ফরমালিন যুক্ত ফল চেনার উপায় গুলো জেনে নিন

আপনারা সবাই ফল চিনার উপায় গুলো খুঁজে পাচ্ছেন না ফরমালিন যুক্ত ফলগুলা আমরা কম-বেশি সবাই কিনে থাকি কিন্তু সঠিকভাবে আমরা সেগুলো চিনতে পারি না এবং বুঝতে পারিনা তাই আপনাদের সামনে কিছু ফরমালিনযুক্ত ফলগুলো তুলে ধরতে চাই।
ফরমালিন যুক্ত ফল চেনার উপায় গুলো জেনে নিন
ফরমালিন যুক্ত ফলগুলা চেনার জন্য অনেক উপায় কারণ থাকে। এবং আমরা আমাদের অজান্তে সেই ফল গুলো খেয়ে থাকি, এতে আমাদের সাস্থের ঝুঁকি থাকে। তাই অবশ্যই আমাদের ফল কিনার আগে দেখে শুনে নিতে হবে। আমি সঠিকভাবে ফরমালিন যুক্ত ফলগুলো চেনার জন্য বিস্তারিত নিচে কিছু টিপস দেওয়া হল।

ভূমিকা

আমরা কম বেশি সবাই ফল পছন্দ করি। এমন কোন মানুষ নাই যে ফল খায় না। ফল আমাদের সবারই প্রিয় খাবার। কিন্তু ফলটা কি আদৌ ফ্রেশ তা আমরা কয়জন জানি বলেন। ভালো ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে বাছাই করে নিতে হবে। না হলে আমরা ফরমালিনযুক্ত খাবার গুলা খেয় থাকবো এতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকতে পারে। তাই ফরমালিন যুক্ত ফলগুলো জেনে নিন।

ফরমালিন যুক্ত আম চেনার উপায়

আম খেতে সবাই ভালোবাসে। আম অনেক সুস্বাদু খাবার যা আমরা সবাই পছন্দ করে থাকি। আমটা কি আমরা আদৌ ফ্রেশ পাচ্ছি এটা আমরা কেউ জানি না। সুস্বাদু মৌসুমী ফল আমের সুগন্ধ চারিদিকে। তাই হাতের নাগালে দাম হওয়া কম বেশি আমরা সবাই এ আমটা খেতে পারি। কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতারাই কিনে ফেলছেন নিজের অজান্তে কিছু রসানিক যুক্ত ফরমালিন আম । যা আমাদের দেহের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত । তাই ভালো আমের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো।

ভালো আমের বৈশিষ্ট্য

১। আমরা প্রথমে আম কিনে কিছুক্ষণ রেখে দিব। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারদিকে। আর কখনো আমের গন্ধ থাকবে না। আর আম চেনার সব থেকে সহজ উপায় হল আর সাধারণত হালকা হলুদ হয় আর পানিতে রাখলে আমটি ডুবে যায় ।

২। আমরা সব সময় লক্ষ্য করব। স্থান থেকে আমরা আমটি কিনছি। সেখানে কোন মাছি বসতে কিনা। আর ফরমালিন যুক্তি আমে কখনো মাছি বসবে না।

৩। আর গাছ পাকা আমে একটা অন্যরকম সাদাটা ভাব থাকে। ফরমালিনযুক্তে আমটা অনেক ঝকঝকে হয় আর সুন্দর হয়। যা কার্বাইড যা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো হয়। এবং আমের শরির হয় মোলায়েম ও দাগহিন হলদেটে। কারন আম গুলো কাঁচা অবস্থায় পেরে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।

৪। আমি কেনার সময় ভালো করে নাক দিয়ে শুখে নিন। যে আমের খোসা কুচকে যাবে সে আম কিনবেন না। আর ওষুধ দেয়া আম কখনো মিষ্টি হয় না বা থাকবে না। উল্টে বিচ্ছিরি গন্ধ বের হবে। যে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধরতে পারবো এটি ফরমালিনযুক্ত আম। ফরমানে যুক্তি কোন স্বাদ হয় না একটা খেলে বুঝতে পারবেন ফলটি কেমন সুস্বাদু কিনা।

৫। যে আমটি আপনি কিনবেন সেটা অবশ্যই হাত দিয়ে টিপে দেখবেন। যদি পাকা হয় তবে সেটি নরম হবে। যদি ফলটি আঙ্গুলের সাহায্যে গর্ত হয়ে যায় তাহলে সেটি কিনবেন না। কারণ আমটি আগেই বেশি পেকে গেছে। যা খেতে একদমই স্বাদ লাগবে না।

ফরমালিন যুক্ত ফল চেনার উপায়

৩৭ থেকে ৪০ শতাংশ জলীয় দ্রব্য হলো ফরমালিন যুক্ত। এছাড়াও আমরা জানি যে থেকে ১৫ শতাংশ মিথানল মিশানো থাকে এর ফরমালিন যুক্ত। ব্যাকটেরিয়াল বা সংক্রমণ নাশক হিসেবে আমরা ব্যবহৃত করে থাকি। ফরমালিন সাধারণত মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মানবদেহে অনেক প্রভাব ঘটায়।

যেসব বিষয় খেয়াল রাখবো আমরা তা হল। কিনতে গেলে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যে ফলের ওপর কোন মাছি বসতে কিনা ফলের রাসায়নিক থাকলে মাছি বসবে না। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য কিছু রাসায়নিকভাবে পানিতে ডুবে তোলার পর ফল হয় ঝকঝকে সুন্দর ও পরিষ্কার। এবং গাছপাকা আমের গায়ে দাগ থাকে। রাসায়নিকভাবে আমের গায়ে দাগ থাকে না। কাঁচা আমটিকে পেরে সেই অবস্থাতেই আমকে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।

আম মুখের দেওয়ার পর পর যদি দেখেন যে, আমটি কোন টক মিষ্টি কোন স্বাদ নেই। বুঝে নিবেন আমি ওষুধ রয়েছ। নাকের এর কাছে ভালো করে শুখে দেখবেন আমের কোন গন্ধ পাচ্ছেন কিনা। ওষুধ দেওয়া ফলে গন্ধ খুব বেশি একটা থাকে না।

ফরমালিন যুক্ত কলা চেনার উপায়

কলা আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করে থাকি। কলা অতি একটা পুষ্টিকর ফল। এতে অনেক পুষ্টিকর রয়েছে। তাছাড়া কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই একটা কার্যকারী ফল। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে রাসায়নিক মুক্ত ফ্রেশ কলা খেতে হব। অবশ্যই সেটা রাসায়নিক বিষমুক্ত কলা হতে হবে । তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো উপকারী হবে।

নইলে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধবে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এবং আজকাল ফল পাকানোর জন্য অনেক বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এবং তার সাথে ব্যবহার হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বোডিট এথিলিন এর মত বিভিন্ন রাসায়নিক বিশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসল যুক্ত ফরমালিন ফল গুলো খেয়ে থাকি তা আমাদের শরীরে গেলে এ থেকে ক্যান্সার, কিডন, সমস্যা দেখা দিতে পারে । 

এবং ত্বকের সমস্যা হতে পার। কারণ কেমিক্যাল যুক্ত কোন জিনিসই ভালো না । এতে রাসায়নিক এর মধ্যে ফসফরাস আর্সেনিক থাকে।

কলা চেনার কিছু পদ্ধতি

১। কৃত্রিমভাবে কলাটাকে পাকানো হলে 24 ঘন্টার মধ্যে কলার খোস আর গায়ে কাল ছাপ পড়তে পারে।
এবং কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাকানো কলা স্বাভাবিকভাবে মিষ্টি হয় না । বাইরে হলদে লাগলেও ভিতরে শক্ত থাকে । চলো ভাব থাকে চেহারা শুকনো হয় দেখতে ভালো লাগে না। এতে রসনা ভাব কম থাকে।

৩। এবং কৃত্রিম আরো পদ্ধতিতে বুঝা যায় কেনার পরে বালতিতে পানি ভরে তার ভিতরে ফলটি রেখে দিন। যদি ফল কি পানির মধ্যে পুরোটাই সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তাহলে সেটি স্বাভাবিকভাবেই পেয়ে গেছে। কিন্তু এতে লক্ষ্য করবেন যদি ফলটি ভেসে থাকে। তাহলে বুঝতে হবে ফল কৃত্তিম ভাবে পাকানো হয়ছে।

 লেখকের মন্তব্য

আমরা সাধারনত অনেক ফল চিনি। এবং কমবেশি সবাই এ ফলগুলো খেয়ে থাকে। কিন্তু ফলের ভিতরে অনেক ফরমালিন যুক্ত থাকে। যে আমরা ধরতে পারিনা এজন্য এর ফলগুলো খাওয়ার পরে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই আমরা সব সময় যেখান থেকে ফল কিনব না কেন। অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে ফলটি আমরা কিনব। এতে আমাদের ঝুঁকিটা কম থাকবে। মা সবার জন্য ফরমাল যুক্ত খাবারটা সবথেকে কে উপকারী কার্যকারী। তাই দেখেশুনে নেওয়াটা খুবই দরকার।

আপনারা সবাই সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর থাকবেন। আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনারা সবাই শেয়ার করবেন। জানো সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url