আজীবন সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জানুন

আজীবন সুস্থ থাকার জন্য কি করবেন কি খাবেন তা নিয়ে আজকে আয়োজন। খাওয়া-দাওয়া খুব সচেতন হয়ে থাকতে হবে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের খাবারগুলো দেখতে হবে আমরা আসলে কি খাচ্ছি। আমরা অনেকেই অনেক সময় সুষুম ভেবে অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকি।
আজীবন সুস্থ থাকার উপায়
এবং না জানার ফলে অনেক খাবারকে অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে অবহেলা করে থাকে। যে খাবার আমরা দিনে খাই আবার যেসব খাবার রাতে খাই এগুলো আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। কোন খাবার কখন খেলে কোন খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা আমরা আজকে জেনে নেব।

ভূমিকা

আমরা জানি যার স্বাস্থ্য ভালো তার সব ভালো। এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে মনের অনেক বড় সম্পর্ক থাকে। স্বাস্থ্য ভালো তো মন ভালো। এবং অপরদিকের একজন অসুস্থ মানুষ চাইলেও মনকে সুস্থ দিতে পারবেনা। কারণ সে কোন কাজেই সুখ পান্ না। এবং এ কারণেই নিজেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে আমাদের নিজেদের কে । নিজেকে মানসিকভাবে সুখী সুখী করার জন্য ভালো খাবার ও ভালো স্বাস্থ্য থাকা দরকার।

আমরা জন্ম শুরু থেকেই জানতে পাই যে মানুষের মাঝে রোগবালায় শোক তাপের অস্তিত্ব লক্ষণীয় করা যায়। গবেষকরা বলে দিচ্ছেন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন আচারের পদ্ধতি সম্পর্কে, আমরা যেভাবে চলাফেরা করলে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া

সুস্বাস্থ্য পেতে যা করনীয়

  • প্রত্যেকদিন অত্যন্ত ১০ মিনিট করে হাঁটুন।
  • এবং বাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উঠুন, লিফটের বদলে।
  • এবং প্রত্যেকদিন কমপক্ষে 10 মিনিট করে অন্ধকার স্থানে চুপচাপ বসে থাকুন
  • ৬-৮ ঘন্টা নিয়মিত একটু নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ফলে বেশি রাত জাগা যাবেনা।
  • প্রত্যেকদিন ২০ মিনিট করে সময় বের করে ব্যায়াম করুন।
  • মাসে দুইদিন ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন আপনার পছন্দ কোন স্থান থেকে।
  • এবং সোহেলকে কষ্ট দিয়ে কোন কাজ করবেন না। আপনার যতটুকু শরীরে ক্ষমতা থাকবে আপনি যতটুকুই কাজ করবেন
  • প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস করে পানি পান করুন।
  • এবং শাকসবজি, ফলমূল এগুলো বেশি করে খাবেন
  • প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ ও মাংস খাবেন

সুখী জীবন পেতে যা করণীয়

  • আমরা সবাই প্রাণ খুলে হাসবো এবং সবাইকে মিষ্টি হাসি উপহার দিব
  • আপনি আপনার স্থানে কারো তুলনা করবেন না। আপনি আপনার জায়গা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ।
  • আপনার মাথা থেকে নীতিবাচক সব চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলে দিন। এবং যার নেতিবাচক চিন্তা করে থাকেন তাদের ইতিবাচক ঘটনার বেশ কমে ঘটে।
  • আমরা সব সময় আয় বুঝে ব্যয় করব। নিজের আয়তোর বাহিরে কখনোই আমরা যাব না।
  • আমরা কখনও নিজের সময়টুকু নষ্ট করব না। যতটুকু সময় পাবো কাজে লাগাবো। এবং বাকি সময় গুলো নিজের এবং নিজে পরিবারের জন্য কাটাব।
  • এবং হিংস, লোভ-লালসা, থেকে বিরোধ থাকবো
  • আমরা ঘটে যাওয়া অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করব। সেই শিক্ষাটুকু কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
  • আর সব থেকে বড় কথা হলো মানুষকে ভালবাসুন।জীবনটা অনেক ছোট।
  • আমরা একে অপরকে ঘৃণা করব না। বরং তাদের বড় হোক ছোট হোক শ্রদ্ধা করব।
  • আমরা যতই দোষ করে থাকি না কেন ক্ষমা করতে শিখব। এতে মনের শান্তি পাওয়া যায়।
  • এবং সর্বদা সত্য কথা বলব ন্যায়ের সাথে থাকবো। একজন আদর্শ মানুষ হয়ে বাঁচবো।

পটাশিয়ামযুক্ত খাবার গুলো কি কি

গাজোর টমেটোর জুসঃ আমরা কমবেশি কমলা রঙ্গের গাজরের জুস খেয়ে থাকি। এবং টমেটোর জুস খেয়ে থাকি। টমেটো এমনি খেতে পারেন আবার জুস করেও খেতে পারেন। তেমন গাজরও সেম এমনিও খেতে পারেন আবার জুস করেও খেতে পারেন। এ দু ধরনেরই রয়েছে একই পরিমাণ পটাশিয়াম।

খোসাসহ আলুঃ আমরা অনেকে জানি জানি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এবং রক্তের চিনির মাত্রা সাথে নিধনকারী হিসাবেও খোসা সহ আলু অনেক সুনাম রয়েছে। বেশ আমাদের খুব উপকারী।

মটরশুটিঃ মটরশুটি তো অনেক পটাশিয়াম রয়েছে, সাথে আরো রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ও লৌহ দ্বারা সমৃদ্ধ। এবং এই খাবারটি রাখতে পারার নিয়মিত খাবার আপনার তালিকায়। মটরশুঁটি আমরা অনেক ভাবও খেয়ে থাকে। এটা কাঁচা খাওয়াটা অনেক উপকার।

শুকনো ফলঃ শুকনো ফল হিসাবে খেজুর, ডাবের পানি, কাঠবাদাম, এসব শুকনো ফল হিসেবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা আপনার পছন্দমত আপনার খাবার তালিকায় এগুলো রাখতে পারেন।

নিয়ম কানুন করে খাবার খাওয়া

ভোর ছয়টার পর পরে ঘুম থেকে উঠাঃ সকালে আমরা যত ভোরে উঠবো তত আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকার।। এতে শরীর অনেক সুস্থ থাকে। সকালে ওঠা অভ্যাসটা করুন। এবং সকালের আলো বাতাস মস্তিষ্ক আমাদের ভালো সতেজ রাখে। খালি পেটে পানি পান করলে আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। এটা শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে খুব সহজে পেটের রোগ হবে না। সাথে সকালে জগিং বা ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাতে সাহায্য করে।

দুপুরে খাবারের নিয়মঃ আমরা সবসময় দুপুরে খাবার টাইম অনুযায়ী করার চেষ্টা করব। দুপুরের খাবারটা ১ মধ্যে খেয়ে ফেলবো। যত টাইম অনুযায়ী খাবার খাওয়া যায় তত শরীরের জন্য খুব ভালো। কারন দুপুরের খাওয়া বেশি হলে ফলে পরবর্তীতে আপনার ওজন বাড়বে। তাই ঠিক সময় খাওয়াটা দরকার। আর বেশি বেশি আমাদেরকে পানি পান করতে হবে।


রাতে খাবারের নিয়মঃ আমরা কম বেশি রাতে অনেকে ভুল করে থাকি। আমরা ঠিক সময় না খেয়ে অনেক সময় লেট করে খাওয়া দাওয়া করে থাকি এজন্য আমাদের শরীরে অনেক রোগবালায় দেখা দেয। এবং আমাদের রাতের খাবারটাও ঠিক সঠিক নিয়মে খেতে হবে রাত ৮ ভিতরে খাবারটা সেরে ফেলতে হবে। বেশি রাগ করলে হজম হতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা আপনার রাতের ঘুমও ঠিক মত নষ্ট করে দিবে।

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৭টি সবজি খাওয়া দরকার

ব্রকলিঃ ব্রকলি খাবারটা আমরা আবার অনেকে চিনে থাকি না। বকরি খেতে আবার অনেকে পছন্দ করে থাকে না। এবং বকরি শরীরকে সুস্থ এবং নীরোগ রাখতে মেদিনীপুর পুষ্টিকর খাবারটি খেতে পারেন। এতে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি এবং পুষ্টিতে ভরপুর রয়েছে। এবং এই সবজিটি আমাদের হার এবং দাঁত মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে। এবং এই সবজিটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

টমেটোঃ টমেট তো অনেক পরিমানে লাইকোপিন রয়েছে। এবং লাইকওপি নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টি আমাদের শরীরে ব্লাড ও পাকস্থলে এবং কলোন ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচে বাচাই।তাই অত্যন্ত প্রতিদিন একটা করে টমেটো খাওয়াটা আমাদের অবশ্যই উচিত ।

গাজরঃ গাজরে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটির সমৃদ্ধ রয়েছে। এবং এই কমলা রঙের গাজর টি সবজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এতে নানা ধরনের ক্যান্সার, মাংসপেশির ক্ষয়, রাতকানা রোগ সাথে শরীর খারাপ ও বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে ।এবং আমাদের পক্ষে অনেক উজ্জ্বল করে নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়া আমরা সবজি হিসেবে সবাই চিনে থাকি। মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কেরোটিন। যে আমাদের হৃদপিন্ডে যে কোন ধরনের রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এবং এছাড়াও অনেক ক্যালরি রয়েছে মিষ্টি কুমড়াতে। আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও চোখের সুস্থতা কাজ করে মিষ্টি কুমড়ায়।

লেখকের মন্তব্য

সুস্থ জীবনের সাথে ভালো মন থাকতে সবাই পছন্দ করি। তাই সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য অবশ্য আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। নিজেকে ভালো রাখতে হলে অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। তাহলে তো শরীর ও মন দুটোই সুস্থ ভালো থাকবে। তাই আমরা কি খাব কি করব কিভাবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী করব।

ভালো থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে আমাদের পুষ্টিকর খাবার ফলে যেন অত্যন্ত জরুরী । অবশ্যই আমরা সেগুলো খাব এবং সুস্থ থাকব। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আশা করি সবার ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url