খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। খেজুর আমাদের সবার পছন্দের একটা ফল। সবাই খেজুর খাতে ভালবাসে। এবং খেজুর খাওয়ার ফলে রয়ছে অনেক উপকার। এবং খেজুরে অনেক পুষ্টি রয়ছে যা আমাদের শরীরে জন্য খুব কার্যকারী।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমরা যদি নিয়মিত খেজুর খাই, এতে আমাদের শরীরে অনেক উপকার রয়ছে। এবং কোন সময় খেজুর খেলে আমাদের শরিরের জন্য কি কি উপকার তা জানবো। খেজুর নিয়মিত খেয়ে নানা রধ-প্রতিরোধ থেকে সয়াহতা করে।খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।

ভূমিকা 

অনেক জনপ্রিয়একটি খাবার হচ্ছে খেজুর । ই খেজুর সব সময়ই পাওয়া যায় বাজারে । এক হুজুর ব্যবহৃত বা বেশি মানুষ খেয়ে থাকে রমজান মাসে। রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় বিশ্ব জুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম রা রোজা ভাঙ্গেন ইফতারের মাধ্যমে আর অধিকাংশ মুসলিম তাদের ইফতার শুরু করেন যে বাদামী রঙের সুমিষ্ট ফলটি দিয়ে তার নাম খেজুর । ইসলামে আরবি চন্দ্র বছরের নব মাস রমজানের বিশেষ গুরুত্ব আছে ২৯ ৩২ দিনে শেষ হয় এই মাসটি। 

এই মাসেই মুসলিমরা এই ফলটি বেশি খেয়ে থাকে। মুসলিমরা এ খেজুর খেয়ে আসছেন অনেক হাজার বছর আগ থেকে । ওদিকে তার খেজুর খেয়ে থাকেন এই মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে খেজুর কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনেক। আবে কেবলমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই নয় আধুনিক পুষ্টিত খাদ্যমান অনুযায়ী বিভিন্ন ফলের মধ্যে খেজুরের স্থান উচ্চ । শুকনো বা তাজ া উভয় অবস্থাতে খেজুরের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন খনিজ উপাদান ও হজমের জন্য সহায়ক আজ বা ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে এই ফল ।

সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে যে ৭ টি উপকার 

সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক উপকার হয় আমাদের মানবদেহে শরীর উপকার গুলো হল:
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
  • মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অনেক উপকারী ◾হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
  • ত্বককে টানটান করে
  • হার্টের সমস্যা দূর করে
  • খুশখুসে কাশি দূর করে

 সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

আপনি যদি খেজুরের স্বাদ নিতে চান এবং ওগুলো থেকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি শোষণ করতে চান তবে খাওয়ার আগে সারারাত অন্তত 8 থেকে 10 ঘন্টা এই খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে খালি পেটে এই ভিজানো খেজুর খান। এতে সারাদিন স্বতেজ অনুভব করবেন । এবং খেজুর দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করবে। এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে অনেক উপকার। 

 খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে 

ওজন বাড়াতে খেজুরের কোন জুড়ি নেই। একটি খেজুর থেকে আমরা ২৩ কিলো ক্যালরি পেয়ে থাকি এবং 100 গ্রাম থেকে আমরা দৈনিক ২৮২ কিলো ক্যালরি পেয়ে থাকি। আমরা বুঝতে পারি অল্প খাবার খেয়ে আমরা যথেষ্ট পেতে পারি এই খেজুর থেকে। ওজন বাড়তে বা মাসল বিল করতে খেজুর খুবই উপকারী একটি খাবার বা ফল।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা 

খেজুর ফল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত, এবং এ ফলটি অনেক সুস্বাদু, যা সবার প্রিয় একটি ফল। খেজুর ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,  আইর,  ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম সহ বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমাদের বয়স যখন ৩০/৩৫ হবে এই ফলটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী ও প্রয়োজন হবে। 

এবং বয়স যখন ৩০ পেরিয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  কর্মশক্তি,পেশীর  সমস্যা, হৃদরোগ ও স্টক সহ হিমোগ্লোবিনের, হজমের সমস্যার ডাইবেটিস, এবং হারের ক্ষয় সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এবং আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।খেজুর খাওয়ার ফলে , এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

 অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় 

আমাদের যে কোন খাবারে পরিমাপ মতো খেতে হবে। কোন খাবারই পরিমাপের বেশি খাওয়া উচিত নয় পুষ্টিবিদরা বলেছেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছাড়াও পেট ফাঁপা ও ডাইরিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রবল । খেজুরে অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা অধিকতার বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবারে হেতে বিপরীত হতে পারে। খেজুর সংরক্ষণের সালফাইট নামক একটি রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা অতিরিক্ত মানবদেহে ক্ষতিকরতে পারে । এবং প্রত্যেকটার কিছুর, খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা খুবেই গুরুত্বপুণ্য। 

প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে কত প্রোটিন থাকে 

প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের পশ্চিমা ব্যাখ্যা করা হলো :
  • স্নেহ পদার্থ শূন্য ০.৩৯ গ্রাম
  • প্রোটিন ২.৪৫ গ্রাম
  • ভিটামিন পরিমাপ দ্বৈপ ো পার্সেন্ট ভিটামিন এ সমতুল্য বিটা কেরোটিন রুটিন
  • জিইয়া আক্সান থিন ৬ গ্রাম থেকে ৭৫ গ্রাম হতে পারে ।

 কোন কোন দেশে খেজুর বেশি চাষ হয় 

খেজুর চাষের দিক দিকে ও রপ্তানির দিকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে পাঁচটি দেশ যথা দেশগুলো হলো মিশর সৌদি আরব ইরান আলজেরিয়া এবং ইরাক । বিশ্বের শীর্ষ খেলো রপ্তানি কারক দেশ হিসেবে মিশ্র প্রতিবছরে উৎপাদন হয় ১৭ লাখ টন খেজুর। যা বৈশ্বিক হবে মোট উৎপাদিত খেজুরের ১৮ শতাংশ। পরেই রয়েছে সৌদি আরব।

খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয় 

 খালি পেটে খেজুর খেলে যেসব উপকার হয় সেগুলো হলো : শক্তি বাড়ায় খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা শরীরের শক্তির জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থেকে যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : খেজুরের আয়রন থাকে যার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত বৃদ্ধি করে ।

কত প্রকার খেজুর রয়েছে এবং কিছু উল্লেখিত খেজুর সমূহ 

বাজারে নানা ধরনের খেজুর দেখা যায় কোন কিছু সবচেয়ে ভালো তা বোঝা মুশকিল। মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু দেশে নানা ধরনের খেজুর চাষ হয়ে। থাকে এসব খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন সেগুলো পুষ্টি গুন অনেক। বিভিন্ন আকৃতির প্রায় 600 রকমের খেজুর দেখা যায় বিশ্বে । এই ফলে প্রচুর ফাইবার রয়েছে কয়েক রকমের ভিটামিন মিনারেল যা থেকে শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য হলো:

আজোয়া খেজুর: দেখতে কালো রংয়ের এই নরম খেজুর খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ ।খেতেও অনেক সুস্বাদু এই খেজুর । এবং সৌদি আরবের মদিনাতে এই খেজুর সবথেকে বেশি চাষ হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই খেজুর পছন্দ করতেন এই খেজুরের নেতৃবৃন্দকে সক্রিয় রেখে হার্ট অ্যাটাক রোধ করে এ থেকে ভিটামিন বি এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্টের জন্য অনেক উপকারী খেজুরে ফাস্ট ক্যালসিয়াম অনেক পরিমাণে থাকে তাই এটিই হার ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে । এই খেজুর এগুলো গ্লুকোজ ফ্রুটস সুক্রস থাকে যা শরীরের শক্তি বাড়ায় । এতে ইংলিশ কম আর ডায়াবেটিস রোগীর এই খেজুর খেতে পারেন ।

মেজুল খেজুর : বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেজুর বলা হয় এই মেজর কে । মূলত মরক্কোতে চাষ হয় এই খেজুর বর্তমানে আমেরিকার সহ অনেক দেশে এই খেজুর পাওয়া যায় বড় আকারের বাদামী রঙের এই খেজুরের ফাইবার ভিটামিন আছে প্রচুর পরিমাণে একটি হৃদরোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে । এটিও হজমে অনেক সহায়তা করে এবং মস্তিষ্ক ও হারের জন্য এটা অনেক উপকারী এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু ।

ওমানি খেজুর: আরেকটি বড় আকারের রসালো মিষ্টি স্বাদের খেজুরের নাম হলো ওমানি মূলত ওমানে চাষ হয় এই বিশ্ব বিখ্যাত ওমানি খেজুর এতে সোডিয়াম আয়রন পটাশিয়াম অনেক পরিমাণে রয়েছে ।
ডেকোরেট নূর খেজুর: আলজেরিয়াতে চাষ হয় এই মজলি একটি কিছু টাকা দেখতে এবং সুমিষ্ট সাধের এই বিখ্যাত খেজুর। এতে ফাইবার পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে। সূর্যের আলোতে ধরলে এই খেজুরের ভেতরটা সোনালী দেখায়। খেজুরের রানী বলা হয় এই ডেগ্লেট খেজুর কে ।

হালাউই খেজুর : ইরাকের হেলানো করে মূলত এই খেজুর চাষ হয় সোনালী বাদামি রঙের এই বিশ্ব বিখ্যাত খেজুর বেশ সুস্বাদু । ফাইবার ছাড়া ওই খেজুরে আয়রন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম থাকে প্রচুর।

 মাজা ফাতি খেজুর : নরম ঘন বাদ আমি রঙের এই খেজুরের চাষ হয় মূলত ইরানের সিটিতে । খেতে মিষ্টি এই খেজুরের শার্টটা কিছুটা চকলেট এর মত হয় যার কারণে এটা অনেকেরই প্রিয় । ভিটামিন এ বি সি ছাড়াও রয়েছে খেজুর ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম। এসব খেজুর ছাড়াও অনেক খেজুর রয়েছে ।

লেখকের মন্তব্য 

মুসলিম জাতির জন্য খেজুর অনেক পবিত্র একটি ফল। আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাঃ খেজুর অনেক পছন্দ করতেন। আমরা রমজান মাসে এই খেজুর এবং পানির পানের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা হয়। এই খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার । বিশ্বে প্রায় অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে যা করে উল্লেখ করা হলো। যাদের রক্তস্বল্পতা এবং কম ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেজুর খেতে পারেন তাহলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানলাম। আসা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url