জ্বর ও শরীর ব্যাথা হলে করণীয় বিস্তারিত জানুন
জ্বর ও শরীর ব্যাথা আমাদের সবার হয়ে থাকে। তাই বলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই । জ্বর শরীর খারাপ আমাদের কম বেশি সবার হয়। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো প্রথমে নিব । কারন জ্বর হলে আমারদের শরীর ও অনেক ব্যাথা ও দুর্বল হয়ে যায়।
জ্বর হলে প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধিতি ব্যাবহার করতে হবে । তাতেও যদি জ্বর না ভাল হয় অবশ্যই চিকিৎসা র কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে । কারন জ্বর অনেক কারন থেকে হয়ে থাকে। তাই পরিক্ষা করা অবশ্যই আমাদের উচিত । আসুন তাহলে জ্বর ও শরীর খারাপ হলে করনীয় গুলো কি কি জেনে নিই।
বার বার জ্বর হলে করণীয
জ্বর এমন একটা রোগ যা সবার হয় । জ্বর কোন রোগ না তবে অন্য রোগের লক্ষণ । ভিবিন্ন ধরণের শরীরে ব্যাকটেরিয়া ,ভাইরাস, এগুল দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় । জীবাণুর হাত থেকে শরীর কে রক্ষা রাখতে হবে । এতে আমারদের শরীর জীবাণুর হাত থেকে বাচবে ।জ্বর হলে আমরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলি । এটা একদম উচিত না।
অনেকের ধারনা জ্বর হলে গোসল করা যাবে না । এটা একদম ভুল ধারনা ।জ্বর হলে কসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাই । তার পাশাপাশি শরীর অনেক ফুরফুরে লাগে।
জ্বরের সময় কপালে জলপট্টি দেওয়া খুব প্রয়োজন । এতে অনেক টা জ্বর কমে যায় এবং শরীর অনেক হালকা হয় । তাতে শরিরে অনেক তাপমাত্রা কমে যায়।
তবে বেশি তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এর ফলে বগলের নিছে বা কুঁচকিতে বরফ ব্যাবহার করা যেতে পারে । এতে অনেক টা হালকা হয়ে যাবে । ফলে ঠাণ্ডা প্রয়োগ করলে শরিরে দ্রুত তাপমাত্রা কমে যায় । আপনি প্রথমে প্রাথমিক ভাবে যে চিকিৎসা নিবেন তা এগুলো নিতে পারেন।
জ্বর কি ?
জ্বর মানে আমরা যেটা জানি । শরিরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা উচ্চ তাপমাত্রা হলে তাকে জ্বর বলে । চিকিৎসার বলে জ্বর আসলে কোন রোগ না । এটি শরিরের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ বলা হয় । এর ফলে জ্বর হওয়াকে শরিরে ভিতরে যেকোনো রোগের সতর্কতা বলা যেতে পারে । অনেক সময় সেটা বিভিন্ন আকারে রুপ নেয় যেমন সর্দিকাশি মতো সংক্রমের কারন হতে পারে । আবার অনেক সময় বড় কোন রোগের কারন হতে পারে । এটা দ্বারা উপসর্গ গুলো দেখাতে পারে ।
মানুসের শরীরে তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেন নাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস শরীরে তাপমাত্রা বেশি হলে তখন তাকে জ্বর বলে বা হয়ে থাকে । আসা করি বুজতে পারেছেন । জ্বর সচারেচর সবার হয়ে থাকে এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারন নায়।
জ্বরের জন্য কিছু পরামর্শ
যে কারনে জ্বর হোক না কেন চিকিৎসা নেওয়া টা অনেক প্রয়োজন । নিজেকে নিরাপদ রাখতে কিছু পরামর্শ রয়েছে । আমরা সটীক পরামশ নিয়ে কাজ করলে । অবশ্যই জ্বর ভাল হয়ে যাবে । সাবধানে থাকা আমাদের জন্য অতি গুরুত্তপুন্ন ।
ঘুম বা বিশ্রাম জ্বর হলে শরীরে ভিতরে থাকা জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ লড়াই করতে শুরু করে । এ সময় আমাদের শরীর তাকে পরিপুন্য ভাবে ঘুম বা বিশ্রাম দেওয়া খুব প্রয়োজন।এবং প্রচুর প্ররিমানে আমাদের তরল পানি বা ফলের রস পানের মাধ্যমে শরীরে পানিশূন্যতা ধুর করে । এতে শরিরকে অনেক ভাল লাগে বিশেষ করে লেবুর পানি অথবা গরম গরম চা খাওয়ালে খুব ভাল উপকারিতা পাওয়া যাবে ।
শরীরে ব্যথা উপাই করণীয়
আমাদের সবার শরীরে কম বেশি ব্যথা থাকে র এমন অস্থিরতা ব্যাথা থাকে যা সহ্য কড়া খূব কষ্টের । এটা এমন কী হটাত হটাত ভাবে হতে পারে আবার ধীরে ধীরে ভাবে হতে পারে । কিন্তু আসতে আসতে যে ব্যথা টা হয় সেটা অনেক খারাপ লক্ষণ দেখা দেয় । এ ধরণের ব্যথা বা টেন্ডন বা লিগামেন্ট মতন নরম টিসুতে বা বিভিন্ন পেশীগুলোতে অনুভূতি হতে পারে আবার অনেক কোণকোণে ব্যথা হতে পারে। কখনো কখনো এটি একটি অন্তত নিহত গুরুতর রোগ কে নিদেশ করে।
জ্বরের সাথে শরীর ব্যথা
আমাদের অনেক সময় অনেক জ্বর আসে । আবার কমেও যাই। কিন্তু সহজে ভালো হয় না। জ্বর কম বেশি হতে থাকে। সাথে অসহ্যকর শরীর ব্যথা করে। শরীরটা ভারী হয়ে যাই মাথা ভারী হয়ে যায় ছিমছিম করে। ভাপসা গরমে শরীর ঘেমে যাই। এতে ঘাম বসে গিয়ে ঠান্ডা বা জ্বর চলে আসে। আর এই আবহাওয়াটা খুবই খারাপ না গরম না ঠান্ডা। আমাদের এই সময় সাবধানতা অবলম্বন করা অতি প্রয়োজন । আমাদের সাবধান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আক্রান্তর মধ্যে অনেকেই ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে। এবং শরীরে মারাত্মক দিকে ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে যায়। ভাইরাস জ্বর ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২° তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা হতে পারে। দিনে রাতে যেকোনো সময় জ্বর কমতে পারে ও বাড়তে পারে। কারো কারো তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী কাছাকাছি ও যেতে পারে।
এতে মাথা ব্যথা করে, শরীরের হাত পা ব্যাথা করে, আবার চোখের পিছনে ব্যথা হতে পারে। শরীরে লাল গ্যাস বা ফুসফুরি হতে পারে । এ অসহ্য ব্যথাগুলা খুব তীব্র হতে পার। বমি বা পেটে ব্যথা হতে পারে । জ্বর হলে আমাদের গলা অতিরিক্ত শুকাই যায়। তাই জ্বর হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
জ্বর ও শরীর ব্যথা হলে করণীয়
১। জ্বর হলে শরীরে পানি শূন্যতা হয়ে যায় এবং অনেক পানি টানে পিপাসা লাগে আমাদের। তাই প্রথমে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে জ্বর হলে। খেয়াল রাখতে হবে যে পানিটা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাওয়া যাবেনা। হালকা কুসুম কুসুম পানি আমাদেরকে পান করতে হবে। দিনে ১২ ক্লাস করে পানিপান করতে হবে । এবং তরল পান করলে শরীর থেকে জীবাণু অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান করল বেরিয়ে যায় খুব সহজে।
২। আর অতিরিক্ত জ্বর হলে। আমাদের কে গরম চা গরম পানি খেতে হবে। লেবু চাটা খেলে শরীরের জন্য খুব উপকার। জ্বর তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। লেবু আমাদের শরীরের অনেক উপকারী। তাই আমরা জর হলে লেবু চা বা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করব । এতে সোহেল অনেক হালকা এবং জ্বরটা কমে যাবে।
৩। বিশ্রাম জ্বর হলে আমাদেরকে বিশ্রাম নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্রাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। জ্বর হলে আমরা বিশ্রাম টা নিব। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে তাই বিশ্রামে থাকলে তাপমাত্রা কমবে এবং রোগ মুক্তি হবে। ১০২° ফরেন হাইট এরও বেশি জ্বর থাকলে শরীরের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা,মাথা ব্যথা,ঘাড় ব্যথা , বমি হাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে পরামর্শ নেওয়া খুবই দরকার।
৪। কপাল ও ঘাড়ের পিছনের অংশে জলপট্টি দিলে পারে জ্বর কমতে অনেক কার্যকরী হয়। কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে গোসলের মুছে দিতে হবে। এতে দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য করে। জ্বর হলে বেশি করাটা ভালো হবে না। হালকা কুসুম পানি দিয়ে গামজ করে দিলেই জ্বর কমে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে পানিটা যেন ঠান্ডা না থাকে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে। শরীরের জ্বর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এবং সাথে কাপুনিও হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আসলে জ্বর কম বেশি আমাদের সবারই হয়ে থাকে। এতে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিবে। আমরা আমাদের শরীরে দেখে বেশি খেয়াল রাখব। কোন প্রকার শরিক তো অবহেলা করব না। জ্বর হলে আমরা এই টিপস গুলো মেনে চলবো। জ্বর হলে শরীর ব্যথা হবে। সাথে বমিও হতে পারে।
তাই আপনারা অবশ্যই সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। এরপরও যদি জ্বর না কমে তাহলে খুবই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন সবাইকে দেখার ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন। আরো বিভিন্ন ধরনের টিপস জানার জন্য অবশ্যই পাশে থাকবে। ভালো থাকবেন সবাই সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url