তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


আমরা অনেকে তুলসী গাছ চিনে থাকি। কিন্তু এটার উপকারী ও অপকারিতা আমরা অনেকেই জানিনা। তুলসীর পাতা কাশির জন্য খুবই কার্যকরী।তাই আসল জেনে নিয়ে তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের কমবেশি কাশি হয়ে থাকে। তার উপকারী সম্পর্কে আমরা কয়জন জানি বলেন। এটা আমাদের কাশির জন্য খুব কার্যকরী একটু ওষুধ। যা খেলে অতি দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

ভূমিকা

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে এই তুলসী পাতার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক রয়েছে। এটি দ্বারা বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয়। তুলসীর পাতা কার্যকারিতা অনেক বেশি।তুলসী পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে । এবং এটা খেলে অনেক উপকারী হয়। যা আমাদের রোগের জন্য খুব সহজে সারতে পারে। তুলসী কাশির এর জন্য কার্যকরী।

তুলসী পাতার রস খেলে কি কি উপকার হয়

তুলসী বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এতে আয়ুর্বেদী তুলসীকে মহাসদ বলা হয়ে থাকে। এই তুলসী পাতা মানুষের শরীরে নানা ধরনের অশোকের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা জোগাই। বিভিন্ন ধরনের অসুখের বিরোধ করতে তুলসির পাতা খুব কার্যকরী। এবং সর্দি, কাশি পেটের সমস্যা ফুলু এবং তার সাথে মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এই ভেষজ। শুধু তা না এর সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। তুলসী রস আমাদের জন্য অনেক উপকার।

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে খেলে তুলসির পাতা হজম শক্তি বাড়ায়। তুলসীতে রয়েছে অনেক কর্মেটিব যা বৈশিষ্ট্য এসিডিটি, পেট ফাঁপার সমস্যাও কমায় থাকে। এবং সকালে খালি পেটে তুলসী রস খেলে শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর হয়ে থাকে এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। মুখের বিভিন্ন ধরনের ঘা থাকলেও সেটা ভালো হয়ে যায়। ওকে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তুলসীতে আছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল।

এবং অনেকেই খালি পেটে তুলসী রস খেয়ে থাকেন। এতে স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আমাদের শরীর টক্সিন বেড়ে গেলে তুলসীর রস খেলে আমাদের শরীরে ডেট ডিক্সিফাইড হতে পারে। তুলসীতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে রেডিকেলের প্রভাব কমিয়ে থাকে। যা তুলসী রস খালি পেটে খেলে সর্দি কাশি ঝুঁকি কমে যায়।

তুলসী পাতা থেকে ১০ টি উপকারিতা

  • তুলসী গাছে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এতে উচ্চ পুষ্টিগণ বৃদ্ধি পায়।
  • তুলসী গাছ অনেক রোগ প্রতিরোধ বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
  • তুলসীর পাতার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে থাকে। যা উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে।
  • তুলসী গাছের ডিসকিফাইং প্রভাব থাকে
  • তুলসী গাছ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে থাকে।
  • তুলসী গাছ পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে।
  • তুলসী গাছ ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী এবং অনেক উপকারী রয়েছে এর মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে অনেক সাহায্য করে।
  • শুধু তাই নয় তুলশীর গাছ আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুব কার্যকারী ও উপযোগী।
  • এবং তুলসীর গাছ হার্টের জন্য অনেক উপকার হয়ে থাকে
  • তুলসী গাছ সমৃদ্ধির সাথে যুক্ত হয়ে রয়েছে।

তুলসী পাতার অপকারিতা

তুলসী পাতাতে রয়েছে পারদ এবং আয়রন যা আমাদের দাঁতের পক্ষে ভালো না।তুলসির পাতা চিবানোর সময় পারো যদি আপনার মুখে চলে গিয়ে থাকে যা আপনার দাঁতকে ক্ষতিকারক করতে পারে। ফলে পারদ আপনার দাঁতের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়াও তুলসী পাতায় আর্সেনিক পাওয়া যায় কিছু পরিমাণ। ফলের দাঁত নষ্ট করতে পারে। এবং আমরা জানি যে তুলসী পাতা প্রাকৃতিকভাবে এসিডযুক্ত যা দাঁতের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং দাঁতের ব্যথা হতে পারে।

তুলসীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসী পাতাকে সোনালী প্রতিকারক বলা হয়ে থাকে। কারণ স্বাস্থ্যওকারিতা বিবেচনা করে। এবং এই পাতা নিযাস গ্রহণ করলে ফলে শরীরের নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আমরা জানতে পারি যে তুলসী পাতার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে যায়

তুলসী পাতা গর্ভবতীর জন্য নয়ঃ তুলসী পাতা গর্ভবতীর জন্য খুব ক্ষতিকারক। গর্ভবতী রোগী জন্য এটা গর্ভপাতের কারণও হতে পারে তুলসী পাতা। এতে ভেষজে এন্ট্রা গোল নাম নামক উপাদান রয়েছে। যা জলায় সংকোচন এর জন্য ভয়াবহ কারণ হতে পারে। এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ডায়রিয়া ও কারণ হতে পারে।

তুলসির পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নাঃ তুলসী পাতায় অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী পাতা রক্তে শকরার মাত্রা কমেয়ে থাকে। যার ফলে কেউ যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ নেয় বা তুলসী পাতা তৈরি চা বা নির্যাস গ্রহণ করে থাকে। ফলে তার রক্তের শকর্রার মাত্রা আশঙ্কার জনক ভাবে সেটা কমে যেতে পারে।

নারী-পুরুষের উর্বরতাঃ মানব শরীরের কোন কোন পরীক্ষা না করা হলেও নানা প্রাণী দেহের ওপর পরীক্ষা করে জানা গেছে যে। যে নারী-পুরুষ উভয়ের উর্বর তার তুলসির পাতার নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। গবেষণা করে জানা গেছে যে তুলসীর পাতা থেকে শুক্রাণু সংখ্যা কমায়। ফলে অর্ডিনাল, গ্রন্থি, প্রোস্টেট, জরায়ু ও ডিম্বাশয় ক্ষমতা বাড়তে পারে। এতে হরমোনের কার্যকারিতা উর্বরতা কমাতে পারে। এবং যারা পরিবার পরিকল্পনা করতে চান তাদের ওপর এই প্রভাবটি লক্ষ্য করা যায় ফলে গবেষণা করে জানা গেছে।

তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতায় যেরকম অপকারিতা রয়েছে তেমনি উপকারিতাও রয়েছে। তুলসী পাতায় আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি সাহায্য করে। আবার অনেক রোগের ক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকারকগ্রস্ত হতে পারে। যেমন জ্বর সর্দি কাশিদূর করতে সাহায্য করে। তেমনি এর দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।প্রত্যেকটা জিনিসেরই উপকার ও অপকার দুটাই থাকে

তুলসী পাতা আমাদের মানব দেহের জন্য অনেক কার্যকরী ঔষধ । তুলসী পাতার রস খালি পেটে খেলে আমাদের শরীরের ত্বক উজ্জ্বল বৃদ্ধি করতে পারে। এবং প্রত্যেকটা জিনিসের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যেমন তুলসী পাতারও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

আমরা তুলসী পাতা থেকে এবং তুলসী গাছ থেকে উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম। কি খেলে কি উপকার হবে। আর কি খেলে কি উপকার হবে এ বিষয় সম্পর্কে আমরা জানলাম। তাই যখন আমরা তুলসির পাতা পান করবো ভালোভাবে জেনে শুনে শুনে, সেটা খাওয়া উচি। আরো কোন মন্তব্য থাকে বা জানার কিছু থাকে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাই দিবেন । ভালো লাগলে শেয়ার করে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url