ঘাড় ব্যথার কার্যকরী ৪ টি ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কম বেশি আমাদের সবারই ঘাড় ব্যথা হয়ে থাকে।অতিরিক্ত কোন কাজ করলে পারে ঘাড় ব্যথাটা আমাদের শুরু হয়ে যায। ঘাড় ব্যথায় কিছু কার্যকারিতা, কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আমরা করলে ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
ঘাড় ব্যথার কার্যকরী ৪ টি ব্যায়াম
আমরা অনেকেই ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে জানিনা বা বুঝিনা। যে প্রাথমিক ব্যায়ামের মাধ্যমেই আমাদের ঘাড় ব্যথাগুলো ও ভালো হয়ে যেতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নিই পার্থমিক ঘাড় ব্যথায় কার্যকরিতা কিছু ব্যায়ামগুলো।

ভূমিকা

আমরা একটানা বসে থেকে যে কাজগুলো করি, এবং অনেকটা সময় ধরে কম্পিউটার টেলিভিশনের দিকে তাকাই থাকলে,এবং সোয়া বসার মাধ্যমে সমস্যা হলে অনেক যন্ত্রণাদায়ক ঘাড় ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এবং অনেক সময় এ ব্যথা এত বেশি বেড়ে যায় যা আমাদের কাজ করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এবং অসহ্য ঘাড় ব্যথা শুরু হয়।

ঘাড় ঘোরানো কিংবা নড়ানো যায় না, এবং আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে একটানা বসে থেকে কোন কাজ করা আমাদের একদম উচিত নয়, এতে আমাদের ক্ষতি হতে পারে। এবং কিছুটা হলেও ঘাড়ে যত্ন নেওয়া আমাদের খুবই দরকার। ফলে প্রত্যেকদিন ৫ মিনিট সময় বের করে ঘাড়ে ব্যায়াম করা উচিত। এতে ঘরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ঘাড়ের ব্যায়াম -১ স্টেপ

প্রথমে আমরা একটি পেন্সিল বা কলম দিয়ে দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরুন। এবং এই অবস্থাতেই বাতাসে বা শূন্য অর্থাৎ আপনার মুখের সামনে শুধুমাত্র ঘাড় ঘুরিয়ে লেখার বারবার লেখার চেষ্টা করুন। এবং এতে করে আপনার ঘাড়ের পেশিগুলো বেশ ভালোভাবে ব্যায়াম হয়ে যাবে।আমাদের অবশ্য জানা দরকার যে প্রথমে কোন কিছু বেশি ভালো হবে না। তাই অবশ্যই প্রথম দিকে বেশি করা ঠিক হবে না ১/২ মিনিট করতে হবে। এভাবে আস্তে আস্তে অভ্যাস তো হয়ে উঠলে লেখার মাত্রা বাড়াতে হবে।

ঘাড়ের ব্যায়াম -২ স্টেপ

২ য় স্টেপ হল, ঘাড় সোজা রেখে সামনের দিকে তাকাতে হবে। এবং ঘাড় ঘুরিয়ে একবার ডানে তাকাতে হবে, আবার সামনে তাকাতে হবে, এবং শেষে বামে তাকাতে হবে। আবার বাম থেকে সামনে এবং শেষে ডানে তাকাতে হবে।এভাবে ঘাড় গুড়ে প্রতি দিকে ১০ বার করে করে তাকাতে হবে। তারপর ঘাড় পিছনে দিকে করতে হবে অর্থাৎ মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে নিতে হবে। এবং এই ব্যায়াম একইভাবে আবার প্রতিদিকে ১০ করে দেখাতে হবে। ঘাড়ে ব্যথা যন্ত্রণা অনেকটা ভালো হয়ে গেছে এবং এতে থেকে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।

ঘাড়ের ব্যায়াম -৩ স্টেপ

সোজা করে সামনের দিকে তাকাতে হবে। এবং বাম হাত বাম কাঁধের ওপর রাখতে হবে। এবং ডান হাত মাথার উপর দিয়ে ঘুরে বাম কানের ওপর দিয়ে রাখতে হবে। এবং সেটা ধীরে ধীরে ডানহাতে চাপ প্রয়োগ করে মাথা ডান পাশে হেলে দিতে হবে। এভাবে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে, হবে এবং একইভাবে বাম পাশ করতে হবে। এভাবে চার থেকে ৪/৫ বার করতে হবে।

ঘাড় ব্যায়াম -৪ স্টেপ

আমরা প্রতিদিন গোসলের সময় পানি দ্বারা দাঁড়িয়ে থেকে এই ব্যায়ামটি করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে থুতনির অংশ মেসেজ করতে হবে। আপনি চাইলেও গরম পানি দিয়েও মেসেজ করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন শুরু এবং শেষে মেসেজ করবেন ঠান্ডা পানি দিয়েই।

এবং দিনে মাত্র ১ বার করলে এই ব্যায়ামটি করলে বেশ ভালো ফল পাবেন। এবং তবে এর চাইতে বেশি ব্যায়াম করতে যাবেন না ঘাড়ের জন্য। কারণ আমরা জানি যে অতিরিক্ত ব্যায়াম এর ফলে ঘাড়ে চামড়ার বলিরেখা পড়ে যেতে পারে। তাই সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী মেনে ঘাড়ে ব্যায়ামগুলো স্টেপ বাই স্টেপ করে যেতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে আমরা জানি। তাই অবশ্যই আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হবে,তাহলে তো আমাদের মনটা ভালো থাকবে।তাই অত্যন্ত প্রতিদিন একবার হলেও এই ব্যায়ামগুলো আমাদের করা উচিত। তাতে অনেক রোগবালায় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং ঘাড় ব্যথা কমে যাবে।

অনেক কাজের ক্ষেত্রে আমরা হয়তোবা সময় পাইনা বা ঘাড়ের যত্ন আমরা নিতে পারি না, ফলে আমাদের ঘাড়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই স্টেপ বাই স্টেপ ব্যায়ামগুলো ফলো করলে অবশ্যই ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url