন একটি কাজের সাথে যুক্ত হতে হবে যেখানে সে স্ট্রেস টাকে ভুলতে পারবে এবং তার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না। সেই স্টেজ দূর করার জন্য বিভিন্ন খেলা খেলতে পারে মাইন্ড গেম খেলতে পারে বা ফুটবল ক্রিকেট এর গেম খেলতে পারে যাতে তার শারীরিক কস্রোত হবে ।
চা পান করার মাধ্যমে ওজন কমানো
অনেক ধরনের চা আছে যা ওজন কমানোর জন্য অনেক ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ সুপারিশ করে থাকেন আর যদি প্রেম ছাড়াই ওজন কমাতে চান তাহলে এই সুপারিশ কৃত চা গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চা গুলো খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ মানুষের শরীরের যে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় সেই চর্বিগুলো এই চা এ থাকা গুনাগুন গুলোকে বাড়তে বাধা দেয় এবং কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
চা গুলো ভালো হজমে সাহায্য করে মিষ্টির সাথে লড়াই করেন এবং হজমকে ত্বরান্বিত করে এবং ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে ওজন কমানোর এই চারটি অবিশ্বাস্য হবে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা খাবারের শোষণে সাহায্য করে ।এবং ব্যায়াম ছাড়া অনেকটাই ওজন কমাতে সাহায্য করে এর জন্য এই ভাবেই চায়ের মাধ্যমে কোনো ব্যায়াম ছাড়াই।
নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানো
শরীরকে ফিট ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য অনেকেই ব্যায়াম করে থাকে । আবার অনেকেই করে থাকে তার অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য। কমানোর ক্ষেত্রে শারীরিক কষ্ট বা ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই । নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক কষ্ট করার ফলে সবচেয়ে দ্রুত মানুষের ওজন কমানো সম্ভব এবং স্বাস্থ্যসম্মত থাকা সম্ভব।
সাধারণভাবে অনেক শারীরিক অস্ত্র বা ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো সহজ ভাবেই করা যেতে পারে। যেমন জগিং করা আপ ডাউন করা পুশ আপ দেওয়া কোন কিছু ধরে ঝুলা ইত্যাদি। এগুলো আমাদের শরীরকে আরো উন্নত করে শরীরের কার্যবিধি আরো উন্নতি করতে সাহায্য করে যা মানব দেহের জন্য অনেক স্বাস্থ্যসম্মত এবং এগুলোর মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে।
এতে করে ওজন কমানোর উপায় আরও রয়ছে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে
মানুষের শরীরে প্রচুর বৃদ্ধি পাওয়া বা গঠনের অবনতি ঘটা সব টা ই নির্ভর করে তার খাদ্য অভ্যাসের উপর । খাদ্যের উপরে নির্ভর করে একটি মানুষের দেহের শারীরিক গঠন গড়ে ওঠে । যদি কেউ সঠিক নিয়ম মেনে তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে অভ্যাসের মধ্যে সুষম খাবার প্রয়োজনীয় সবজি মাছ গোস্ত ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস সঠিক পরিমাণে প্রস্তুত রাখে তাহলে সে সুস্বাস্থ্যবান হতে পারবে এবং বিভিন্ন থেকে মুক্তি পাবে।
আর যদি কেউ এই খারদাভাস সঠিক নিয়মে পরিবর্তন না করে নিজের ইচ্ছামত খেতে থাকে এবং অপুষ্টিগনিত খারাপ খাবার খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীর বিভিন্ন রোগ ব্যাধি আক্রান্ত হবে আর শারীরিক গঠন পরিবর্তন হবে এবং বিভিন্ন বিভাগে পড়তে পারি। এইজন্য শরীরকে শাসন
ক্ষমতা রাখা এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আমাদেরকে খাদ্যাভ্যাস এর সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে । কেউ যদি প্রথমেই এটি না মেনে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হয়ে যায় তার একটি বিশেষ করণীয় হল তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন । সঠিক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আগের অবস্থায় বা তার শরীরের উন্নতি সাধারন করতে পারবে এর জন্য পরিবর্তনের গুরুত্ব এবং খারাপ কাজ পরিবর্তন করা অতীবত জরুরি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো
একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে 6 ঘন্টায় ঘুমানো উচিত । যদি কোন অসুস্থ ব্যক্তি তার প্রয়োজনের বেশি ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন অলসতা খিটখিটে ভাব ইত্যাদি। কার্যকলাপে সবথেকে ক্ষতিকর দিক হলো তার ওজন পরিমাণের তুলনায় অধিকতার বেড়ে যাবে তাই তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে তার বেশিও না বা তার কমও না । পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর মাধ্যমে মানুষটার দেহকে সুস্থ ও সচ্ছল রাখতে পারবে। দেহ সুস্থ রাখতে যে সমস্ত বিভিন্ন কার্যক্রম হয়েছে তার মধ্যে পর্যাপ্ত অন্যতম যা মুহূর্ত অপারেশন তুলনায় কার্যকর ।
মহিলাদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
মহিলাদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে হল হাটা , জগিং কিংবা দৌড়ানো , সাইকেল চালানো, হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিং , ওয়েট ট্রেনিং ,সার্কিট ট্রেনিং।
হাটা : মহিলাদের ওজন কমানোর জন্য জনপ্রিয় ওয়ারক আউট । এটির নো ইমপেক্ট ব্যায়াম বা মহিলাদের প্রায় যে কোন জায়গায় যেকোনো সময় এই ব্যায়াম টি করতে পারে । রাজা বাতাস এবং ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য হঠাৎ দুর্দান্ত উপকারী একটি উপায়। দিনে ৩০ মিনিট হাটা মহিলাদের ক্যালোরি পোড়াতে এবং ধীরে ধীরে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করেন। মহিলাদের জন্য ওজন কমাতে হলে সর্বোত্তম উপায় হলো সপ্তাহে বেশিরভাগ দিন ৬০ থেকে ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাটা। দুই বাহু তুলানো এবং দীর্ঘ পথে নিয়ে নিশ্চিত করা উচিত এর ফলে আরও ক্যালোরি কমাতে পারবে এবং হার্ট ধরে সহায়তা করে।
জগিং বা দৌড়ানো : জগিং বা দৌড়ানো মহিলাদের জন্য আরো একটি চমৎকার ওয়ার্কআউট বা শারীরিক ব্যায়াম । এটি শরীরে পান করতে সাহায্য করে। এটি হাই ইম্প্যাক্টরিয়াম এবং দ্রুত ক্যালোরি কমাতে অনেক কার্যকরী। ওকে বাড়ির বাইরে বা দৌড়াতে পারে । শুরুতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট এবং তারপরে আস্তে আস্তে ত্রিশ মিনিট দৌড়ালে মহিলাদের দ্রুত ওজন কমে যাবে।
সাইকেল চালানো: বাড়িতে এবং বাইরে মহিলাদের ওজন কমানোর ব্যায়ামের মধ্যে একটি সর্বোত্তম ব্যায়াম হলো সাইকেল চালানো। আমাদের দেহের অনেক অংশ ব্যায়াম হয়ে থাকে । দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এর জন্য সাইকেল চালানোর শরীরের জন্য অনেক উন্নতি করতে পারি।
লেখকের মন্তব্য
অতিরিক্ত ওজন কারো কাম্য হতে পারে না। যারা ওজন কমানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করে রাখতে পারছেন না অনেকেই আবার নির্দিষ্ট কোন চাকরির জন্য ওজন কমানোর দরকার পড়ে । চাকরিতে উপজাতির জন্য ওজন কমানোর জরুরি বিষয় হয়ে দেখা দেয় যার জন্য এই ওজন কমানোটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে সুতরাং এই ওজন কমানোর জন্য আমরা উপরে যতগুলো উপায় জেনেছি সেগুলো অবলম্বন করা আমাদের জন্য অনেক কার্যকরী হবে যা আমাদেরকে স্বাস্থ্যবান গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url