আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। আমরা কম বেশি সবাই আম খেতে ভালোবাসি। আম আমাদের সবার প্রিয় ফল। এমন কোন মানুষ নাই যে আম খেতে ভালবাসেন না। আম খেতে অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। আম খাওয়ার ফলে মন সুন্দর ও শরীর সুস্থ থাকে । আমে রয়ছে অনেক ভিটামিন,যা আমাদের শরীর তার ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
আম শুধু শরীর ভালো রাখে না, আম আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আম খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় গরে তলে। আমে রয়ছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন। আমরা সবাই আম খাই এবং খেতেও ভালোবাসি। কিন্তু আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানি না। আসুন আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
ভূমিকা
আমাদের দেশের বিখ্যাত ফলদের মধ্যে অন্যতম ফল হচ্ছে আম । এই আম যেমন দেখতে তেমন তার স্বাদ। ছোট বড় সবাই এই আম পছন্দ করে থাকেন। বাইরের দেশেও উৎপাদিত হয় বহুলভাবে এই আম । বাইরের দেশের রয়েছে আরও বিখ্যাত এবং অনন্ত সাথে আম। এই আমগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায় এই সুমিষ্ট এবং বিখ্যাত ফল।
এই আমের সাধের কোন তুলনা হয় না। গ্রীষ্মের ঝরে গ্রামে গঞ্জের বাচ্চারা কুরিয়ার বেড়ায় বিভিন্ন গাছের নিচে এই আম। এই আম বিভিন্ন পায়ে খেয়ে থাকে তারা কেউ আচার কেউ কাঁচা জ্বালানি কেউ শুধু শুধু লবণ দিয়ে খেয়ে থাকে। গ্রামের গঞ্জে বাচ্চারা অনেক মজা করে এইভাবে খায় এই সুস্বাদু ফল আম। এবং এটি কাজে থাকাতে যেমন পছন্দ করে মানুষ পাকলে আরো পছন্দ করে এই আম।এমন কেউ নেই যে এই আম চেনে না বা আমের নাম জানে না।
আমরা এই আরো অনেক ভাবে খেয়ে থাকি। যেমন আমের চাটনি করে আমের আচার করে আম চিনি দিয়ে রেধে আমসত্ত করে ইত্যাদি। আগে এই আমের সময় আসলেই শুরু হয়ে যেত দাদি ঠাকুমাদের কাঁচা আম দিয়ে আচার বানানো । এবং সেটি হতো অনেক সুস্বাদ। আম আরো হয় জুস। যেটা আমরা সবাই অনেক পছন্দ করে থাকি। গরমের সময় এই আম খাওয়ার মজাই হয় আলাদা। আমাদের দেশে অনেক ধরনের আম রয়েছে তাদের মধ্যে কিছু আম হলো: গোপাল ভোগ আম , হাড়িভাঙ্গা আম, ন্যাংড়া আম, ফজলি আম, ইত্যাদি।
কাঁচা আম নাকি পাকা আম
পাকামু নাকি কাঁচা আম কোনটি কার বেশি প্রিয়। শুধু এই ফলটি পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন। অনেকেই এই আমের জুস চাটনি গোটা আমের জুস নানাভাবে খেতে পছন্দ করেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন ওজন বেড়ে যায় অতিরিক্ত গরম লাগলে পারে বা ঘাম হতে পারে ঘুম ঘুম লাগতে পারে ইত্যাদি। কাঁচা আম নাকি পাকা আম কোনটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে ? আসলে কোন আমি আমাদের প্রভাব নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে নাহ্ আমাদের শরীরে । একজন সুস্থ সবাই পারে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ কাপ পাকা আম খেতে পারেন এবং একটি কাঁচামি খেলে ভিটামিন চাহিদার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পূরণ হয় । তবে কাঁচা খোঁচা সহ খেতে পারলে ভালো।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত
আম একটি অনেক উপকারী ফল এর বিভিন্ন রকম ভাবে আমাদের শরীরে কেউ উপকৃত করে থাকে এর কিছু উপকারিতা বিস্তারিত করা হলোঃ
হজম সহায়কঃ আম একটি প্রিবায়োটিক ফল , যা আমাদের পাকস্থলী বিভিন্ন ঘাট ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী। তিন থেকে চার কাপ আমে ডায়েটারি ফাইবারে প্রায় 7%। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রক্তে সাহায্য করে।
ঘুমে সহায়কঃ আমি রয়েছে ট্রিপটোফেন ,মেলাটোনিন, ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরকে ঘুমে ত্বরান্বিত করে এবং অনিদ্রা দূর করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আম এ রয়েছে প্রায় ২০ এর অধিক ভিটামিন ও মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদেরকে আম কে সুপার পুলিশের পরিচিত করিয়েছে । গবেষণা করে দেখা গেছে আমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্তন ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া অন্যান্য গবেষণা দেখা গেছে যে আমি প্রোস্টেট ক্যান্সার লিউকেমিয়া ও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ আম বিটা ক্যান্টিন আলফা ক্যারেটিন ভিটামিন ও এর ভালো উৎস । তিন থেকে চার কাপ আমি দৈনিক চাহিদার প্রায় ৮% ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের দৃষ্টি শক্তির জন্য অনেক উপকারী। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরে অ্যান্টি এক্সিডেন্টের কাজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ত্বক ও চুলের যত্নেঃ ভিটামিন এ সি ও ই এর অন্যতম উৎস হলো আম । যা ত্বক ও চুল কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতেঃ আমি রয়েছে বায়ো একটিভ ও পাইঠোকেমিক্যাল উপাদান যা শরীরের ফ্যাট সেল ও ফ্যাট রিলেটেড জিম এর বৃদ্ধি ও বিকাশে অন্যতম ভূমিকা রাখে। তাই খুব সহজেই ওজন বামেদ বাড়ে না। শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার সহজ হয়ে যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ আমি রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম ফাইবার যা শরীরের গ্লুকোজ কোলেস্টেরল ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আদর্শ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিন্ডের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমের আরো অনেক অন্যান্য অপব্যাখ্যা রয়েছে যেমন।
অ্যালকালাইন লেভেলঃ আমি আছে টার্টাইক এসিড এবং মালাইক এবং আরো আছে সাইট্রিক এসিড। যা আমাদের শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আম স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।আম খেলে ভালো ঘুম হয়
- আমি উপস্থিত ফুলের আয়রন শরীরের রক্ত পরীক্ষা গঠনের সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতার যুক্তি কমাতে সাহায্য করে।
- আমের গুটামিন এসির স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- হেলদি হ্যাপি থালিয়াম গঠনের সাহায্য করে ।
- আমি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি স্কার্ভিসহ অন্যান্য মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে এবং তার ও দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে ।
আম খাওয়ার কিছু সতর্কতা
আমি নয় সবকিছু খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ক্ষেত্রে যে সতর্কতা গুলো অবলম্বন করা উচিত সেগুলোঃ
- আম ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে পরিস্কার পাত্রে নিয়ে এটি খেতে হবে।
- আম খাওয়ার সময় এর সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ মরিচ মেশানো যাবে না ।এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে ।
- আম খাওয়ার পরপরই পানি খাওয়া মোটেও যাবে না।
- এবং অতিরিক্ত আম খেলে আমাদের হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাকা আমের গুণাবলী
মুখরোচক ফল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম হচ্ছে আম। কাঁচা কিংবা পাকা আম প্রেমীদের কাছে আম মানে প্রিয় একটি ফল। আম মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধের দিক থেকে সাধারণত কাঁচা অবস্থায় টক আর টাকা অবস্থান মিষ্টি স্বাধীন হয়ে থাকে এই আম।
গরমে এই ফলটি যেমন সর্বত হিসেবে পান করা যায় এবং চিনি, মরি্ লবণ ইত্যাদি দিয়ে কাঁচা আমের ভর্তা ও লবণ লোভনীয় খাবার । অনেকেই সারা বছর আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য নানাভাবে বিভিন্ন রকমের আচার বানিয়ে রাখবেন এই আম দিয়ে । এতে করে আম দীর্ঘ সময় প্রচুর সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পাকা অবস্থায় আমি থাকি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস, খনিজ লবণ, আশ এবং ক্যারোটিন। তাই মৌসুমীর এই পাকা আম আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি যেমন বাড়ায় তেমন সময়ের জোয়ার কিংবা সর্দি কাশি থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে এই পাকা আম। এছাড়াও আমি আছি কার্বোহাইড্রেটের যা শরীরকে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে এবং সারাদিন যাকে প্রাণবন্ত।
এবং একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা শরীরকে রক্তস্বল্পতা দূর করতে এবং হাটকে সুস্থ সবল রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাতে তাদের রক্তস্বল্পতার পরিমাণটা কিছুটা কমে আসতে পারে।
কোন দিকে যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমি বেশ উপকারী একটি ফল এই আম খাওয়ার ফলে তাদের হারগুলো সাধারণত হলেও মজবুত হবে। আমি থাকা পোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আম বেশি কার্যকর। এর বাইরে যারা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে ।পাকা আম হতে পারে আদর্শবান একটি খাবার যার ফলে তার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আমি করতে হবে যুক্ত তাহলে আপনি থাকবেন সুস্থ। এতে করে আপনার রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণ থাকবে তেমনি ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আরও ভারতে সহায়তা করবে। এছাড়া নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ পাকা আমের কোন জুড়ে নেই।
আম কি শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো
হ্যাঁ অত্যন্ত পোস্টে করে এবং বলা বাহুল্য ও এবং সুস্বাদু খাবার।এগুলোতে ভিটামিন এবং খনিসুর রয়েছে ঠাসা ঠাসা যা আপনার ক্রমবর্ধন শিশুকে পুষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে। মসৃণ নরম ফলো হয় এগুলি স্বতন্ত্রভাবে খাওয়ানো বা অন্য ফলের সাথে মেশানো যায় যার ফলে আপনার শিশু খেতে পারে এটি অনেক সহজে।
আপনার শিশুকে আমের সাথে পরিচয় করানো যেতে পারে
শিশু যখন আট থেকে দশ মাস হয় তা তখন আমের সাথে পরিচয় করে দেওয়ার ঘর প্রস্তাবিত বয়স হয়। কিছু শিশু তাদের প্রথম আজ শক্ত খাবার গুলি শুরু করার সময় ছয় মাসের শুরুতে আম খাওয়ানো শুরু করা হয়। তবে এই আমের খাওয়াও কখন সেরা এবং জয়েন করা উচিত সে বয়সে আপনার শিশুকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা উচিত।
আমের অপকারিতা
সব ফলেরই যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন রয়েছে ক্ষতিকর বা অপকারিতা । আম সুস্বাদু মিষ্টি এবং নমনীয় একটি ফল এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে এই প্রিয় ফল কিছু নিরপরাশ প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আম খেতে ভালোবাসে না এমন বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি অদ্ভুত বা হতাশা জানাবো শোনাতে পারে তবে নিশ্চয়ই পুষ্টিকর এই ফল সঠিকভাবে খাওয়া না হলে অনেক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমের পুষ্টির গুণ তথ্য
আমি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- ১০০ ক্যাল শক্তি
- ২৮ গ্রাম শর্করা
- ৩ গ্রাম ফাইবার
- 0.8 গ্রাম প্রোটিন
- ০.৩৭৮ এমজি ভিটামিন এ
- ২৩.১ ইউজি ফলেট
- ২ ০.২ mg ভিটামিন বি সিক্স
- ৪৬ এমজি ভিটামিন সি
- ১.৮ এমজি ভিটামিন ই
- ৬.৯ ug ভিটামিন কে
- ০.২ এমজি তামা
- ২৭৭ এমজি পটাশিয়াম
লেখকের মন্তব্য
আমরা উপর থেকে জানলাম আমি একটি অনেক সুস্বাদু ফল ।এই আমের হয়েছে অনেক ভিটামিন মিনারেলস খনিজ উপাদান ইত্যাদি। এই আমাদের দুজনের অনেক উপকারী আমরা নিয়মিত এই ফল খাব। নিয়মিত হাতে তালিকায় আমরা রাখা উচিত। কারণ এই আমি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আমাদেরকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে আমাদের দেহের জন্য কোনটি সঠিক এবং কোনটি ভুল। জন্য আমাদের কে সবসময় সুষম খাবার বেছে নিতে হবে। এই আম আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উপকৃত করতে পারে । আই অ্যাম রান নিয়মিত এই পুষ্টিকর খাবার সুপার ফুড আম খাব।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url