ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আসলে আমরা সবাই ব্যায়াম করার জন্য অনেক অনেক নিয়ম কানুন জানিনা।তাই আমাদের সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করলে শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক থাকবে।তাই আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য ব্যায়ামটা খুবই প্রয়োজন।ব্যায়াম করলে শরীর অনেক ভালো থাকে। এবং মন অনেক ভালো থাকে।
ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম বিস্তারিত জানুন
ব্যায়াম আমাদের জন্য খুব উপকারী। তাই আমরা অলসতা না করে সঠিক চর্চায় সঠিক নিয়মে ব্যায়ামটা করব।এখানে আপনি সঠিক নিয়মে সব ধরনের ব্যায়াম দেখতে পাবেন। ব্যায়াম আমাদের শরীর এর এক অংশ, ব্যায়াম করলে শুদু শরীর ভালো থাকে না, আমাদের মন ও ভালো থাকে। তাই অবশ্যই আমাদের ব্যায়াম করা দরকার।

ভূমিকা

ব্যান আমাদের জন্য খুব উপকারী। বেয়ামে আমাদের শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকে এবং ভালো থাকে। সকালে ও বিকালে ব্যায়াম করাটা খুবই প্রয়োজন। সঠিক পদ্ধতিতে আমরা ব্যায়াম করব। এবং আমরা অনেকেই বাইরে ব্যায়াম করতে পারি না সময়ের কারণে তাদের জন্য ঘরে বসে ব্যায়াম করার নিয়ম গুলো অনেক সহজ।

এবং সকালের ব্যায়াম করার নিয়ম গুলো জেনে নিন। ব্যায়াম করার সঠিক সময় গুলো আমরা জেনে নিব।এবং সকালে ও বিকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা কি কি সেগুলো জেনে নিব। এবং ব্যায়াম করার শেষে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত না সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিব।

ঘরে বসে ব্যায়াম করার উপায়

অনেকে বিভিন্ন কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেন না।তারা হয়তো ভাবছেন বাইরে বের না হলে ব্যায়াম করব কিভাবে।তাদের জন্য সহজ উপায় হল ঘরে বসে ব্যায়াম। এটি খুবই ভালো এবং খুব সহজ। আপনারা যারা ঘরে বসে ব্যায়াম করতে চান তারা এই ব্যায়ামগুলো করতে পারবেন। এতে আপনার শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকব। আমাদের শারীরিক সুস্থতার ব্যায়াম খুব প্রয়োজন।

ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজঃ ঘরে বা বারান্দায় অথবা ছাদে এই ব্যায়ামগুলো খুব সহজেই করা যায়। বিশেষ করে যখন রাতে খাবারের পর আপনি ১০ মিনিট হাটাহাটি করে ৩০ মিনিট পর ঘুমাতে যাওয়া আমাদের উচিত।এতে যেমন খুব সহজে খাবারগুলো হজম করতে সাহায্য করে এবং শরীরের পেশীগুলো সচল হতে থাকে। হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম।

আপনি বাড়ি যেকোনো জায়গায় স্পট জগিং করতে পারেন। তবে জনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে উপযুক্ত উপযুক্ত একটা জুতা পড়ে নিতে হবে। যাতে পায়ের উপরে কোন চাপ না পরে।

পেট ও কোমরের মেদ কমাবেন কিভাবেঃ আপনি যেকোনো একটি সমতল জায়গায় মেঝেতে বা মেঝেতে শুয়ে পড়ু। তারপর পা দুটো ভাজ করে দিন । হাটু থাকবে সোজা আপনার সামনের দিকে। তারপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসতে হবে। এবং সাথে পাভাস অবস্থায় থাকবে। একই ভাবো বারবার আগের অবস্থায় শুয়ে যেতে হবে

এবং বসা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। এভাবে মোট ১২ বার করা হয়ে গেলে এক মিনিট পর পর শুয়ে বিশ্রাম নিবেন। আবার ঠিক ওই একই নিয়মে এক মিনিট পর পর আবার শুরু করবেন। পরের সেট আস্তে আস্তে বাড়িয়ে নিবেন।

দড়ি লাফ ব্যায়াম 

দড়ি লাফ টা আমাদের সবার কাছে খুব পরিচিত।এবং সারা শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি ঝরাতে খুব ভালো সাহায্য করে এই দড়ি লাফ।সবচাইতে কার্যকারী ব্যায়াম হলো দোরী লাফ।এবং হাত-পা, কাধসহ পুরো শরীরের হার ও মাংস কে শক্তিশালী করতে খুব সাহায্য করে। দিনে যেকোনো সময় এ ব্যায়ামটা করতে পারেন। নিজের ঘরে যে কোন স্থানে এটি খুব ভালোভাবে স্বাচ্ছন্দে করা যায়।

দড়ি লাফানোর এই ওয়ার্ক মাধ্যমে প্রথম দিকে প্রতি এক মিনিটে পুরো দশ ক্যালরির বান করা যায় এটি।আবার আস্তে আস্তে আপনি দুঃখ হয়ে উঠলে ১০ মিনিটে ২০০ ক্যালোরির উপর বান করতে পারবেন অতি সহজে।

ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম

ব্যস্ততা আমাদের জীবনে জড়িয়ে আছে যে সেই ব্যস্ততার মাঝখান থেকে এক ঘন্টা সময় খুঁজে বের করা খুব কঠিন। সকালে অনেক বিভিন্ন কারণে ব্যায়াম করার সুযোগ হয়ে উঠে না।

কারো কারো আবার অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে কত কাজ এ কাজ করার ফলে ব্যায়াম করার সময়টা হয়ে ওঠে না। কিন্তু সত্য থাকতে হলে কিছুটা সময় বের করে আমাদের ব্যায়াম করাটা অতি প্রয়োজন। এতে আমাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

সকালের ব্যায়াম

১। প্রথমে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে ব্যায়াম শুরু করুন। কিন্তু এ সময় ভারী ব্যায়াম না করা উচিত। কারণ এক্সারসাইজ করার জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ এনার্জি থাকা খুবই প্রয়োজন।

২।সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি ৩০ মিনিট পরপর হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়ার্ক করুন।

৩।ঘুম থেকে সকালে উঠে আপনি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার পর কয়েক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন।

৪।আবার আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না। এতে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ।

বিকালের ব্যায়াম

১।ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময় দুপুরের পর বিকালে।বিকাল বেলা সময় টা ম্যাক্সিমাম সবারই অবসর থাকে।তাই এ সময় আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। মানে ঘুম থেকে উঠা ছয় ঘণ্টা পর এবং বারো ঘণ্টার মধ্যে।

২।যাদের ভারী এক্সেসাইজের কিছু করতে চান বা পরিকল্পনা রয়েছে। তারা যে কোন দিনে একটি সময় বেছে নিতে পারে। বিকালে আপনি ভারী এক্সারসাইজ করতে পারবেন।

৩।লাঞ্চ শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর এই ব্যায়ামটি আপনার জন্য খুব ভালো উপযোগী হবে।

সন্ধ্যার ব্যায়াম

১।বাড়ি ফিরার পথে আপনি কিছুটা পথ হেটে আসুন।

২।হাটার সময় অবশ্যই আপনি খেয়াল রাখবেন যে ১০ মিনিটে এক কিলোমিটার পথ যেতে পারেন।

৩।এবং আপনি সন্ধ্যা বেলার এক্সারসাইজ করতে পারেন। হাটাহাটি এবং দৌড় আপনার শরীরের জন্য ভালো কাজ করবে।হাটা আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস।

৪।এবং আমাদের সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে সন্ধ্যেবেলা। করার জন্য খুব উপযোগী একটা সময়।

ব্যায়াম করার পর কি খাওয়া উচিত

শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না আমাদের খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সোহেলের ওজন কমানোর সাথে সাথে খাবারটাও আমাদের মেন্টেন করে চলতে হবে।আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন ব্যায়াম করার পর খুব খিদা পাই।আর সেসময় সাধারণত প্রোটিন সমিত খাবার আমাদের প্রয়োজন।

আসুন আমরা জেনে নিয়ে ব্যায়াম করার পর কিছু নিয়ম সম্পর্কে

  • ১।ব্যায়াম করার আগে নিম্নে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করুন।ভারী ব্যায়াম করে থাকলে যত বেশি সম্ভব ক্ষতিপূরণ করতে কিছু খেয়ে নিন। ব্যায়ামের সময় আমাদের অনেক পুষ্টি উপাদান ক্ষয় হয়। এবং শরীরের ওপর অনেক চাপ পড়ে।যা ব্যায়ামের ওপর আবার পূরণ করে নেওয়া খুব জরুরী।

  • ২।যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ব্যায়াম করলে আপনার অনেক বেশি ঘাম ঝরতে পারে। তাই আমাদের পরিমাণ মতো পানি পান করাটা খুবই প্রয়োজন। শুধু পানি নয় এর সাথে বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করতে পারেন।

  • ৩।খাবার থেকেই কিন্তু আসে জীবনে শক্তি। এজন্য আমাদের প্রাকৃতিক টাটকা খাবার খাওয়াটা অভ্যাস করতে হবে। এবং শুকরিয়া জাত খাবার পাসপোর্ট এবং রাসায়নিক যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে এমন সুস্থ একটি খাদ্য অভ্যাস আপনার জীবনে জন্য খুব উন্নত হবে। এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

  • ৪।প্রোটিন ছাড়া অন্য খাবার খান। ব্যায়াম করা মানে আমাদের ওজন কমানো। খাবার খেলে ওজন কখনোই কমবে না এবং সাথে ব্যায়ামটাও কাজে লাগবে না। অনেকেই ভাবেন এতক্ষণ ব্যায়াম করার পর একটু বেশি খেলে কোন ক্ষতি হবে না। এটা একদম ভুল ধারণা। ব্যায়াম যেমনি শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তেমনি তার সাথে খাবারও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

  • যেমন,ফল,শাকসবজি, আমন্ড বাটার বা খেতে পারেন সবজি মেশানো ডিম ভাজি। এছাড়াও ভিটামিনযুক্ত খাবার জাতীয় শতকরা যেমন মিষ্টি আলু অথবা সিম।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের জীবনে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কিছু করতে হয়।তার ভিতর শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখতে হলে ব্যায়াম আমাদের খুব প্রয়োজন। ব্যায়াম করলে শরীর খুব সুস্থ থাকে।যা আমাদের অসুখ বিশুক খুব সহজে আক্রমণ করতে পারে।তার পাশাপাশি মনটা অনেক ফ্রেশ লাগে এবং এবং ভালো থাকে। তাই ব্যায়ামটা আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সারাদিনে যেকোনো সময়ে ব্যায়াম করার চেষ্টা করব।

অসুখ বিসুক প্রতিক্রিয়া কোড করার জন্য ব্যায়াম আমাদের সকাল অব বিকাল করা খুব দরকার। এর পাশাপাশি আমরা খাবারের কিছু লক্ষ্য রাখবো। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলবো। সাথে ফাস্টফুড কোনো কিছু খাওয়া যাবেনা। ও আশা করি আপনার সুস্থ শরীর ও মন দুটাই ভাল থাকবে।ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিবেন আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url