কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা দুইটাই রয়েছে। কাঁচা কলা এবং পাকা কলা দুটাই সবারই অনেক প্রিয়। কাঁচা গলায় অনেক গুনা গুন ও পুষ্টি রয়েছে। যে আমরা অনেকেই জানিনা কাছে কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
কাঁচা কাঁচা কলা আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি।কিন্তু এটা উপকারী সম্পর্কে আমরা কয়জন জানি বলেন। চলেন কাঁচা করা সম্পর্কে আজকে জেনে নেই এটা উপকারী ও অপকারী নিচে দেওয়া হল।ভূমিকা
আমাদের দেশে এবং এও সবজি হিসেবে অনেকেই কাচা কলা খেয়ে থাকে । কাঁচা কলা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা কলাতে অনেক ভিটামিন রয়েছে । এবং কাঁচা কলা খেতেও অনেক সুস্বাদু । এবং এটা অনেক e খেতে খুব ভালো বাসে । কাঁচা কলা অনেক রোগের প্রতিরোধ হিসেবও কাজ করে । কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কাঁচা কলা খাওয়ার যেমন উপকার আছে তেমন অপকারও রয়েছে। কাঁচা কলায় প্রচুর প্রচুর পরিমাণে , এবং ভিটামিন এ রয়েছে আরো রয়েছে।এবং কাঁচা কলা অনেক ধরনের ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ করতে সহায়ক করে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ও ভিটামিন সি পটাশিয়ামযুক্ত কাঁচা কলাই থাকে।
কাঁচা কলা খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা কলা সবজি হিসেবে বিবেচিত । কাঁচা কলা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে ।কাঁচা কলা সিদ্ধ করার পরে ভর্তা করে খাওয়া যেতে পারে ।কাঁচা কলার খোসা বা ছাল এর ভর্তা খাওয়া যায় । কাঁচা কলা বিভিন্ন জিনিসের সাথে যেমন : গোস্ত , মাছ আলু ইত্যাদি এর সাথে খাওয়া যেতে পারে ।
কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। হজম করতে এ সহায্য করে , রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে ,ওজন কমায় ইত্যাদি ।
কাঁচা কলা খেলে কি কি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- কাঁচা কলা খেলে আমাদের শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করে সেগুলো হলো :
- পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া
- রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন করে ডায়রিয়া আমাশয় এর সময় কাঁচা কলা খেলে এর নিস্পত্তি পাওয়া যায়
- হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- হজম শক্তি বাড়ায়
কাঁচা কলা আমাদের দেহে কি কি কাজ করে থাকে বিস্তারিত
হজমে সাহায্য করেঃ উচ্চ মাত্রায় স্টার্চ খাদ্য আস থাকায় কাঁচা কলা হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যায় খুব ভালো করে কাজ করে । এটা ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণের প্রতিরোধে সাহায্য করে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ কাঁচা কলায় আছে উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম যা রক্তনালীর ও ধমনীর চাপ কে কমিয়ে উচ্চ রক্ত চাপ কে নিয়ন্ত্রন করে । ফলে প্লাক জমে ধমনী শুরু হয়ে যায় আর হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমে যায় । ইত্যাদি ।
কাঁচা কলার কি কি গুনা গুন রয়েছেঃ কাঁচা কলায় বেশি পরিমাণে স্টার্চ বা শ্বেত সার ,শর্ট চেইন , ফ্যাটি অ্যাসিড ও নানান ভিটামিন থাকে এবং খনিজ ও লবণ থেকে । এতে পটাশিয়াম ,খাদ্য আশ ও সামান্য প্রোটিন o আছে । মজারু সাইয়েজের কলায় ৮ গ্রাম ক্যালরি থাকে ।
গর্ভবতী মহিলার জন্য কাঁচা কলা খাওয়া ঠিক হবে কিনা নাহ্
কাঁচা কলায় অনেক উপকারিতা থাকলোও কোন অপকারিতা নেই । এটা সব অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে এটার কোনো ক্ষতিকর দিক নেই ।কিন্তু আমাদের কোনো জিনিস ই অধিক খাওয়া উচিত নয় । সকল জিনিস ই অধিক মাত্রায় খাওয়া উচিত নয় তাহলে সকল জিনিস ক্ষতি সাধন করতে পারে । কাঁচা কলায় রয়েছে হিমোগ্লোবিন যার রক্তস্বল্প তার তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ রক্ত গুরুপ থেকে ব্যক্তিত্ব চেনার উপায়
কাঁচা কলার খোসার উপকারিতা
কাঁচা কলায় ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন বি থাকে আমরা জানি। এবং কাঁচা ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমরা কাঁচা কলার খোসা অনেকে খেয়ে থাকি বা অনেকে খায়না। কাঁচা কলার খোসার অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন আছে এটা আমরা জানি না। গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা কলার প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যুক্ত রয়েছে।
এবং কলার খোসার মধ্যে দ্রব্যনীয় ও অদ্রব্যীয় আস রয়েছে। যার শরীরকে বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে আজ থাকাতে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। ফর এ ডাইবেটিসের ঝুঁকি কমায় থাকে। সাথে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই কাঁচা কলা খোসার উপকারিতা অনেক বেশি।
কাঁচা কলা খেলে গ্যাস হয় কিনা
কাঁচা কলা খেলে কি গ্যাস হয় এটা আমরা অনেকেই জানিনা বা বুঝিনা। কারণ কাঁচা কলা অনেক ভারী খাবার। কাঁচা কলা খেলে হজম হতে সময় লাগে আর পেট অনেকক্ষণ ধরে ভরা থাকে। কলা খাওয়ার পরে যদি আমরা পানি খেয়ে থাকি তাহলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, গ্যাস, পেট ফোলা এসব হতে পারে।
কাঁচা কলা কেন খাবেন?
প্রশ্নটা যদি এমনই হয় কাচা কলা কেন খাবেন। তাহলে আমি বলবো কাঁচা কলা আমাদের জন্য খুব উপকারী যা আমাদের মানবদেহে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আসেন জেনে নেই কাঁচা কলা কেন খাবেন।
যাদের ঘনঘন ও পাতলা পায়খানা তাদের জন্য কাঁচা কলা খুব উপকারী। এবং কাঁচা কলা হজম শক্তি বাড়ায় থাকে। যা আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা কলা রক্তের উচ্চতা কমায় ফলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। কাঁচা কলা খায়ার উপকারিতা ও গুনাগুন আছে। তাই আমরা অবশ্যই কাঁচা কলা খাব।
লেখকের মনব্য
ছোট বড় সকলেরই নিয়মিত সবজিতে কাঁচা কলা খাওয়া উচিত।এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই আমার মনে হয় আমাদের দয়নিক খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা রাখা উচিত । যাতে আমরা কাঁচা কলার গুনা গুন , উপকারীতা উপভোগ করা উচিত।আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং শেয়ার করে দিবেন সবাইকে দেখার জন্য।আসসালামু আলাইকুম।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url