মুরগি পালনের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মুরগি আমরা সবাই নিজ নিজ বাসে বসে থাকি। কিন্তু মুরগির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা মুরগি আমাদের অনেক বিভিন্ন কাজে লেগে থাকে। মুরগির মাংস বা মুরগির ডিম দুটোই আমাদের অনেক কাজে লেগে থাকে। মুরগি আমাদের মৌলিক চাহিদাটা মিটাই।

আমার যখন বাসায় কোন মুরগি পুশি লালন পালন করতে তার ধরন আমরা বুঝে থাকি না। মুরগি আমাদের অনেক উপকারী ও অপকার দুটোই রয়েছে।আমরা কমবেশি সবার বাড়িতে মুরগি পুশি থাকি। এবং এগুলো লালন পালন ও উপকার ও অপকার তা সম্পর্কে জেনে নিব।

মুরগি পালন কোনো কঠিন কাজ নয়। গ্রাম এ কিংবা শহরে সহজেই মুরগি পালন করা যায়।মুরগি পালন একটি কম ঝামেলার কাজ।এটা পরিশ্রম কম।বাংলাদেশ এ মুরগি পালন করে অনেক টা অর্থনীতিক উন্নতি সাধন হয়েছে।এই মুরগি পালনের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। মুরগির অনেক ধরে রয়েছে। যেমন বয়লার মুরগি ,পাকিস্তানি মুরগি ,কক মুরগি, দেশি মুরগি ও লেয়ার মুরগি ।

ব্যবসা হিসেবে লেয়ার মুরগিটা বেশি নেওয়া অনেক উপকার। মুরগি ডিম দেয় যা বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায় বর্তমানে খাদ্য হিসেবে বয়লার মুরগির চাহিদায় বেশি।

মুরগি পালনের অনেক উপকারিতা রয়েছে।যেমন মুরগির পারনের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হতে পেরেছে । অনেক কম পরিশ্রমে এবং কম সময় হতে স্বাবলম্বী হতে গেলে মুরগি পালনের কার্যকারিতা অনেক উপকার।

মুরগি খাওয়াতে আমাদের বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। কম টাকে ইনভেস্ট করে আমার অনেক লাভবান হতে পারি। মুরগি পালনে এটি একটি বড় উপকার এই দিক। কলিজাতে সঠিকভাবে লালন পালন করা হয় তাহলে এটি থেকে অন্য পশু পাখিদের খামারের থেকেও বেশি লাভবান হতে পারে। এই জন্য মুরগী পালন অনেক উপকারি ।

ওই কারণে যেমন উপকারিতা তেমন ক্ষতিকর দিক রয়েছে। মুজিবর এর মাধ্যমে যেমন লাভবান হতে পারে তেমন ক্ষতির মুখে দেখতে পারে। মুরগি পালনের সময় যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে মুরগি রা ডিম ঠিকমতো দেবেনা এবং অল্প দিনে মারা যাবে। মুরগির সঠিকভাবে পরিচালনা করলে মুরগির আর সময়ের সাথে সাথে বাড়বে না। এজন্য সব মুরগিদের সঠিকভাবে পরিচর্চা করতে হবে ।

মুরগির পালন করতে হলে পরিচর্যার দিকে অধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব সময় মুরগির থাকার স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

মুরগিকে তার থাকার মত স্থান দিতে হবে। বিশেষ করে পয়লার মুরগির ক্ষেত্রে না ঠান্ডা না গরম উষ্ণস্থানে রাখতে হবে। সব সময় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মুরগির যখন বাচ্চা থাকবে তখন তাদের বেশি বেশি করে দেখাশোনা করতে হবে । দেশি মুরগি পাকিস্তানি মুরগি গুলোর ক্ষেত্রে এটা অত গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে লেয়ার এবং বয়লারের ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যার দিকে সবসময় সোচ্চার হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বয়লার মুরগি এবং লেয়ার মুরগির খাদ্য আলাদা। এদের খাদ্যটা সূচনীয় বিষয়। এরা আর অন্যসব মুরগিদের মত সবকিছু খেতে পারে না। এদেরকে তাদের নির্ধারিত ফিড খেতে দিতে হয় । যা একটু খরচ সাপেক্ষে। বয়লার এবং লেয়ার মুরগি কে ফিরের সাথে কিছু ভিটামিন খাওয়ালএ তাদের স্বাস্থ্য ভালো

থাকবে এবং লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে তারা যেন ভালোমতো স্বাস্থ্যসম্মত ডিম দিতে পারে এমন ভিটামিন খাওয়াতে হবে। মুরগি দেশি মুরগি পাকিস্তানি মুরগি এদের খাবার নিয়ে এত চিন্তাভাবনা করতে হয় না এরা যে কোন খাবার খেতে পারে । যেমন গম ধান ইত্যাদি আমারে ঘুরে খেতে পারে কিন্তু যদি আপনার খামার করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট খাবার নির্বাচন করে রাখাটাই ভালো।

বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের মুরগি রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুরগির নাম হল:

মুরগির বিভিন্নভাবে বাজারজাতকরণ করা যায়। মুরগির ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে বাজার করা যায়। অনেক ছোটখাটো ডিলার থেকে তাদের কাছে বিক্রি করা যায়। গ্রামে মুরগি লালন পালন করলে তা শহরে গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা যায় একটু যা একটু ব্যয়বহুল হয়। কেউ মুরগি পালন করে নিজেই বিক্রি করতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু এটা সাধারণত ছোট ব্যবসায়ীরা করে থাকে। মুরগির বাজার জাত করন করা বেশি অসুবিধা জনক নয় ।

আরও পড়ুনঃ কাঁচা কলা খাওয়ার  উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমার মতে মুরগির লালন পালন করা বা ব্যবসা করার অনেক সুবিধা জনক এবং লাভজনক। কেউ যদি পার্টটাইম ভাবে এই কাজটি করতে চায় তাহলেও এটি সুবিধারনক হবে। লালন পালন করা বাবুরির ব্যবসা করা খুব বেশি একটা কষ্টসাধ্য নয়। সঠিকভাবে যদি মুরগির লালন পালন বা ব্যবসা করা যায় তাহলে আমরা অল্প দিনে অনেক লাভবান হতে পারব।

মুরগির ব্যবসায় মুরগিকে সঠিক অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে না হলে এটার উপকারের থেকে অপকারী বেশি হবে। ব্যবসা করতে হলে পরিচর্যাটাই অধিক কার্যকরী। আমার উপর থেকে যা জানলাম মুরগি পালনের ক্ষেত্রে এতটুকই যথেষ্ট বলে আমার মনে হয়। ওপরে যা যা বলা হয়েছে আর কি মুরগির অনেক গুলো চাপ বা ধরন রয়েছে যার যেমন ওর চর্চা এবং খাদ্য প্রয়োজন তাকে তেমনটাই দেওয়া উচিত তাহলে তারা সেভাবে আমাদেরকে তার ফল দেবে।